সূরা ইয়াসিন এর ফজিলত,অর্থ ,বাংলা অনুবাদ ছবি । Surah Yasin

মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে ১১৪ টি সূরা নাজিল করেছে। সূরা ইয়াসিন পবিত্র কুরআনুল কারিমের ৩৬ তম  সূরা ,এর আয়াত সংখ্যা ৮৩,এই সূরায় রুকুর সংখ্যা ৫ টি এবং ৭ টি মুবিন  রয়েছে  । হজরত মুহাম্মদ (সা) এর নবুয়ত লাভের প্রথম দিকে এবং হিজরতের বহু  আগে  মক্কায় এ সূরা টি নাজিল হয়। 

এক হাদিসে সূরা ইয়াসিনকে আয়িমা বলা হয়েছে। এ ছাড়াও মুদাফিয়া ও কাযিরা নাম উল্লেখ আছে। এ সূরা প্রথম আয়াত অনুসারে এ সূরার নাম ইয়াসিন রাখা হয়েছে। ফজিলতের দিক থেকে এ সূরা  অদ্বিতীয় তেমনি মানুষের জীবন সংশ্লিষ্ট বিষয় আলোচনায় এ সূরা বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। 

এ সুরে হাশর -নাসর বিশদ ব্যাখ্যা অলঙ্কার সহকারে বর্ণিত হয়েছে। পরকালের বিশ্বাস ইমানের এমন একটি মূলনীতি ,যার ওপর মানুষের সব আমল ও আচরনের বিশুদ্ধতা নির্ভরশীল। 

হজরত আনাস (রাঃ ) বর্ণনা করেছেন ,মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ ) বলেছেন ,প্রত্যেক বস্তুরই একটা হৃদয় থাকে আর কুরআনের হৃদয় হলো সূরা ইয়াসিন।এ সূরায়  মানুষকে পরকালের প্রস্তুতির কথা বলা হয়েছে।

পরকালভীতি মানুষকে ভালো কাজে উৎসাহ দেয়  আর  হারাম কাজ থেকে বিরত রাখে।  এ সূরা বুঝে নিয়মিত পাঠ করলে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনকারীর কোনো গুনাহ থাকে না। 

সূরা ইয়াসিন তেলাওয়াত

 

 

সূরা ইয়াসিন বাংলা অনুবাদএবং অর্থ

 

নোটঃ আরবি উচ্চারণের সাথে বাংলা লিখার কিছু ভিন্নতা থাকতে পারে। সবচেয়ে ভালো উপায় হল তিলওয়াত শুনে মুখস্ত করা।

 

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ।

অর্থঃ শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়,অতি দয়ালু।

 

يس

উচ্চারণঃ ইয়া-সী-ন্

অর্থঃ ইয়া-সীন [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:১ ]

 

وَالْقُرْآنِ الْحَكِيمِ 

উচ্চারণঃ ওয়াল কুরআ-নিল হাকীম।

অর্থঃ প্রজ্ঞাময় কোরআনের কসম। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:২ ]

 

إِنَّكَ لَمِنَ الْمُرْسَلِينَ 

উচ্চারণঃ ইন্নাকা লামিনাল মুরছালীন।

অর্থঃ নিশ্চয় আপনি প্রেরিত রসূলগণের একজন। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৩ ]

 

عَلَى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيمٍ 

উচ্চারণঃ ‘আলা-সিরাতিম মুছতাকীম।

অর্থঃ সরল পথে প্রতিষ্ঠিত। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৪ ]

 

تَنزِيلَ الْعَزِيزِ الرَّحِيمِ 

উচ্চারণঃ তানঝীলাল ‘আঝীঝির রাহীম।

অর্থঃ কোরআন পরাক্রমশালী পরম দয়ালু আল্লাহর তরফ থেকে অবতীর্ণ, [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৫ ]

 

لِتُنذِرَ قَوْمًا مَّا أُنذِرَ آبَاؤُهُمْ فَهُمْ غَافِلُونَ 

উচ্চারণঃ লিতুনযিরা কাওমাম্মাউনযিরা আ-বাউহুম ফাহুম গা-ফিলূন।

অর্থঃ যাতে আপনি এমন এক জাতিকে সতর্ক করেন, যাদের পূর্ব পুরুষগণকেও সতর্ক করা হয়নি। ফলে তারা গাফেল। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৬ ]

 

لَقَدْ حَقَّ الْقَوْلُ عَلَى أَكْثَرِهِمْ فَهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ 

উচ্চারণঃ লাকাদ হাক্কাল কাওলু‘আলাআকছারিহিম ফাহুম লা-ইউ’মিনূন।

অর্থঃ তাদের অধিকাংশের জন্যে শাস্তির বিষয় অবধারিত হয়েছে। সুতরাং তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৭ ]

 

إِنَّا جَعَلْنَا فِي أَعْنَاقِهِمْ أَغْلاَلاً فَهِيَ إِلَى الأَذْقَانِ فَهُم مُّقْمَحُونَ 

উচ্চারণঃ ইন্না- জা‘আলনা-ফী আ‘না-কিহিম আগলা-লান ফাহিয়া ইলাল আযকা-নি ফাহুম মুকমাহূন।

অর্থঃ আমি তাদের গর্দানে চিবুক পর্যন্ত বেড়ী পরিয়েছি। ফলে তাদের মস্তক উর্দ্ধমুখী হয়ে গেছে। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৮ ]

 

وَجَعَلْنَا مِن بَيْنِ أَيْدِيهِمْ سَدًّا وَمِنْ خَلْفِهِمْ سَدًّا فَأَغْشَيْنَاهُمْ فَهُمْ لاَ يُبْصِرُونَ 

উচ্চারণঃ ওয়া জা‘আল না-মিম বাইনি আইদীহিম ছাদ্দাওঁ ওয়া মিন খালফিহিম ছাদ্দান ফাআগশাইনা-হুম ফাহুম লা-ইউবসিরূন।

অর্থঃ আমি তাদের সামনে ও পিছনে প্রাচীর স্থাপন করেছি, অতঃপর তাদেরকে আবৃত করে দিয়েছি, ফলে তারা দেখে না। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৯ ]

 

وَسَوَاء عَلَيْهِمْ أَأَنذَرْتَهُمْ أَمْ لَمْ تُنذِرْهُمْ لاَ يُؤْمِنُونَ 

উচ্চারণঃ ওয়া ছাওয়াউন ‘আলাইহিম আ আনযারতাহুম আম লাম তুনযিরহুম লা-ইউ’মিনূন।

অর্থঃ আপনি তাদেরকে সতর্ক করুন বা না করুন, তাদের পক্ষে দুয়েই সমান; তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:১০ ]

 

إِنَّمَا تُنذِرُ مَنِ اتَّبَعَ الذِّكْرَ وَخَشِيَ الرَّحْمَن بِالْغَيْبِ فَبَشِّرْهُ بِمَغْفِرَةٍ وَأَجْرٍ كَرِيمٍ 

উচ্চারণঃ ইন্নামা-তুনযিরু মানিত্তাবা‘আযযিকরা ওয়া খাশিয়াররাহমা-না বিলগাইবি ফাবাশশিরহু বিমাগফিরাতিওঁ ওয়া আজরিন কারীম।

