সহজে জান্নাত লাভের দোয়া
প্রতিদিন আমরা জানায় অজানায় গুনাহের কাজ করেই যাচ্ছি ,আমরা সবাই জানি ভালো কাজ করলে যেমন জান্নাত লাভ করা যায় তেমনি খারাপ অর্থাৎ পাপ কাজ করলে জাহান্নামের কঠিন তম শাস্তি ভোগ করতে হবে। ভালো- মন্দ ও পাপ পূর্ণের শাস্তি ও উত্তম প্রতিদান থাকায় জান্নাত ও জাহান্নামের সৃষ্টির প্রয়োজন হয়েছে।
তা না হলে মানুষ বেপরোয়া হয়ে দায়িত্বহীন হয়ে জীবন যাপন করতে দ্বিধাবোধ করতো না,মনে যা চাইতো তাই করতো। পৃথিবী অন্যায়- অত্যাচার ,জুলুম -নির্যাতন ও পাপের লীলাভূমি হয়ে যেত পরকালের ন্যায় -অন্যায়ের বিচারের বিশ্বাসেই মানুষ নৈতিক চরিত্র গঠন করে এবং নিয়ন্ত্রিত করে।
জাহান্নামের শাস্তির বর্ণনা :
জাহান্নামের শাস্তির বর্ণনা দিতে গিয়ে কুরআনুল কারীমে বার বার নার অথার্ৎ আগুনের তীব্রতার কথা বলা হয়েছে। জাহান্নামের আগুনের তীব্রতা দুনিয়ার আগুনের তীব্রতার চেয়ে ৭০ গুন্ বেশি। যে আগুনের তীব্রতা গায়ের চামরা খসিয়ে দিবে পুরোপুরি,পরক্ষণে তা আবার পূর্বের অবস্থানে ফিরে যাবে।
আবারো আগুনের তীব্রতা তা খসিয়ে দিবে। এভাবে বার বার তাদের আঘাত করা হবে। তাদের শাস্তি দেয়া হবে আগুনের মুহুর দিয়ে। জাহান্নামের মানুষ যখন পানি পিপাসায় কাতর হয়ে যাবে তখন তাদের ফুটন্ত পানি পান করতে দেয়া হবে।
তারা যখন ক্ষুদায় কাতর হয়ে আল্লাহর কাছে খাবার খেতে চাইবে তখন তাদের যাক্কুম নামক এক ধরণের কাটা যুক্ত ফল খেতে দেয়া হবে। যা খাওয়ার পর মাথার মগজ থেকে শুরু করে মানুষের শরীরের ভিতরের সব কিছু গলে পায়ু পথ দ্বারা বের হবে।
কিয়ামতের ময়দানে যখন সবাই” ইয়া নফসি” ,”ইয়া নফসি “ বলতে থাকবে তখন কারো কিছুই করার থাকবে না। কারণ দুনিয়ার কোনো মানুষের কোনো কাজকে মহান আল্লাহ তায়ালা পছন্দ করেছেন কিংবা পছন্দ করেন নি তা আমাদের কারো জানা নেই।
তাই মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য আমাদের প্রত্যেককে অতিরিক্ত কিছু আমল করা দরকার। যা আমারদের কে জাহান্নামের আগুনের তীব্রতা থেকে মুক্তি দিবে এবং সহজে জান্নাত লাভের পথ দেখিয়ে দিবে।
তাই আমি আপনাদের কে ছোট্ট একটি দুআ শিখিয়ে দিচ্ছি,যে দুআটির ফজিলত অনেক। যে ব্যাক্তি আল্লাহর কাছে ৩ বার জান্নাত প্রার্থনা করে ,জান্নাত তার জন্য মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে দুআ করে হে আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করো।
যে ব্যাক্তি আল্লাহর কাছে ৩ বার জাহান্নামের আগুনের তীব্রতা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রার্থনা করে ,জাহান্নাম তার জন্য মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে দুআ করে হে আল্লাহ তাকে জাহান্নামের আগুনের তীব্রতা থেকে মুক্তি দাও।
এই দোয়াটি পড়ার সঠিক সময়
হাদীসটি তিরমিযী :২৫৭২,ইবনে মাজাহ :৪৩৪০,এবং হাদীসটির সনদ ও সহীহ আমল হচ্ছে প্রত্যেকদিন ফজর ও মাগরিব নামাজ পর ৩ বার করে পড়তে হবে।
জান্নাত পাওয়ার দোয়া
“আল্লাহুম্মা ইন্নি আস আলুকাল জান্নাতা ওয়া আউযুবিকা মিনান্নার “ অর্থ :হে আল্লাহ আমি আপনার কাছে জান্নাত চাই এবং জাহান্নামের আগুন থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাই।
أَللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّيْ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِيْ وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