আমরা সবাই সুখে শান্তিতে থাকতে চাই। এজন্য আমাদের সর্বপ্রথম রিজিক বৃদ্ধি করতে হবে। রিজিক বা অর্থ সম্পদ বাড়াতে চায় না এমন লোক পাওয়া না।আমরা অনেকেই ইবাদাতের সময় ভুলে অর্থ সম্পদ বাড়াতে কাজে ব্যস্ত থাকি। আমরা ভুলে যাই এই রিজিকের একমাত্র মালিক মহান আল্লাহ তায়ালা। রিজিক বৃদ্ধির আমল
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহ বলেন, হে আদম সন্তান, আমার ইবাদতের জন্য তুমি ঝামেলামুক্ত হও, আমি তোমার অন্তরকে প্রাচুর্য দিয়ে ভরে দেব এবং তোমার দারিদ্র্য ঘুচিয়ে দেব। আর যদি তা না করো, তবে তোমার হাত ব্যস্ততায় ভরে দেব এবং তোমার অভাব দূর করে দেব না।’( তিরমিজি)
মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেছেন , নিশ্চয়ই আমার রব তার বান্দাদের মধ্যে যার জন্য ইচ্ছা রিজিক প্রশস্ত করেন এবং সংকুচিত করেন। আর তোমরা যা কিছু আল্লাহর জন্য ব্যয় করো, তিনি তার বিনিময় দেবেন এবং তিনিই শ্রেষ্ঠ রিজিকদাতা।’( সুরা :সাবা,আয়াত : ৩৯)
তাই আমাদের রিজিক বৃদ্ধির জন্য মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে শুকরিয়া আদায় করতে হবে ।আল্লাহর রহমত পাওয়ার জন্য তার প্রিয় বান্দা হতে হবে। কারণ মহান আল্লাহ তায়ালা সমস্ত রিজিকের উৎস। তিনি পালনকর্তা, রিজিকদাতা এবং সব কিছুর মালিক। তাই রিজিকের জন্য তাঁর কাছে প্রার্থনা করা উচিত।
মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেছেন ,‘অতঃপর বলেছি, তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো। নিশ্চয় তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের জন্য প্রচুর বৃষ্টিপাত করবেন এবং তিনি তোমাদেরকে ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি দ্বারা সমৃদ্ধ করবেন এবং তোমাদের জন্য উদ্যান স্থাপন করবেন এবং প্রবাহিত করবেন নদীনালা।’ (সুরা :নুহ , আয়াত : ১০-১২)
মহান আল্লাহ তায়ালা বান্দার প্রতি অনেক দয়াশীল। বান্দা যদি মহান আল্লাহর কাছে রিজিকে বরকত বৃদ্ধির জন্য আমল করে তাহলে মহান আল্লাহ তায়ালা তার রিজিকে বরকত বাড়িয়ে দেন।
অনেকে আছেন যারা কঠোর পরিশ্রম করেন কিন্তু পরিশ্রমের মূল্য সেভাবে পান না আবার অনেকেই আছেন যারা অল্প পরিশ্রম করার পরেও সুখে থাকে। এ সব কিছুর মূল হচ্ছে বরকত। কুরআনের দিক নির্দেশনার আলোকে বুঝা যায়, রিজিকে বরকত লাভের কুরআনি আমল হলো আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।
কুরআন, হাদীস অনুসন্ধান করে কিছু আমল পাওয়া যায় যেগুলোর ব্যাপারে রিজিক বৃদ্ধির ওয়াদা রয়েছে। সেগুলো হলো :
১। তাওবা – ইস্তেগফার করা (রিজিক বৃদ্ধির আমল)
রিজিক বৃদ্ধির জন্য মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। ক্ষমার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা আমাদের রিজিক বৃদ্ধি করে দেন।
হজরত মুহাম্মদ (সা) বলেছেন ,‘যে ব্যক্তি অধিক পরিমাণে ইস্তেগফার পড়বে, আল্লাহ তাকে দুশ্চিন্তা ও সংকটাপন্ন অবস্থা থেকে মুক্ত করে দেবেন এবং ধারণাতীতভাবে তাকে জীবিকা দান করবেন।’( আবু দাউদ)
হরজত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, যারা বেশি বেশি তাওবাহ-ইসতেগফার করে; তাদের সামনে যত সংকটই (অভাব) থাকুক না কেন, মহান আল্লাহ তাআলা তা সমাধান করে দেন।’ (মুসতাদরেকে হাকেম)