অর্থঃ আপনি কেবল তাদেরকেই সতর্ক করতে পারেন, যারা উপদেশ অনুসরণ করে এবং দয়াময় আল্লাহকে না দেখে ভয় করে। অতএব আপনি তাদেরকে সুসংবাদ দিয়ে দিন ক্ষমা ও সম্মানজনক পুরস্কারের। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:১১ ]

 

إِنَّا نَحْنُ نُحْيِي الْمَوْتَى وَنَكْتُبُ مَا قَدَّمُوا وَآثَارَهُمْ وَكُلَّ شَيْءٍ أحْصَيْنَاهُ فِي إِمَامٍ مُبِينٍ 

উচ্চারণঃ ইন্না-নাহনুনুহয়িল মাওতা-ওয়া নাকতুবুমা-কাদ্দামূওয়া আ-ছা-রাহুম ওয়া কুল্লা শাইয়িন আহসাইনা-হু ফীইমা-মিম মুবীন।

অর্থঃ আমিই মৃতদেরকে জীবিত করি এবং তাদের কর্ম ও কীর্তিসমূহ লিপিবদ্ধ করি। আমি প্রত্যেক বস্তু স্পষ্ট কিতাবে সংরক্ষিত রেখেছি। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:১২ ]

 

وَاضْرِبْ لَهُم مَّثَلاً أَصْحَابَ الْقَرْيَةِ إِذْ جَاءهَا الْمُرْسَلُونَ 

উচ্চারণঃওয়াদরিব লাহুম মাছালান আসহা-বাল কারইয়াহ ; ইযজাআহাল মুরছালূন।

অর্থঃ আপনি তাদের কাছে সে জনপদের অধিবাসীদের দৃষ্টান্ত বর্ণনা করুন, যখন সেখানে রসূল আগমন করেছিলেন। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:১৩ ]

 

إِذْ أَرْسَلْنَا إِلَيْهِمُ اثْنَيْنِ فَكَذَّبُوهُمَا فَعَزَّزْنَا بِثَالِثٍ فَقَالُوا إِنَّا إِلَيْكُم مُّرْسَلُونَ 

উচ্চারণঃ ইয আরছালনা ইলাইলিমুছনাইনি ফাকাযযাবূহুমা-ফা‘আঝঝাঝনা-বিছা-লিছিন ফাকালূইন্নাইলাউকুম মুরছালূন।

অর্থঃ আমি তাদের নিকট দুজন রসূল প্রেরণ করেছিলাম, অতঃপর ওরা তাদেরকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করল। তখন আমি তাদেরকে শক্তিশালী করলাম তৃতীয় একজনের মাধ্যমে। তারা সবাই বলল, আমরা তোমাদের প্রতি প্রেরিত হয়েছি। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:১৪ ]

 

قَالُوا مَا أَنتُمْ إِلاَّ بَشَرٌ مِّثْلُنَا وَمَا أَنزَلَ الرَّحْمن مِن شَيْءٍ إِنْ أَنتُمْ إِلاَّ تَكْذِبُونَ 

উচ্চারণঃ কা-লূমাআনতুম ইল্লা-বাশারুম মিছলুনা- ওয়ামাআনঝালাররাহমা-নুমিনশাইয়িন ইন আনতুম ইল্লা-তাকযিবূন।

অর্থঃ তারা বলল, তোমরা তো আমাদের মতই মানুষ, রহমান আল্লাহ কিছুই নাযিল করেননি। তোমরা কেবল মিথ্যাই বলে যাচ্ছ। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:১৫ ]

 

قَالُوا رَبُّنَا يَعْلَمُ إِنَّا إِلَيْكُمْ لَمُرْسَلُونَ 

উচ্চারণঃ কা-লূরাব্বুনা-ইয়া‘লামুইন্না-ইলাইকুম লামুরছালূন।

অর্থঃ রাসূলগণ বলল, আমাদের পরওয়ারদেগার জানেন, আমরা অবশ্যই তোমাদের প্রতি প্রেরিত হয়েছি। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:১৬ ]

 

وَمَا عَلَيْنَا إِلاَّ الْبَلاَغُ الْمُبِينُ 

উচ্চারণঃ ওয়ামা-‘আলাইনাইল্লাল বালা-গুল মুবীন।

অর্থঃ পরিস্কারভাবে আল্লাহর বাণী পৌছে দেয়াই আমাদের দায়িত্ব। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:১৭ ]

 

قَالُوا إِنَّا تَطَيَّرْنَا بِكُمْ لَئِن لَّمْ تَنتَهُوا لَنَرْجُمَنَّكُمْ وَلَيَمَسَّنَّكُم مِّنَّا عَذَابٌ أَلِيمٌ 

উচ্চারণঃ কা-লূইন্না-তাতাইয়ারনা বিকুম লাইল্লাম তানতাহূলানারজুমান্নাকুম ওয়ালাইয়ামাছছান্নাকুম মিন্না-‘আযা-বুন আলীম।

অর্থঃ তারা বলল, আমরা তোমাদেরকে অশুভ-অকল্যাণকর দেখছি। যদি তোমরা বিরত না হও, তবে অবশ্যই তোমাদেরকে প্রস্তর বর্ষণে হত্যা করব এবং আমাদের পক্ষ থেকে তোমাদেরকে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি স্পর্শ করবে। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:১৮ ]

 

قَالُوا طَائِرُكُمْ مَعَكُمْ أَئِن ذُكِّرْتُم بَلْ أَنتُمْ قَوْمٌ مُّسْرِفُونَ 

উচ্চারণঃ কা-লূতাইরুকুম মা‘আকুম আইন যুক্কিরতুম বাল আনতুম কাওমুম মুছরিফূন।

অর্থঃ রসূলগণ বলল, তোমাদের অকল্যাণ তোমাদের সাথেই! এটা কি এজন্যে যে, আমরা তোমাদেরকে সদুপদেশ দিয়েছি? বস্তুতঃ তোমরা সীমা লংঘনকারী সম্প্রদায় বৈ নও। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:১৯ ]

 

وَجَاء مِنْ أَقْصَى الْمَدِينَةِ رَجُلٌ يَسْعَى قَالَ يَا قَوْمِ اتَّبِعُوا الْمُرْسَلِينَ 

উচ্চারণঃ ওয়াজাআ মিন আকসাল মাদীনাতি রাজুলুইঁ ইয়াছ‘আ- কা-লা ইয়াকাওমিত্তাবি‘উল মুরছালীন।

অর্থঃ অতঃপর শহরের প্রান্তভাগ থেকে এক ব্যক্তি দৌড়ে এল। সে বলল, হে আমার সম্প্রদায় তোমরা রসূলগণের অনুসরণ কর। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:২০ ]

 

اتَّبِعُوا مَن لاَّ يَسْأَلُكُمْ أَجْرًا وَهُم مُّهْتَدُونَ 

উচ্চারণঃ ইত্তাবি‘ঊ মাল্লা-ইয়াছআলুকুম আজরাওঁ ওয়া হুম মুহতাদূন।

অর্থঃ অনুসরণ কর তাদের, যারা তোমাদের কাছে কোন বিনিময় কামনা করে না, অথচ তারা সুপথ প্রাপ্ত। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:২১ ]

 

