যেসব পাপ নীরবে নেক আমল নষ্ট করে দেয়

Contents hide

যেসব পাপ নীরবে নেক আমল নষ্ট করে দেয় 

মহান আল্লাহ তায়ালা মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। আশরাফুল মাখলুকাত অর্থ হলো সৃষ্টির শ্রেষ্ট জীব। মহান আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদাত বন্দেগী করার জন্য। তার আদেশ নিষেধ মেনে চলার জন্য। পাপ আমল নষ্ট করে

মানুষ ও সর্বদা আল্লাহকে ভয় করে তার অনুগত হয়ে চলার চেষ্টা করে। কোনো ভুল ত্রুটি হলে তওবা করে নিজেকে শুধরে নেয়। কিন্তু মানুষ ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় বা অজ্ঞতার কারণে এমন কিছু পাপ কাজ করে ফেলে যার কারণে ওই ব্যক্তি যে নেক আমল করেছিল সেগুলো ওই পাপ কাজের জন্য নষ্ট হয়ে যায়। 

নেক আমল হলো মৃত্যুর পরবর্তী জীবনের মূলধন। দুনিয়াতে নেক আমল করলে মৃত্যুর পরে এর প্রতিদান পাওয়া যাবে। কিন্তু আমাদের কিছু কাজের জন্য গুনাহ তো হয়ই সাথে যে নেক আমল গুলো করেছিলাম সেগুলো নষ্ট হয়ে যায়। 

মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে  বলেছেন ,‘এটা এ জন্য যে আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন তারা তা অপছন্দ করে। সুতরাং আল্লাহ তাদের কাজ নিষ্ফল করে দেবেন।’ [ সুরা মুহাম্মদ, আয়াত : ৯ ]

একজন মুমিন ব্যক্তির উচিত এমন কোনো কাজে না জড়ানো যেগুলোর জন্য তার নেক আমল নষ্ট হয়ে যায়। যেসব কাজ বান্দার নেক আমল নষ্ট করে দেয় তার কয়েকটি উল্লেখ করা হলো : 

 

১। আল্লাহর সাথে শিরক করা (পাপ আমল নষ্ট করে)

মহান আল্লাহ তায়ালার সাথে অন্য কাওকে সমতুল্য হিসেবে মনে করাকে শিরক বলা হয়। এরকম কাজ করলে ওই ব্যক্তি যত  নেক আমল করেছিল তা সব নষ্ট হয়ে যাবে। 

মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে ঘোষণা করেছেন , ‘আপনার প্রতি ও আপনার পূর্ববর্তীদের প্রতি এই মর্মে ওহি পাঠানো হয়েছে যে যদি আল্লাহর সঙ্গে শরিক স্থির করেন, তাহলে আপনার কর্ম নিষ্ফল হবে এবং আপনি ক্ষতিগ্রস্তদের একজন হবেন। ’ (সুরা জুমার, আয়াত : ৬৫)

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছেন, মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমি অংশীবাদিতা (শিরক) হতে সব অংশীদারের তুলনায় বেশী মুখাপেক্ষীহীন। যে কেউ কোনো আমল করে এবং তাতে অন্যকে আমার সাথে শরিক করে, আমি তাকে ও তার আমল উভয়টিকেই বর্জন করি।’ (মুসলিম)

২।  রিয়া বা লোক দেখানো আমল 

ইবাদাত বন্দেগী লোক দেখানোর জন্য নয়। মহান আল্লাহকে খুশি করার জন্য। মানুষের প্রতিটি কাজী মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিনকে খুশি করার উদ্দেশ্যে করতে হবে। তাহলে দুনিয়া ও পরকালে এ ভালো কাজের সুফলতা পাওয়া যাবে। 

যারা আল্লাহকে খুশি করা ছাড়া নিজের কাজ হাসিল করার উদ্দেশ্যে ইবাদাত করে বা লোকমুখে তার কাজের সুনাম ছড়িয়ে পড়ার আশায় ইবাদাত করে তারা প্রকৃত মুমিন ব্যক্তি নয়। 

যারা মানুষকে দেখানোর উদ্দেশ্যে ইবাদাত করে তাতে সে গুনাহগার হবে সাথে তার আরো নেক আমল নষ্ট হয়ে যাবে। লোক দেখানো উদ্দেশ্যে ইবাদাত করা ব্যক্তিকে মহান আল্লাহ তায়ালা প্রতারক ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। 

মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেছেন ,‘নিশ্চয়ই মুনাফিকরা আল্লাহর সঙ্গে প্রতারণা করতে চায়। অথচ তিনিও তাদের সাথে প্রতারণা করতে সক্ষম। যখন তারা ছালাতে দাঁড়ায় তখন আলস্যভরে দাঁড়ায়। তারা লোকদের দেখায় যে তারা ছালাত আদায় করছে, কিন্তু আল্লাহকে তারা কমই স্মরণ করে।’ (সুরা নিসা ,আয়াত নং: ১৪২)

মহান আল্লাহ তায়ালা অন্য আয়াতে বলেছেন , ‘যে কেউ দুনিয়ার জীবন ও তার শোভা কামনা করে, দুনিয়াতে আমরা তাদের কাজের পূর্ণ ফল দান করি এবং সেখানে তাদের কম দেওয়া হবে না। তাদের জন্য আখিরাতে আগুন ছাড়া অন্য কিছুই নেই এবং তারা যা করেছিল আখিরাতে তা নিষ্ফল হবে। আর তারা যা করত তা ছিল নিরর্থক। ’ (সুরা : হুদ, আয়াত নং : ১৫- ১৬)

হাদিস শরীফে বলা হয়েছে ,হজরত মুহাম্মদ (সা) বলেছেন ,‘আমি তোমাদের ওপর যা ভয় করি তার মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর হচ্ছে শিরকে আসগর বা ছোট শিরক। তারা বলল, হে আল্লাহর রাসুল, শিরকে আসগর কী? তিনি বলেন, রিয়া বা লোক-দেখানো আমল, আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন তাদের অর্থাৎ রিয়াকারীদের বলবেন, যখন মানুষকে তাদের আমলের বিনিময় দেওয়া হবে তোমরা তাদের কাছে যাও যাদের তোমরা দুনিয়ায় দেখাতে, দেখো তাদের কাছে কোনো প্রতিদান পাও কি না। ’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২৩৬৩৬)

 আবার আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোনো ভালো আমল শুরু করার পর যদি কোনো মানুষের মনে লোক দেখানো ভাব জাগ্রত হয়ে যায়। ভাব জাগ্রত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি ওই তা ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করে এবং এ ভাব থেকে সরে শুধু আল্লাহর খুশির জন্য আমল অব্যাহত রাখার চেষ্টা করে তবে তার ওই আমল শুদ্ধ হবে। সে আমলও আল্লাহর দরবারে কবুল হবে। পাপ আমল নষ্ট করে

৩।  দান করে খোটা দেওয়া 

কাওকে কোনো কিছু দিয়ে বা কারো কোনো উপকার করে সেগুলো বলা বা খোটা দেওয়া একটি অত্যন্ত ঘৃণিত ও জঘন্ন কাজ। 

কাওকে কোনো কিছু দান করলে  অনেক সওয়াব পাওয়া যায়। কিন্তু দান করে যদি খোটা দেওয়া হয় বা বলে বেড়ানো হয় তাহলে সওয়াবের পরিবর্তে আরো বেশি গুনাহ হবে। তাছাড়া তার নেক আমল নষ্ট হয়ে যাবে। 

মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেছেন ,‘হে মুমিনরা, দানের কথা বলে বেড়িয়ে এবং কষ্ট দিয়ে তোমরা তোমাদের দানকে ওই ব্যক্তির মতো নিষ্ফল করো না, যে নিজের সম্পদ লোক দেখানোর জন্য ব্যয় করে থাকে এবং আল্লাহ ও আখিরাতে ঈমান রাখে না। ফলে তার উপমা হলো এমন একটি মসৃণ পাথর, যার ওপর কিছু মাটি থাকে, তারপর প্রবল বৃষ্টিপাত সেটাকে পরিষ্কার করে দেয়। যা তারা উপার্জন করেছে তার কিছুই তারা তাদের কাজে লাগানোর ক্ষমতা রাখে না। আর আল্লাহ কাফির সম্প্রদায়কে হিদায়াত করেন না। ’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৬৪)

৪। ইচ্ছাকৃতভাবে আসরের নামাজ ছেড়ে দেয়া 

একজন মুমিন ব্যক্তির কাছে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ই গুরুত্বপূর্ণ। মহান আল্লাহ তায়ালা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করে দিয়েছেন। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা ৮২ বার নামাজের কথা উল্লেখ করেছেন। আর কোনো কথা এত বার বলা হয়নি। 

এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে আল্লাহ তাআলা আসরের নামাজের ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা নামাজের প্রতি যত্নবান হবে, বিশেষত মধ্যবর্তী (আসরের) নামাজের প্রতি। এবং আল্লাহর উদ্দেশ্যে তোমরা দাঁড়াবে বিনীতভাবে। ’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৩৮)

যদি কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত আসরের নামাজ ছেড়ে দেয় তাহলে তার আমল বিনষ্ট হয়ে যায়। বুরাইদা (রা.) বলেন, নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আসরের নামাজ ছেড়ে দেয় তার আমল বিনষ্ট হয়ে যায়। ’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৫৩)

৫। আল্লাহর প্রতি অমূলক ধারণ করা 

 আল্লাহর প্রতি অমূলক ধারণা বান্দার সব আমল নষ্ট করে ফেলতে পারে। বিশেষত আল্লাহর নামে মিথ্যা শপথ করলে।

 রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘এক লোক বলল, আল্লাহর শপথ! আল্লাহ অমুক লোককে মাফ করবেন না। আর আল্লাহ তাআলা বলেন, সে লোক কে? যে শপথ খেয়ে বলে যে আমি অমুককে মাফ করব না? আমি তাকে মাফ করে দিলাম এবং তোমার আমল (শপথ)-কে নষ্ট করে দিলাম কিংবা সে যেমন বলেছেন। ’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৬৫৭৫)

৬। আল্লাহ ও তার রাসূলের অসম্মান করা 

আল্লাহ ও তার রাসূলের  করা প্রত্যেক মুমিনের কর্তব্য। এমন কোনো কাজ বা কথা বলা যাবে না যার কারণে আল্লাহ তায়ালা ও তার রাসূল (সা) কষ্ট  পায়। কেউ তা নষ্ট করলে তার আমল নষ্ট হয়ে যাবে।

মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেছেন , হে ঈমানদাররা, তোমরা নবীর কণ্ঠস্বরের ওপর নিজেদের কণ্ঠস্বর উঁচু কোরো না এবং নিজেদের মধ্যে যেভাবে উচ্চ স্বরে কথা বলো তার সঙ্গে সেরূপ উচ্চ স্বরে কথা বলো না; এ আশঙ্কায় যে তোমাদের সব কাজ বিনষ্ট হয়ে যাবে অথচ তোমরা উপলব্ধিও করতে পারবে না। (সুরা হুজরাত, আয়াত : ২)

মহান আল্লাহ তায়ালা আরো একটি আয়াতে বলেছেন ,যারা রাসুল (সা.)-এর মজলিসে ওঠাবসা ও যাতায়াত করত, তাদের এ আদব-কায়দা ও শিষ্টাচার শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। এর উদ্দেশ্য ছিল নবীর সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ ও কথাবার্তার সময় যেন ঈমানদাররা তাঁর সম্মান ও মর্যাদার প্রতি একান্তভাবে লক্ষ্য রাখেন। অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে মুমিনরা, তোমরা আল্লাহর আনুগত্য করো এবং রাসুলের আনুগত্য করো, আর তোমরা তোমাদের আমল বিনষ্ট কোরো না। ’ (সুরা মুহাম্মাদ, আয়াত : ৩৩)

৭। গণক বা  জাদুকরকে বিশ্বাস করা 

ভবিষ্যৎ বিষয়ে জানার জন্য গণক বা জাদুকরকে বিশ্বাস করে বা তাদের কাছে যাওয়া ইসলামে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কারণ একজন মানুষের জীবনে ভবিষ্যতে কি হবে তা মহান আল্লাহ তায়ালা ছাড়া কেও কিছু বলতে পারে না। 

হাদিস শরীফে বলা হয়েছে ,হজরত মুহাম্মদ (সা) বলেছেন ,যে ব্যক্তি গণকের কাছে গেল এবং তাকে কোনো ব্যাপারে প্রশ্ন করল, ৪০ রাত তার কোনো নামাজ কবুল হবে না।(মুসলিম, হাদিস : ৫৭১৪)

৮।  গোপনে হারাম কাজ করা 

মহান আল্লাহ তায়ালা হারাম কাজ করতে নিষেধ করেছেন। মহান আল্লাহ তায়ালা যেসব কাজ হারাম ঘোষণা করেছেন ,সেগুলো থেকে দূরে থাকা মুমিন ব্যক্তির কর্তব্য। অনেকে গোপনে হারাম কাজ করে লোকজনের ভয়ে। 