কয়েকটি ছোট ইস্তেগফার (রিজিক বৃদ্ধির আমল)
১। أَستَغْفِرُ اللهَ
উচ্চারণ : ‘আস্তাগফিরুল্লাহ।’
অর্থ : আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
২। أَسْتَغْفِرُ اللهَ وَأَتُوْبُ إِلَيْهِ
উচ্চারণ : ‘আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আতুবু ইলাইহি।‘
অর্থ : আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তাঁর দিকেই ফিরে আসছি।
৩। رَبِّ اغْفِرْ لِيْ وَتُبْ عَلَيَّ إِنَّكَ (أنْتَ) التَّوَّابُ الرَّحِيْمُ
উচ্চারণ : ‘রাব্বিগ্ ফিরলি ওয়া তুব আলাইয়্যা ইন্নাকা (আংতাত) তাওয়্যাবুর রাহিম।’
অর্থ : ‘হে আমার প্রভু! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমার তাওবাহ কবুল করুন। নিশ্চয় আপনি মহান তাওবা কবুলকারী করুণাময়।’
৪। ﺃَﺳْﺘَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺍﻟْﻌَﻈﻴﻢَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﻫُﻮَ ﺍﻟْﺤَﻲُّ ﺍﻟﻘَﻴّﻮُﻡُ ﻭَﺃَﺗُﻮﺏُ ﺇِﻟَﻴﻪِ –
উচ্চাণ : আসতাগফিরুল্লাহাল আজিম আল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুম ওয়া আতুবু ইলাইহি।
অর্থ: ‘আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। যিনি ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত কোনো উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব ও চিরস্থায়ী। আমি তাঁর কাছেই তওবা করছি।
রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যেই ব্যক্তি এই দোয়া পড়বে আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দেবেন, যদিও সে জিহাদের ময়দান থেকে পলায়ন করার মতো অপরাধী হয়।’ (তিরমিজি, আবু দাউদ, মিশকাত)।
২। তাওয়াককুল বা আল্লাহর ওপর ভরসা
তাওয়াক্কুল হলো কোনো কিছু পাওয়ার উদ্দেশ্যে চেষ্টা করা ও বিশ্বাস করা যে মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের জন্য যা কল্যাণকর তাই দেবেন। আল্লাহর ওপর পূরণ আস্থা স্থাপন করা রিজিক বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।
মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেছেন ,‘আর যে আল্লাহকে ভয় করে, তিনি তার জন্য উত্তরণের পথ তৈরি করে দেন। এবং তিনি তাকে এমন উৎস থেকে রিজিক দেবেন, যা সে কল্পনাও করতে পারবে না। আর যে আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করে আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট। আল্লাহ তার উদ্দেশ্য পূর্ণ করবেনই। নিশ্চয়ই আল্লাহ প্রত্যেক জিনিসের জন্য একটি সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন।’ (সুরা : তালাক, আয়াত : ২-৩)
হযরত উমর রা: থেকে বর্ণিত ,হজরত মুহাম্মদ ( স) এরশাদ করেছেন , যদি তোমরা আল্লাহর ওপর ভরসা করার মতো ভরসা করতে তাহলে তিনি তোমাদের রিযিক দিতেন যেভাবে পাখিকে রিযিক দেন, যে সকালে বের হয় ক্ষুধার্ত অবস্থায় আর বিকেলে উদর পূর্তি করে ফিরে আসে।(তিরমিযী,নাসায়ী, ইবনে মাযাহ, মসনদে আহমদ)
৩। তাকওয়ার ওপর অটল থাকা
যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে চলবে ,আল্লাহ তায়ালা তার সকল অভাব দূর করে দিবেন এবং তার রিজিকের বরকত দিবেন।