وَمَا لِي لاَ أَعْبُدُ الَّذِي فَطَرَنِي وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ 

উচ্চারণঃ ওয়া মা-লিয়া লাআ‘বুদুল্লাযী ফাতারানী ওয়া ইলাইহি তুর জা‘উন

অর্থঃ আমার কি হল যে, যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং যার কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে, আমি তাঁর এবাদত করব না? [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:২২ ]

 

أَأَتَّخِذُ مِن دُونِهِ آلِهَةً إِن يُرِدْنِ الرَّحْمَن بِضُرٍّ لاَّ تُغْنِ عَنِّي شَفَاعَتُهُمْ شَيْئًا وَلاَ يُنقِذُونِ 

উচ্চারণঃ আআত্তাখিযুমিন দুনিহীআ-লিহাতান ইয়ঁইউরিদনির রাহমা-নুবিদু ররিল লা-তুগনি ‘আন্নী শাফা-‘আতুহুম শাইআওঁ ওয়ালা-ইউনকিযূন।

অর্থঃ আমি কি তাঁর পরিবর্তে অন্যান্যদেরকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করব? করুণাময় যদি আমাকে কষ্টে নিপতিত করতে চান, তবে তাদের সুপারিশ আমার কোনই কাজে আসবে না এবং তারা আমাকে রক্ষাও করতে পারবে না। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:২৩ ]

 

إِنِّي إِذًا لَّفِي ضَلاَلٍ مُّبِينٍ 

উচ্চারণঃ ইন্নী ইযাল্লাফী দালা-লিম্মুবীন।লা-লিম্ মুবীন্।

অর্থঃ এরূপ করলে আমি প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায় পতিত হব। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:২৪ ]

 

إِنِّي آمَنتُ بِرَبِّكُمْ فَاسْمَعُونِ 

উচ্চারণঃ ইন্নীআ-মানতুবিরাব্বিকুম ফাছমা‘ঊন।

অর্থঃ আমি নিশ্চিতভাবে তোমাদের পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করলাম। অতএব আমার কাছ থেকে শুনে নাও। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:২৫ ]

 

قِيلَ ادْخُلِ الْجَنَّةَ قَالَ يَا لَيْتَ قَوْمِي يَعْلَمُونَ 

উচ্চারণঃ কীলাদ খুলিল জান্নাতা কা-লা ইয়া-লাইতা কাওমী ইয়া‘লামূন।

অর্থঃ তাকে বলা হল, জান্নাতে প্রবেশ কর। সে বলল হায়, আমার সম্প্রদায় যদি কোন ক্রমে জানতে পারত- [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:২৬ ]

 

بِمَا غَفَرَ لِي رَبِّي وَجَعَلَنِي مِنَ الْمُكْرَمِينَ 

উচ্চারণঃ বিমা-গাফারালী রাববী ওয়া জা‘আলানী মিনাল মুকরামীন।

অর্থঃ যে আমার পরওয়ারদেগার আমাকে ক্ষমা করেছেন এবং আমাকে সম্মানিতদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:২৭ ]

 

وَمَا أَنزَلْنَا عَلَى قَوْمِهِ مِن بَعْدِهِ مِنْ جُندٍ مِّنَ السَّمَاء وَمَا كُنَّا مُنزِلِينَ 

উচ্চারণঃ ওয়ামাআনঝালনা-‘আলা-কাওমিহী মিম বা‘দিহী মিন জুনদিম মিনাছ ছামাইওয়ামা-কুন্নামুনঝিলীন।স্ সামা-য়ি অমা- কুন্না-মুন্যিলীন্।

অর্থঃ তারপর আমি তার সম্প্রদায়ের উপর আকাশ থেকে কোন বাহিনী অবতীর্ণ করিনি এবং আমি (বাহিনী) অবতরণকারীও না। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:২৮ ]

 

إِن كَانَتْ إِلاَّ صَيْحَةً وَاحِدَةً فَإِذَا هُمْ خَامِدُونَ 

উচ্চারণঃ ইন কা-নাত ইল্লা-সাইহাতাওঁ ওয়া-হিদাতান ফাইযা-হুম খা-মিদূন।

অর্থঃ বস্তুতঃ এ ছিল এক মহানাদ। অতঃপর সঙ্গে সঙ্গে সবাই স্তদ্ধ হয়ে গেল। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:২৯ ]

 

يَا حَسْرَةً عَلَى الْعِبَادِ مَا يَأْتِيهِم مِّن رَّسُولٍ إِلاَّ كَانُوا بِهِ يَسْتَهْزِئُون 

উচ্চারণঃ ইয়া-হাছরাতান ‘আলাল ‘ইবা-দি মা-ইয়া’তীহিম মির রাছূলিন ইল্লা-কা-নূবিহী ইয়াছতাহঝিউন।

অর্থঃ বান্দাদের জন্যে আক্ষেপ যে, তাদের কাছে এমন কোন রসূলই আগমন করেনি যাদের প্রতি তারা বিদ্রুপ করে না। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৩০ ]

 

أَلَمْ يَرَوْا كَمْ أَهْلَكْنَا قَبْلَهُم مِّنْ الْقُرُونِ أَنَّهُمْ إِلَيْهِمْ لاَ يَرْجِعُونَ 

উচ্চারণঃ আলাম ইয়ারাও কাম আহলাকনা- কাবলাহুম মিনাল কুরূনি আন্নাহুম ইলাইহিম লাইয়ারজি‘উন।

অর্থঃ তারা কি প্রত্যক্ষ করে না, তাদের পূর্বে আমি কত সম্প্রদায়কে ধ্বংস করেছি যে, তারা তাদের মধ্যে আর ফিরে আসবে না। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৩১ ]

 

وَإِن كُلٌّ لَّمَّا جَمِيعٌ لَّدَيْنَا مُحْضَرُونَ 

উচ্চারণঃ ওয়া ইন কুল্লুল লাম্মা-জামী‘উল লাদাইনা-মুহদারূন।

অর্থঃ ওদের সবাইকে সমবেত অবস্থায় আমার দরবারে উপস্থিত হতেই হবে। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৩২ ]

 

وَآيَةٌ لَّهُمُ الْأَرْضُ الْمَيْتَةُ أَحْيَيْنَاهَا وَأَخْرَجْنَا مِنْهَا حَبًّا فَمِنْهُ يَأْكُلُونَ 

উচ্চারণঃ ওয়া আ-য়াতুল লাহুমুল আরদুল মাইতাতু আহইয়াইনা-হা-ওয়াআখরাজনা-মিনহাহাব্বান ফামিনহু ইয়া’কুলূন।

অর্থঃ তাদের জন্যে একটি নিদর্শন মৃত পৃথিবী। আমি একে সঞ্জীবিত করি এবং তা থেকে উৎপন্ন করি শস্য, তারা তা থেকে ভক্ষণ করে। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৩৩ ]

 

وَجَعَلْنَا فِيهَا جَنَّاتٍ مِن نَّخِيلٍ وَأَعْنَابٍ وَفَجَّرْنَا فِيهَا مِنْ الْعُيُونِ 

উচ্চারণঃ ওয়া জা‘আল না-ফীহা-জান্না-তিম মিন নাখীলিওঁ ওয়া আ‘না-বিও ওয়া ফাজ্জারনা-ফীহামিনাল ‘উইঊন।