লোকজন তাকে নিয়ে সমালোচনা করবে এটা ভেবে গোপনে হারাম কাজ করে। কিন্তু যতই গোপনে করুক না কেন মহান আল্লাহ তায়ালা সব কিচি দেখতে পান। আল্লাহ তায়ালাকে কেও ফাঁকি দিতে পারে না। কেও যদি গোপনে হারাম কাজ করে তাহলে নেক আমল নষ্ট হয়ে যাবে। 

হাদিস শরীফে বলা হয়েছে ,সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, আমি আমার উম্মতের একদল সম্পর্কে অবশ্যই জানি, যারা কিয়ামতের দিন তিহামার শুভ্র পর্বতমালার সমতুল্য নেক আমলসহ উপস্থিত হবে। মহামহিম আল্লাহ সেগুলোকে বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত করবেন।

সাওবান (রা.) বলেন, হে আল্লাহর রাসুল! তাদের পরিচয় পরিষ্কারভাবে আমাদের কাছে বর্ণনা করুন, যাতে অজ্ঞাতসারে আমরা তাদের অন্তর্ভুক্ত না হই। তিনি বলেন, তারা তোমাদেরই ভ্রাতৃগোষ্ঠী এবং তোমাদের সমপ্রদায়ভুক্ত। তারা রাতের বেলা তোমাদের মতো ইবাদত করবে। কিন্তু তারা এমন লোক যে একান্ত গোপনে আল্লাহর হারামকৃত বিষয়ে লিপ্ত হবে। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৪২৪৫)

৯।  বিদআতের প্রচার – প্রসার করা 

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা) যে সব কাজ করেছেন এবং বলেছেন তা পালন করা সুন্নত। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা) এর বলা কথা ও কাজ অনুসরণ করে চললে প্রকৃত মুমিন হওয়া যায়। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা) যেগুলো করেছে সেগুলো পরিবর্তন করা বা নতুন কিছু যোগ করা ইসলামে নিষিদ্ধ। 

যে ব্যক্তি বেশি সওয়াব লেভার আশায় এগুলো করবে ,তার সওয়াব তো হবেই না বরং গুনাহের পাল্লা ভারী হবে। তাছাড়া ওই ব্যক্তি আরো যে নেক আমল করেছিল সেগুলো নষ্ট হয়ে যাবে। 

হাদিস শরীফে বলা হয়েছে , উম্মুল মুমিনিন আয়েশা সিদ্দিকা  (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমাদের এই দ্বিনে (ইসলাম ধর্মে) কোনো নতুন কিছু সৃষ্টি করে, যা (যার ভিত্তি) তার মধ্যে নেই তা প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ’ (বুখারি, হাদিস : ২৬৯৭)

 

১০। মুরতাদ বা ঈমান ত্যাগকারী 

আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস আনার পর তাঁকে অস্বীকার করা এবং কুফরির জন্য হৃদয় উন্মুক্ত রাখাকে মুরতাদ বা ঈমান ত্যাগকারী বলা হয়। 

শরিয়তে ঈমান ত্যাগকারীর ইহলৌকিক ও পারলৌকিক অনেক শাস্তির কথা বলা হয়েছে। পার্থিব শাস্তির একটি দিক হলো যাবতীয় আমল বিনষ্ট হয়ে যাওয়া। ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের মধ্যে যারা নিজের দ্বিন থেকে ফিরে যাবে এবং কাফির অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে, দুনিয়া ও আখিরাতে তাদের যাবতীয় আমল বিনষ্ট হয়ে যাবে। আর তারাই হলো দোজখবাসী। তাতে তারা চিরকাল বাস করবে। ’ (সুরা :  বাকারা, আয়াত : ২১৭)

১১। শখ করে কুকুর পোষা 

কুকুর পালন করা ইসলামে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কোনো ব্যক্তি যদি সব সময় নেক কাজ করে থাকে কিন্তু সে কুকুর পালন করে তাহলে তার সব নেক কাজ নষ্ট হয়ে যাবে। 

হাদিস শরীফে বলা হয়েছে ,সাহাবি ইবনে ওমর (রা,) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি শিকার করা বা গবাদি পশু পাহারা অথবা শস্যক্ষেত পাহারা দেওয়ার উদ্দেশ্য ছাড়া কুকুর লালন-পালন করে, প্রতিদিন ওই ব্যক্তির দুই কিরাত পরিমাণ নেকি হ্রাস পায়। ’ (তিরমিজি, হাদিস : ১৪৮৭)

যে ৬ টি কারণে অধিকাংশ নারী জাহান্নামে যাবে

Sharing Is Caring:

Leave a Comment