হারাম হালাল মেনে চলতে হবে। আল্লাহর সকল আদেশ নিষেধ মেনে চলতে হবে। তার ইবাদাত বন্দেগী করতে হবে এবং তাকে বেশি ভয় করতে হবে। তবেই আল্লাহ তাআলা ওই বান্দার জন্য আসমানে ও জমিনের সব রিজিকে বরকতের দুয়ার খুলে দেবেন।
৪। আল্লাহর রাস্তায় দান করা
আল্লাহর রাস্তায় দান করলে আল্লাহ তায়ালা খুশি হয়ে তার রিজিক কয়েকগুন বৃদ্ধি করে দিবেন। রিজিক বৃদ্ধির জন্য আমাদের দান করতে হবে এবং অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে হবে।মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা) অসহায়দের সাহায্য করার জন্য তাগিদ দিয়েছেন।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা) বলেছেন ,দান করার যদি কিছু না থাকে তবে একটি খেজুরের অংশ দিয়ে হলেও দান করার মাধ্যমে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচার চেষ্টা কর।
পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে , ‘(হে রাসুল! আপনি)বলুন, নিশ্চয়ই আমার রব তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার জন্য ইচ্ছা রিজিক প্রশস্ত করেন এবং সঙ্কুচিত করেন। আর তোমরা যা কিছু আল্লাহর জন্য ব্যয় কর তিনি তার বিনিময় দেবেন এবং তিনিই উত্তম রিজিকতা।’ (সুরা :সাবা , আয়াত: ৩৯)
৫। প্রতিদিন সূরা ওয়াকিয়াহ তেলাওয়াত করতে হবে
সূরা ওয়াকিয়াহ হলো প্রাচুর্যের সূরা। এ সূরা পাঠ করলে দারিদ্রতা কখনো গ্রাস করতে পারে না। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, যে ব্যক্তি প্রতিদিন রাতে সূরা ওয়াক্বিয়াহ তেলাওয়াত করবে তাকে কখনো দরিদ্রতা স্পর্শ করবে না। আমি আমার মেয়েদেরকে প্রত্যেক রাতে এ সূরা তেলাওয়াত করার আদেশ করেছি। (বায়হাকি:শুআবুল ঈমান-২৪৯৮)
হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা’আলা থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন সূরা ওয়াকিয়া প্রাচুর্যের সুরা। সুতরাং তোমরা পাঠ করো এবং তোমাদের সন্তানদের শিক্ষা দাও। (আদ্দুররুল মানজুর ১৪/১৭৩)
৬। আত্ত্বীয় স্বজনদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা
আত্ত্বীয় স্বজনদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখলে আল্লাহ তায়ালা রিজিক বৃদ্ধি করে দেন। তাই রিজিক বৃদ্ধির জন্য আত্ত্বীয়দের সাথে সম্পর্ক ভালো রাখতে হবে। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা) বলেছেন ,বাড়িতে মেহমান আসলে আমি অনেক আনন্দ অনুভব করি। যে বাড়িতে মেহমান নেই সে বাড়িতে আনন্দ নেই।
হাদিস শরীফে বলা হয়েছে ,মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা) বলেছেন ,যে ব্যক্তি উত্তমভাবে মেহমানদারী করে না তার মাঝে কল্যাণ নেই। (মুসনাদে আহমদ ,হাদিস নং:১৭৪১৯)
হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কামনা করে যে, তার রিজিক বাড়াতে চায় বা প্রশস্ত করতে চায়; তার হায়াত বা আয়ুকে দীর্ঘ করতে সে যেন আত্মীয়-স্বজন, পরিবারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখে।’ (বুখারি:৫৯৮৫, ও মুসলিম:৪৬৩৯)
৭। ওমরাহ করা
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ওমরাহ করে; ওমরাহ তার গোনাহ, তার অভাব অনেক দূরে পাঠিয়ে দেয়।’ (তিরমিজি)
৮। ইবাদাত বন্দেগী করা ও কুরআন তেলাওয়াত করা