অর্থঃ আমি তাতে সৃষ্টি করি খেজুর ও আঙ্গুরের বাগান এবং প্রবাহিত করি তাতে নির্ঝরিণী। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৩৪ ]

 

لِيَأْكُلُوا مِن ثَمَرِهِ وَمَا عَمِلَتْهُ أَيْدِيهِمْ أَفَلَا يَشْكُرُونَ 

উচ্চারণঃ লিয়াকুলূ মিন্ ছামারিহী অমা ‘আমিলাত্হু আইদীহিম্; আফালা-ইয়াশ্কুরূন্।

অর্থঃ যাতে তারা তার ফল খায়। তাদের হাত একে সৃষ্টি করে না। অতঃপর তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না কেন? [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৩৫ ]

 

سُبْحَانَ الَّذِي خَلَقَ الْأَزْوَاجَ كُلَّهَا مِمَّا تُنبِتُ الْأَرْضُ وَمِنْ أَنفُسِهِمْ وَمِمَّا لَا يَعْلَمُونَ 

উচ্চারণঃ ছুবহা-নাল্লাযী খালাকাল আঝাওয়া-জা কুল্লাহা- মিম্মা-তুমবিতুলআরদুওয়া মিন আনফুছিহিম ওয়া মিম্মা-লা-ইয়া‘লামূন।

অর্থঃ পবিত্র তিনি যিনি যমীন থেকে উৎপন্ন উদ্ভিদকে, তাদেরই মানুষকে এবং যা তারা জানে না, তার প্রত্যেককে জোড়া জোড়া করে সৃষ্টি করেছেন। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৩৬ ]

 

وَآيَةٌ لَّهُمْ اللَّيْلُ نَسْلَخُ مِنْهُ النَّهَارَ فَإِذَا هُم مُّظْلِمُونَ 

উচ্চারণঃ ওয়া আ-য়াতুল্লাহুমুল্লাইলু নাছলাখুমিনহুন্নাহা-রা ফাইযা-হুম মুজলিমূন।

অর্থঃ তাদের জন্যে এক নিদর্শন রাত্রি, আমি তা থেকে দিনকে অপসারিত করি, তখনই তারা অন্ধকারে থেকে যায়। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৩৭ ]

 

وَالشَّمْسُ تَجْرِي لِمُسْتَقَرٍّ لَّهَا ذَلِكَ تَقْدِيرُ الْعَزِيزِ الْعَلِيمِ 

উচ্চারণঃ ওয়াশশামছুতাজরী লিমুছতাকাররিল লাহা- যা-লিকা তাকদীরুল ‘আঝীঝিল ‘আলীম।

অর্থঃ সূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্তন করে। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ, আল্লাহর নিয়ন্ত্রণ। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৩৮ ]

 

وَالْقَمَرَ قَدَّرْنَاهُ مَنَازِلَ حَتَّى عَادَ كَالْعُرْجُونِ الْقَدِيمِ 

উচ্চারণঃ ওয়াল কামারা কাদ্দারনা-হু মানা-ঝিলা হাত্তা-‘আ-দাকাল ‘উরজুনিল কাদীম।

অর্থঃ চন্দ্রের জন্যে আমি বিভিন্ন মনযিল নির্ধারিত করেছি। অবশেষে সে পুরাতন খর্জুর শাখার অনুরূপ হয়ে যায়। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৩৯ ]

 

لَا الشَّمْسُ يَنبَغِي لَهَا أَن تُدْرِكَ الْقَمَرَ وَلَا اللَّيْلُ سَابِقُ النَّهَارِ وَكُلٌّ فِي فَلَكٍ يَسْبَحُونَ 

উচ্চারণঃ লাশশামছুইয়ামবাগী লাহাআন তুদরিকাল কামারা ওয়ালাল্লাইলুছা-বিকুন্নাহা-রি ওয়া কুল্লুন ফী ফালাকিইঁ ইয়াছবাহূন।

অর্থঃ সূর্য নাগাল পেতে পারে না চন্দ্রের এবং রাত্রি অগ্রে চলে না দিনের প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষপথে সন্তরণ করে। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৪০ ]

 

وَآيَةٌ لَّهُمْ أَنَّا حَمَلْنَا ذُرِّيَّتَهُمْ فِي الْفُلْكِ الْمَشْحُونِ 

উচ্চারণঃ ওয়া আ-য়াতুল লাহুম আন্না-হামালনা-যুররিইয়াতাহুম ফিল ফুলকিল মাশহূন।

অর্থঃ তাদের জন্যে একটি নিদর্শন এই যে, আমি তাদের সন্তান-সন্ততিকে বোঝাই নৌকায় আরোহণ করিয়েছি। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৪১ ]

 

وَخَلَقْنَا لَهُم مِّن مِّثْلِهِ مَا يَرْكَبُونَ 

উচ্চারণঃ ওয়া খালাকনা-লাহুম মিম মিছলিহী মা ইয়ারকাবূন।

অর্থঃ এবং তাদের জন্যে নৌকার অনুরূপ যানবাহন সৃষ্টি করেছি, যাতে তারা আরোহণ করে। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৪২ ]

 

وَإِن نَّشَأْ نُغْرِقْهُمْ فَلَا صَرِيخَ لَهُمْ وَلَا هُمْ يُنقَذُونَ 

উচ্চারণঃ ওয়া ইন নাশা’ নুগরিকহুম ফালা-ছারীখা লাহুম ওয়ালা-হুম ইউনকাযূন।

অর্থঃ আমি ইচ্ছা করলে তাদেরকে নিমজ্জত করতে পারি, তখন তাদের জন্যে কোন সাহায্যকারী নেই এবং তারা পরিত্রাণও পাবে না। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৪৩ ]

 

إِلَّا رَحْمَةً مِّنَّا وَمَتَاعًا إِلَى حِينٍ 

উচ্চারণঃ ইল্লা-রাহমাতাম মিন্না -ওয়া মাতা-‘আন ইলা-হীন।

অর্থঃ কিন্তু আমারই পক্ষ থেকে কৃপা এবং তাদেরকে কিছু কাল জীবনোপভোগ করার সুযোগ দেয়ার কারণে তা করি না। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৪৪ ]

 

وَإِذَا قِيلَ لَهُمُ اتَّقُوا مَا بَيْنَ أَيْدِيكُمْ وَمَا خَلْفَكُمْ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ 

উচ্চারণঃ ওয়া ইযা-কীলা লাহুমুত্তাকূ মা- বাইনা আইদীকুম ওয়ামা- খালফাকুম লা‘আল্লাকুম তুরহামূন।

অর্থঃ আর যখন তাদেরকে বলা হয়, তোমরা সামনের আযাব ও পেছনের আযাবকে ভয় কর, যাতে তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করা হয়, তখন তারা তা অগ্রাহ্য করে। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৪৫ ]

 

وَمَا تَأْتِيهِم مِّنْ آيَةٍ مِّنْ آيَاتِ رَبِّهِمْ إِلَّا كَانُوا عَنْهَا مُعْرِضِينَ 

উচ্চারণঃ ওয়ামা-তা’তীহিম মিন আ-য়াতিম মিন আ-য়া-তি রাব্বিহিম ইল্লা-কা-নূ‘আনহা-মু‘রিদীন।

অর্থঃ যখনই তাদের পালনকর্তার নির্দেশাবলীর মধ্যে থেকে কোন নির্দেশ তাদের কাছে আসে, তখনই তারা তা থেকে মুখে ফিরিয়ে নেয়। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৪৬ ]

 

وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ أَنفِقُوا مِمَّا رَزَقَكُمْ اللَّهُ قَالَ الَّذِينَ كَفَرُوا لِلَّذِينَ آمَنُوا أَنُطْعِمُ مَن لَّوْ يَشَاء اللَّهُ أَطْعَمَهُ إِنْ أَنتُمْ إِلَّا فِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ 

উচ্চারণঃ ওয়া ইযা-কীলা লাহুম আনফিকূমিম্মা-রাঝাকাকুমুল্লা-হু কা-লাল্লাযীনা কাফারূ লিল্লাযীনা আমানূ আনুত‘ইমুমাল্লাও ইয়াশাউল্লা-হু আত‘আমাহূ ইন আনতুম ইল্লা-ফী দালা-লিম মুবীন।

অর্থঃ যখন তাদেরকে বলা হয়, আল্লাহ তোমাদেরকে যা দিয়েছেন, তা থেকে ব্যয় কর। তখন কাফেররা মুমিনগণকে বলে, ইচ্ছা করলেই আল্লাহ যাকে খাওয়াতে পারতেন, আমরা তাকে কেন খাওয়াব? তোমরা তো স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে পতিত রয়েছ। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৪৭ ]

 

وَيَقُولُونَ مَتَى هَذَا الْوَعْدُ إِن كُنتُمْ صَادِقِينَ 

উচ্চারণঃ ওয়া ইয়াকূলূনা মাতা-হা-যাল ওয়া‘দুইন কনতুম সা-দিকীন।

অর্থঃ তারা বলে, তোমরা সত্যবাদী হলে বল এই ওয়াদা কবে পূর্ণ হবে? [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৪৮ ]

 

مَا يَنظُرُونَ إِلَّا صَيْحَةً وَاحِدَةً تَأْخُذُهُمْ وَهُمْ يَخِصِّمُونَ 

উচ্চারনঃ মা-ইয়ানজু রূনা ইল্লা সাইহাতাওঁ ওয়া-হিদাতান তা’খুযুহুম ইয়াখিসসিমূন।মূন্।

অর্থঃ তারা কেবল একটা ভয়াবহ শব্দের অপেক্ষা করছে, যা তাদেরকে আঘাত করবে তাদের পারস্পরিক বাকবিতন্ডাকালে। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৪৯ ]

 

فَلَا يَسْتَطِيعُونَ تَوْصِيَةً وَلَا إِلَى أَهْلِهِمْ يَرْجِعُونَ 

উচ্চারণঃ ফালা-ইয়াছতাতী‘ঊনা তাওছিয়াতাওঁ ওয়ালাইলাআহলিহিম ইয়ারজি‘ঊন।হিম্ ইর্য়াজ্বি‘ঊন্।

অর্থঃ তখন তারা ওছিয়ত করতেও সক্ষম হবে না। এবং তাদের পরিবার-পরিজ নের কাছেও ফিরে যেতে পারবে না। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৫০ ]

 

وَنُفِخَ فِي الصُّورِ فَإِذَا هُم مِّنَ الْأَجْدَاثِ إِلَى رَبِّهِمْ يَنسِلُونَ 

উচ্চারণঃ ওয়ানুফিখা ফিসসূরি ফাইযা-হুম মিনাল আজদা-ছিইলা-রাব্বিহিম ইয়ানছিলূন।লূন্।

অর্থঃ শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে, তখনই তারা কবর থেকে তাদের পালনকর্তার দিকে ছুটে চলবে। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৫১ ]

 

قَالُوا يَا وَيْلَنَا مَن بَعَثَنَا مِن مَّرْقَدِنَا هَذَا مَا وَعَدَ الرَّحْمَنُ وَصَدَقَ الْمُرْسَلُونَ 

উচ্চারণঃ কা-লূইয়া-ওয়াইলানা-মাম বা‘আছানা-মিম মারকাদিনা-হা-যা-মাওয়া‘আদার রাহমা-নুওয়া সাদাকাল মুরছালূন।

অর্থঃ তারা বলবে, হায় আমাদের দুর্ভোগ! কে আমাদেরকে নিদ্রাস্থল থেকে উখিত করল? রহমান আল্লাহ তো এরই ওয়াদা দিয়েছিলেন এবং রসূলগণ সত্য বলেছিলেন। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৫২ ]

 

إِن كَانَتْ إِلَّا صَيْحَةً وَاحِدَةً فَإِذَا هُمْ جَمِيعٌ لَّدَيْنَا مُحْضَرُونَ 

উচ্চারণঃ ইন কা-নাত ইল্লা-সাইহাতাওঁ ওয়া-হিদাতান ফাইযা-হুম জামী‘উল লাদাইনা-মুহদারূন।

অর্থঃ এটা তো হবে কেবল এক মহানাদ। সে মুহুর্তেই তাদের সবাইকে আমার সামনে উপস্থিত করা হবে। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৫৩ ]

 

فَالْيَوْمَ لَا تُظْلَمُ نَفْسٌ شَيْئًا وَلَا تُجْزَوْنَ إِلَّا مَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ 

উচ্চারণঃ ফালইয়াওমা লা-তুজলামুনাফছুন শাইয়াওঁ ওয়ালা-তুজঝাওনা ইল্লা-মা-কুনতুম তা‘মালূন।

অর্থঃ আজকের দিনে কারও প্রতি জুলুম করা হবে না এবং তোমরা যা করবে কেবল তারই প্রতিদান পাবে। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৫৪ ]

 

إِنَّ أَصْحَابَ الْجَنَّةِ الْيَوْمَ فِي شُغُلٍ فَاكِهُونَ 

উচ্চারণঃ ইন্না আসহা-বাল জান্নাতিল ইয়াওমা ফী শুগুলিন ফা-কিহূন।

অর্থঃ এদিন জান্নাতীরা আনন্দে মশগুল থাকবে। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৫৫ ]

 

هُمْ وَأَزْوَاجُهُمْ فِي ظِلَالٍ عَلَى الْأَرَائِكِ مُتَّكِؤُونَ 

উচ্চারণঃ হুম ওয়া আঝওয়া-জুহুম ফী জিলা-লিন ‘আলাল আরাইকি মুত্তাকিঊন।

অর্থঃ তারা এবং তাদের স্ত্রীরা উপবিষ্ট থাকবে ছায়াময় পরিবেশে আসনে হেলান দিয়ে। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৫৬ ]

 

لَهُمْ فِيهَا فَاكِهَةٌ وَلَهُم مَّا يَدَّعُونَ 

উচ্চারণঃ লাহুম ফীহা-ফা-কিহাতুওঁ ওয়া লাহুম মা-ইয়াদ্দা‘ঊন।

অর্থঃ সেখানে তাদের জন্যে থাকবে ফল-মূল এবং যা চাইবে। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৫৭ ]

 