রিজিক বৃদ্ধি করতে হলে মহান আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া আদায় করতে হবে। এজন্য আমাদের বেশি বেশি ইবাদাত বন্দেগী করতে হবে ও কুরআন তেলাওয়াত করতে হবে। নিজে যেমন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবে তেমনি পরিবারের সব সদস্যকে নামাজ আদায় করার তাগিদ দিতে হবে। তাহলে আল্লাহ তায়ালা খুশি হয়ে রিজিক বৃদ্ধি করে দিবেন।
পবিত্র কুরআনে বলে হয়েছে ,‘আপনি আপনার পরিবারের লোকদেরকে নামাজের আদেশ দিন এবং নিজেও এর ওপর অবিচল থাকুন। আমি আপনার কাছে কোনো রিজিক চাই না। আমি আপনাকে রিজিক দেই এবং আল্লাহকে ভয় করার পরিণাম শুভ তথা কল্যাণকার।’ (সুরা ত্বাহা : আয়াত ১৩২)
যে ঘরে কুরআন তেলাওয়াত করা হয় সে ঘরে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ টি কল্যাণ ও বরকত নেমে আসে। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন ,‘এটি এমন একটি কিতাব, যা আমি অবতীর্ণ করেছি, খুব মঙ্গলময়, অতএব, এর অনুসরণ কর এবং ভয় কর; যাতে তোমরা করুণাপ্রাপ্ত হও।’ (সুরা আনআম : আয়াত ১৫৫)
৯। বিয়ে করা
বিয়ে করার মাধ্যমে রিজিক বৃদ্ধি করা যায়। যারা নেক নিয়তে বিয়ে করে মহান আল্লাহ তায়ালা তাদের রিজিক বৃদ্ধি করে দেন।
মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেছেন ,‘তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহহীন, তাদের বিবাহ সম্পাদন করে দাও এবং তোমাদের দাস ও দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ন, তাদেরও। তারা যদি নিঃস্ব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে সচ্ছল করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।’ (সুরা নুর : আয়াত ৩২)
১০। সকাল বেলা কাজ শুরু করা
রিজিক বৃদ্ধির অন্যতম উপায় হলো সকালবেলা কাজ শুরু করা। কেননা সকালবেলার কাজে মহান আল্লাহ তায়ালা বরকত দান করেন। রিজিক বৃদ্ধির আমল
হজরত সাখর আল – গামিদি (রা) হতে বর্ণিত ,হজরত মুহাম্মদ (সা) বলেছেন ,হে আল্লাহ ! আপনি আমার উম্মতকে ভোরের বরকত দান করুন। তিনি কোনো যুদ্ধে তার বাহিনীকে কোথাও পাঠালে দিনের প্রথমভাগেই পাঠাতেন।
হজরত সাখর আল – গামিদি (রা) হতে বর্ণিত ,হজরত মুহাম্মদ (সা) বলেছেন ,হে আল্লাহ ! আপনি ভোরের বরকত দান করুন। তিনি কোনো যুদ্ধে তার বাহিনীকে কোথাও পাঠালে দিনের প্রথমভাগেই পাঠাতেন।
১১। বিসমিল্লাহ বলে কাজ শুরু করা
সব কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলে শুরু করতে হবে। তাহলে সেই কাজে বরকত লাভ করা যাবে। বিসমিল্লাহ না বলে কাজ শুরু করলে সব কাজেই শয়তান অংশ গ্রহণ করে যার কারণে ওই সকল কাজে বরকত কমে যায়।
যখন সব কাজ বিসমিল্লাহ বলে শুরু করে, তখন শয়তান সব কাজ থেকে মাহরুম হয়। আর আল্লাহ তাআলা সব কাজেই বরকত দান করেন।
১২। সঠিক ভাবে সালাম দেয়া
পরিপূর্ন ও সুস্পষ্ট ভাবে সালাম দেয়ার মাধ্যমে বরকত লাভ করা যায়। সালাম ও সালামের উত্তর পুরোটাই শান্তি ,রহমত ও বরকতের দোয়া।
১৩। বেশি বেশি দরূদ পড়া
রিজিক বৃদ্ধি করতে হলে বেশি বেশি দরূদ পড়তে হবে। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা) কে খুশি করতে হলে তার প্রতি বেশি বেশি দরূদ পড়তে হবে। রাসূল (সা) খুশি হলে আল্লাহ তায়ালাও ওই ব্যক্তির ওপর খুশি হন। সে যে প্রার্থনা করে মহান আল্লাহ তায়ালা তার সকল আশা পুরুন করে দেন।