سَلَامٌ قَوْلًا مِن رَّبٍّ رَّحِيمٍ 

উচ্চারণঃ ছালা-মুন কাওলাম মিররাব্বির রাহীম।

অর্থঃ করুণাময় পালনকর্তার পক্ষ থেকে তাদেরকে বলা হবে সালাম। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৫৮ ]

 

وَامْتَازُوا الْيَوْمَ أَيُّهَا الْمُجْرِمُونَ 

উচ্চারণঃ ওয়াম তা-ঝুল ইয়াওমা আইয়ুহাল মুজরিমূন।

অর্থঃ হে অপরাধীরা! আজ তোমরা আলাদা হয়ে যাও। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৫৯ ]

 

أَلَمْ أَعْهَدْ إِلَيْكُمْ يَا بَنِي آدَمَ أَن لَّا تَعْبُدُوا الشَّيْطَانَ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِينٌ 

উচ্চারণঃ আলাম আ‘হাদ ইলাইকুম ইয়া-বানীআ-দামা আল্লা-তা‘বুদুশশাইতা-না ইন্নাহূলাকুম ‘আদুওউম মুবীন।

অর্থঃ হে বনী-আদম! আমি কি তোমাদেরকে বলে রাখিনি যে, শয়তানের এবাদত করো না, সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু? [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৬০ ]

 

وَأَنْ اعْبُدُونِي هَذَا صِرَاطٌ مُّسْتَقِيمٌ 

উচ্চারণঃ ওয়া আনি‘বুদূ নী হা-যা-সিরা-তুম মুছতাকীম।

অর্থঃ এবং আমার এবাদত কর। এটাই সরল পথ। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৬১ ]

 

وَلَقَدْ أَضَلَّ مِنكُمْ جِبِلًّا كَثِيراً أَفَلَمْ تَكُونُوا تَعْقِلُونَ 

উচ্চারণঃ ওয়ালাকাদ আদাল্লা মিনকুম জিবিল্লান কাছীরা- আফালাম তাকূনূতা‘কিলূন।

অর্থঃ শয়তান তোমাদের অনেক দলকে পথভ্রষ্ট করেছে। তবুও কি তোমরা বুঝনি? [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৬২ ]

 

هَذِهِ جَهَنَّمُ الَّتِي كُنتُمْ تُوعَدُونَ 

উচ্চারণঃ হা-যিহী জাহান্নামুল্লাতী কুনতুম তূ‘আদূন।

অর্থঃ এই সে জাহান্নাম, যার ওয়াদা তোমাদেরকে দেয়া হতো। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৬৩ ]

 

اصْلَوْهَا الْيَوْمَ بِمَا كُنتُمْ تَكْفُرُونَ 

উচ্চারণঃ ইসলাওহাল ইয়াওমা বিমা-কুনতুম তাকফুরূন।ক্ফুরূন্।

অর্থঃ তোমাদের কুফরের কারণে আজ এতে প্রবেশ কর। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৬৪ ]

 

الْيَوْمَ نَخْتِمُ عَلَى أَفْوَاهِهِمْ وَتُكَلِّمُنَا أَيْدِيهِمْ وَتَشْهَدُ أَرْجُلُهُمْ بِمَا كَانُوا يَكْسِبُونَ 

উচ্চারণঃ আলইয়াওমা নাখতিমু‘আলাআফওয়া-হিহিম ওয়াতুকালিলমুনা আইদীহিম ওয়া তাশহাদু আরজুলুহুম বিমা-কা-নূইয়াকছিবূন।

অর্থঃ আজ আমি তাদের মুখে মোহর এঁটে দেব তাদের হাত আমার সাথে কথা বলবে এবং তাদের পা তাদের কৃতকর্মের সাক্ষ্য দেবে। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৬৫ ]

 

وَلَوْ نَشَاء لَطَمَسْنَا عَلَى أَعْيُنِهِمْ فَاسْتَبَقُوا الصِّرَاطَ فَأَنَّى يُبْصِرُونَ 

উচ্চারণঃ ওয়ালাও নাশাউলাতামাছনা- আলা আ‘ইউনিহিম ফাছতাবাকুসসিরা-তা ফাআন্নাইউবসিরূন।

অর্থঃ আমি ইচ্ছা করলে তাদের দৃষ্টি শক্তি বিলুপ্ত করে দিতে পারতাম, তখন তারা পথের দিকে দৌড়াতে চাইলে কেমন করে দেখতে পেত! [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৬৬ ]

 

وَلَوْ نَشَاء لَمَسَخْنَاهُمْ عَلَى مَكَانَتِهِمْ فَمَا اسْتَطَاعُوا مُضِيًّا وَلَا يَرْجِعُونَ 

উচ্চারণঃ ওয়ালাও নাশাউ লামাছাখনা-হুম ‘আলা মাকা-নাতিহিম ফামাছতাতা-‘ঊ মুদিইয়াওঁ ওয়ালাইয়ারজি‘ঊন।

অর্থঃ আমি ইচ্ছা করলে তাদেরকে স্ব স্ব স্থানে আকার বিকৃত করতে পারতাম, ফলে তারা আগেও চলতে পারত না এবং পেছনেও ফিরে যেতে পারত না। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৬৭ ]

 

وَمَنْ نُعَمِّرْهُ نُنَكِّسْهُ فِي الْخَلْقِ أَفَلَا يَعْقِلُونَ 

উচ্চারণঃ ওয়ামান নু‘আম্মির হু নুনাক্কিছহু ফিল খালকি আফালা-ইয়া‘কিলূন।

অর্থঃ আমি যাকে দীর্ঘ জীবন দান করি, তাকে সৃষ্টিগত পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নেই। তবুও কি তারা বুঝে না? [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৬৮ ]

 

وَمَا عَلَّمْنَاهُ الشِّعْرَ وَمَا يَنبَغِي لَهُ إِنْ هُوَ إِلَّا ذِكْرٌ وَقُرْآنٌ مُّبِينٌ 

উচ্চারণঃ ওয়ামা-‘আল্লামনা-হুশশি‘রা ওয়ামা-ইয়ামবাগী লাহূ ইন হুওয়া ইল্লা-যিকরুওঁ ওয়া কুরআ-নুম মুবীন।

অর্থঃ আমি রসূলকে কবিতা শিক্ষা দেইনি এবং তা তার জন্যে শোভনীয়ও নয়। এটা তো এক উপদেশ ও প্রকাশ্য কোরআন। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৬৯ ]

 

لِيُنذِرَ مَن كَانَ حَيًّا وَيَحِقَّ الْقَوْلُ عَلَى الْكَافِرِينَ 

উচ্চারণঃ লিইউনযিরা মান কা-না হাইয়াওঁ ওয়া ইয়াহিক্কাল কাওলু‘আলাল কা-ফিরীন।

অর্থঃ যাতে তিনি সতর্ক করেন জীবিতকে এবং যাতে কাফেরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৭০ ]

 

أَوَلَمْ يَرَوْا أَنَّا خَلَقْنَا لَهُمْ مِمَّا عَمِلَتْ أَيْدِينَا أَنْعَامًا فَهُمْ لَهَا مَالِكُونَ 

উচ্চারণঃ আওয়ালাম ইয়ারাও আন্না-খালাকনা- লাহুম মিম্মা- ‘আমিলাত আইদীনাআন‘আ-মান ফাহুম লাহা-মা-লিকূন।

অর্থঃ তারা কি দেখে না, তাদের জন্যে আমি আমার নিজ হাতের তৈরী বস্তুর দ্বারা চতুস্পদ জন্তু সৃষ্টি করেছি, অতঃপর তারাই এগুলোর মালিক। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৭১ ]

 

وَذَلَّلْنَاهَا لَهُمْ فَمِنْهَا رَكُوبُهُمْ وَمِنْهَا يَأْكُلُونَ 

উচ্চারণঃ ওয়া যাল্লালনা-হা-লাহুম ফামিনহা-রাকূবুহুম ওয়া মিনহা-ইয়া’কুলূন।

অর্থঃ আমি এগুলোকে তাদের হাতে অসহায় করে দিয়েছি। ফলে এদের কতক তাদের বাহন এবং কতক তারা ভক্ষণ করে। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৭২ ]

 

وَلَهُمْ فِيهَا مَنَافِعُ وَمَشَارِبُ أَفَلَا يَشْكُرُونَ 

উচ্চারণঃ ওয়া লাহুম ফীহা-মানা-ফি‘উ ওয়া মাশা-রিবু আফালা-ইয়াশকুরূন।

অর্থঃ তাদের জন্যে চতুস্পদ জন্তুর মধ্যে অনেক উপকারিতা ও পানীয় রয়েছে। তবুও কেন তারা শুকরিয়া আদায় করে না? [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৭৩ ]

 

وَاتَّخَذُوا مِن دُونِ اللَّهِ آلِهَةً لَعَلَّهُمْ يُنصَرُونَ 

উচ্চারণঃ ওয়াত্তাখাযূমিন দূনিল্লা-হি আ-লিহাতাল লা‘আল্লাহুম ইউনসারূন।।

অর্থঃ তারা আল্লাহর পরিবর্তে অনেক উপাস্য গ্রহণ করেছে যাতে তারা সাহায্যপ্রাপ্ত হতে পারে। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৭৪ ]

 

لَا يَسْتَطِيعُونَ نَصْرَهُمْ وَهُمْ لَهُمْ جُندٌ مُّحْضَرُونَ 

উচ্চারণঃ লা-ইয়াছতাতী‘ঊনা নাসরাহুম ওয়াহুম লাহুম জুনদুম মুহদারূন।

অর্থঃ অথচ এসব উপাস্য তাদেরকে সাহায্য করতে সক্ষম হবে না এবং এগুলো তাদের বাহিনী রূপে ধৃত হয়ে আসবে। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৭৫ ]

 

فَلَا يَحْزُنكَ قَوْلُهُمْ إِنَّا نَعْلَمُ مَا يُسِرُّونَ وَمَا يُعْلِنُونَ 

উচ্চারণঃ ফালা-ইয়াহঝুনকা কাওলুহুম; ইন্না-না‘লামুমা-ইউছিররূনা ওয়ামা-ইউ‘লিনূন।

অর্থঃ অতএব তাদের কথা যেন আপনাকে দুঃখিত না করে। আমি জানি যা তারা গোপনে করে এবং যা তারা প্রকাশ্যে করে। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৭৬ ]

 

أَوَلَمْ يَرَ الْإِنسَانُ أَنَّا خَلَقْنَاهُ مِن نُّطْفَةٍ فَإِذَا هُوَ خَصِيمٌ مُّبِينٌ 

উচ্চারণঃ আওয়ালাম ইয়ারাল ইনছা-নুআন্না-খালাকনা-হুমিননুতফাতিন ফাইযা-হুওয়া খাসীমুম মুবীন।

অর্থঃ মানুষ কি দেখে না যে, আমি তাকে সৃষ্টি করেছি বীর্য থেকে? অতঃপর তখনই সে হয়ে গেল প্রকাশ্য বাকবিতন্ডাকারী। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৭৭ ]

 

وَضَرَبَ لَنَا مَثَلًا وَنَسِيَ خَلْقَهُ قَالَ مَنْ يُحْيِي الْعِظَامَ وَهِيَ رَمِيمٌ 

উচ্চারণঃ ওয়া দারাবা লানা-মাছালাওঁ ওয়া নাছিয়া খালকাহূ কা-লা মাইঁ ইউহয়িল ‘ইজা-মা ওয়া হিয়া রামীম।

অর্থঃ সে আমার সম্পর্কে এক অদ্ভূত কথা বর্ণনা করে, অথচ সে নিজের সৃষ্টি ভুলে যায়। সে বলে কে জীবিত করবে অস্থিসমূহকে যখন সেগুলো পচে গলে যাবে? [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৭৮ ]

 

قُلْ يُحْيِيهَا الَّذِي أَنشَأَهَا أَوَّلَ مَرَّةٍ وَهُوَ بِكُلِّ خَلْقٍ عَلِيمٌ 

উচ্চারণঃ কুল ইউহয়ী হাল্লাযী আনশাআহা আওওয়ালা মাররাতিওঁ ওয়া হুয়া বিকুল্লি খালকিন ‘আলীমু।

অর্থঃ বলুন, যিনি প্রথমবার সেগুলোকে সৃষ্টি করেছেন, তিনিই জীবিত করবেন। তিনি সর্বপ্রকার সৃষ্টি সম্পর্কে সম্যক অবগত। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৭৯]

 

الَّذِي جَعَلَ لَكُم مِّنَ الشَّجَرِ الْأَخْضَرِ نَارًا فَإِذَا أَنتُم مِّنْهُ تُوقِدُونَ 

উচ্চারণঃ আল্লাযী জা‘আলা লাকুম মিনাশশাজারিল আখদারি না-রান ফাইযা-আনতুম মিনহু তূকিদূন।

অর্থঃ যিনি তোমাদের জন্যে সবুজ বৃক্ষ থেকে আগুন উৎপন্ন করেন। তখন তোমরা তা থেকে আগুন জ্বালাও। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৮০ ]

 

أَوَلَيْسَ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ بِقَادِرٍ عَلَى أَنْ يَخْلُقَ مِثْلَهُم بَلَى وَهُوَ الْخَلَّاقُ الْعَلِيمُ 

উচ্চারণঃ আওয়া লাইছাল্লাযী খালাকাছছামা-ওয়াতি ওয়াল আরদা বিকা-দিরিন ‘আলা আইঁ ইয়াখলুকা মিছলাহুম বালা- ওয়া হুওয়াল খাল্লা-কুল ‘আলীম।

অর্থঃ যিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল সৃষ্টি করেছেন, তিনিই কি তাদের অনুরূপ সৃষ্টি করতে সক্ষম নন? হ্যাঁ তিনি মহাস্রষ্টা, সর্বজ্ঞ। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৮১ ]

 

إِنَّمَا أَمْرُهُ إِذَا أَرَادَ شَيْئًا أَنْ يَقُولَ لَهُ كُنْ فَيَكُونُ 

উচ্চারণঃ ইন্নামাআমরুহূ ইযাআরা-দা শাইআন আইঁ ইয়াকূলা লাহূকুন ফাইয়াকূন।

অর্থঃ তিনি যখন কোন কিছু করতে ইচ্ছা করেন, তখন তাকে কেবল বলে দেন, `হও’ তখনই তা হয়ে যায়। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৮২ ]

 

فَسُبْحَانَ الَّذِي بِيَدِهِ مَلَكُوتُ كُلِّ شَيْءٍ وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ 

উচ্চারণঃ ফাছুবহা-নাল্লাযী বিয়াদিহী মালাকূতুকুল্লি শাইয়িওঁ ওয়া ইলাইহি তুর জা‘ঊন।

অর্থঃ অতএব পবিত্র তিনি, যাঁর হাতে সবকিছুর রাজত্ব এবং তাঁরই দিকে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৮৩ ]

সূরা ইয়াসিন এর ফজিলত 

 

 

সূরা ইয়াসিন পড়ার অনেক ফজিলত রয়েছে।

 

১।হজরত মাকাল বিন ইয়াসার (রা )থেকে বর্ণিত ,মুহাম্মদ (সাঃ ) বলেছেন , যে ব্যক্তি নিয়মিত সূরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করবে আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্ট হয়ে তার অতীত জীবনের সব গুনাগ মাফ করে দিবেন। 

  হজরত আবু হুরায়রা (রাঃ )বর্ণনা করেছেন ,হজরত মুহাম্মদ (সাঃ ) বলেছেন ,যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য রাতে সূরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করবে ,আল্লাহ তার ওই রাতের সব গুনাহ মাফ করে দিবেন। (দারেমী )

২। যে ব্যক্তি সূরা ইয়াসিন একবার  পাঠ করে ,আল্লাহ তায়ালা তাকে ১০বার পূর্ণ কুরআন শরীফ পাঠের সওয়াব দান  করবেন। (তিরমিযী : ২৮৯১)

৩।  কোনো সৎ উদ্দেশ্যে এ সূরা পাঠ করলে আল্লাহ তায়ালা তার মনের ইচ্ছা পুরুন করে দেয়। 

৪। সূর্যোদয়ের সময় এ সূরা পাঠ করলে তার অভাব দূর হয় ,সংসারে শান্তি আসে এবং রিজিকে বরকত হয়। 

৫।  সূরা ইয়াসিন পরে ঘর থেকে বাহির হলে বাহিরে কোনো দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে না। 

৬। এ সূরা পাঠকারী কখনো ঈমান হারা হয়ে মৃত্যু বরণ করবে না। 

৭।  হজরত ইয়াহইয়া ইবনে কাসির (র ) বলেন ,যে ব্যক্তি সকালে সূরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত সুখে -শান্তিতে থাকবে। আর যে সন্ধ্যায় পাঠ করবে সে সকাল পর্যন্ত শান্তিতে থাকবে। (মাজহারি ) 

৮। সর্বদা এ সূরা পাঠ করলে  বিচার দিবসে  আল্লাহর নিকট এ সূরা পাঠকারীর মুক্তির জন্য সুপারিশ করবে 

৯। পাগল ও জ্বীন গ্রস্থ লোকের উপরে এ সূরা পাঠ করে দম করলে রোগী অচিরেই আরোগ্য লাভ করে। 

১০। কোনো বিপদ -আপদে সূরা ইয়াসিন পাঠ করলে আল্লাহ তায়ালা মুক্তি দান করবেন। 

১১। তাফসিরে জালালাইনের হাশিয়ায় এসেছে ,যদি কোনো মুসলমানের মৃত্যুর সময় হয় ,আর সে সময় তার পাশে কেউ সূরা ইয়াসিন পাঠ করে ,তাহলে বেহেশত থেকে রেদওয়ান ফেরেশতা জান্নাতে সুসংবাদ না দেয়া পর্যন্ত রূহ কবজকারী ফেরেশতা ওই ব্যক্তির রূহ কবজ করেন না। রূহ কবজের সঙ্গে সঙ্গে ওই ব্যক্তির অবস্থান হয় রাইয়্যান নামক জান্নাতে। 

হজরত আবু যর (রাঃ )বলেন ,আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে শুনেছি ,তিনি বলেন ‘মৃত্যুশয্যা ব্যক্তির কাছে সূরা ইয়াসিন পাঠ করলে তার মৃত্যু যন্ত্রনা সহজ হয়ে যায়। ‘  (মাজহারি )

হজরত ইবনে ইয়াসার (রাঃ )বর্ণনা করেন ,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন ,’সূরা ইয়াসিন তোমরা মুমূর্ষ ব্যক্তিদের কাছে পাঠ করো। ‘ (আবু দাউদ ,নাসাঈ ,ইবনে মাজাহ ,মুসনাদে আহমাদ )

আল্লামা বায়যাবী (রহঃ )সূরা ইয়াসিনের ফজিলত সম্পর্কে হজরত ইবনে আব্বাস (রাঃ ) হতে একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন ,মৃত্যু শয্যায় শায়িত কোনো মানুষের পাশে বসে সূরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করা হলে ,উহার প্রত্যেকটি অক্ষরের বরকতে ১০ জন করে ফেরেশতা নাজিল হন। 

তারা সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে ওই মুমূর্ষ ব্যক্তির গুনাহ মাফের জন্য দোয়া করতে থাকেন। মৃত্যু বরণের পর ওই সমস্ত ফেরেশতা তার গোসল ও জানাযায় নামাজে শরিক হন। 

১২।  সূরা ইয়াসিন লিখে ধৌত করে সে পানি শিশুর মাতাকে পান করলে তার স্তনের দুগ্ধ বৃদ্ধি পাবে। 

১৩। সাত দিন পর্যন্ত এ সূরা প্রত্যহ জাফরান কালী ও গোলাব পানি দ্বারা লিখে তা ধৌত করে এ পানি পান করলে ,যা পাঠ করবে তা স্মরণে থাকবে এবং যার সাথে কথা বলবে তার সাথে সে বিজয়ী হবে। 

১৪। এক টুকরো সুতো নিয়ে সূরা ইয়াসিন পাঠ করতে থাকবে ,প্রত্যেক মুবিন পাঠ করে একটি করে গিরা দিবে। এমনিভাবে ৭ টি মুবীনে ৭ টি গিরা হবে। অতঃপর সুতাটি জ্বর আক্রান্ত ব্যক্তির ডান বাহুতে বেঁধে দিবে। ইনশা আল্লাহ শীঘ্রই জ্বর সেরে যাবে।

১৫। হজরত মুহাম্মদ (সাঃ ) বলেছেন যে ব্যক্তি গোরস্থানে প্রবেশ করে সূরা ইয়াসিন পাঠ  করবে ,ওই দিন ওই গোরস্থানের মৃত ব্যক্তিদের আজাব হালকা করে দেওয়া হবে ,আর পাঠকারীকে ওই গোরস্থানের মৃতের সংখ্যা অনুযায়ী প্রদান করা হবে। 

১৬। আল্লামা কুরতুবী (রহঃ ) হজরত আবু হুরায়রা (রাঃ ) থেকে বর্ণনা করেন ,মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ ) বলেছেন ,যে ব্যক্তি শুক্রবার রাতে সূরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করবে ,সকালবেলা সে বেগুনাহ হয়ে বিছানা থেকে উঠবে। 

সূরা ইয়াসিন PDF

 

Save Your Phone 

 

Sharing Is Caring:

Leave a Comment