সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত এর ফজিলত

সূরা হাশর পবিত্র কুরআন মজিদের ৫৯ তম  সূরা। সূরা হাশরের আয়াত সংখ্যা ২৪ টি এবং রুকু সংখ্যা ৩ টি। হাশর শব্দের অর্থ হলো জড় হওয়া,মিলিত হওয়া বা এক হওয়া। সূরা হাশর পবিত্র মক্কা নগরীতে অবতীর্ন হয়েছে। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা) এর হিজরতের পূর্বে সূরা হাশর নাজিল হয়েছিল। 

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত আরবিতে 

بِسْمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ

هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ ۖ عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ ۖ هُوَ الرَّحْمَٰنُ الرَّحِيمُ هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ الْمَلِكُ الْقُدُّوسُ السَّلَامُ الْمُؤْمِنُ الْمُهَيْمِنُ الْعَزِيزُ الْجَبَّارُ الْمُتَكَبِّرُ ۚ سُبْحَانَ اللَّهِ عَمَّا يُشْرِكُونَهُوَ اللَّهُ الْخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوِّرُ ۖ لَهُ الْأَسْمَاءُ الْحُسْنَىٰ ۚ يُسَبِّحُ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ۖ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের বাংলা উচ্চারণ 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। 

উচ্চারণঃ হুওয়াল্ল-হুল্লাযী লা-ইলা-হা ইল্লা-হু আ-লিমুল গইবি ওয়াশশাহা-দা হুওয়ারহ্‌ মা-নুর রহীম। হুওয়াল্ল-হুল্লাযী লা-ইলা-হা ইল্লা-হুওয়াল মালিকুল কুদ্দূসুস সালা-মুল মু’মিনুল মুহাইমিনুল আঝীঝুল জাব্বা-রুল মুতাকাব্বির সুবহা-নাল্ল-হি ‘আম্মা-ইউশরিকূন।হুওয়াল্ল-হুল খ-লিক্বুল বা-রিউল মুছওয়িরু লাহুল আসমাউল হুসনা-; ইউসাব্বিহুলাহূ মা-ফিস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ ওয়াহুওয়াল ‘ আঝীঝুল হাকীম।

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের বাংলা অনুবাদ 

তিনিই সেই আল্লাহ্ যিনি ব্যতীত অন্য উপাস্য নেই, তিনি অদৃশ্যের ও দৃশ্যের পরিজ্ঞাতা। তিনি পরম করুণাময়, অফুরন্ত ফলদাতাটি। 

আল্লাহ্ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই, — রাজাধিরাজ, মহাপবিত্র, প্রশান্তিদাতা, নিরাপত্তা-বিধায়ক, সুরক্ষক, মহাশক্তিশালী, মহামহিম, পরম গেরবান্নিত।

সকল মহিমা আল্লাহ্‌র, তারা যা আরোপ করে তার বহু উর্ধ্বে।তিনি আল্লাহ্‌, সৃজনকর্তা, উদ্ভাবনকর্তা, রূপদাতা, তাঁরই হচ্ছে সর্বাঙ্গসুন্দর নামাবলী। মহাকাশমন্ডলে ও পৃথিবীতে যারা আছে তারা তাঁরই জপতপ করে, আর তিনি মহাশক্তিশালী, পরমজ্ঞানী।

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের ফজিলত 

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের ফজিলত অনেক বেশি। এই আয়াত সকাল ও সন্ধ্যায় পাঠ করলে অনেক বেশি সওয়াব পাওয়া যাবে। হজরত মাকাল ইবনে ইয়াসার রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

যে ব্যক্তি সকালে তিন বার’ আউজু বিল্লাহিস সামিঈল আলিমি মিনাশ শাইত্বানির রাজিমসহ’ ‘সুরা ‘হাশরের’ শেষ তিন আয়াত পাঠ করবে, তার জন্য আল্লাহ তাআলা ৭০ হাজার রহমতের ফেরেশতা নিয়োগ করবেন।

সে ফেরেশতাগণ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার ওপর আল্লাহর রহমত প্রেরণ করতে থাকবে। যদি ঐ দিন সে ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করেন তবে সে শাহাদাতের মর্যাদা লাভ করবে।

আর যে ব্যক্তি সন্ধ্যার সময় এ আয়াতগুলো পাঠ করবে তাঁর জন্যও আল্লাহ তাআলা ৭০ হাজার রহমতের ফেরেশতা নিয়োগ করবেন। যারা তাঁর ওপর সকাল হওয়া পর্যন্ত রহমত প্রেরণ করতে থাকবে। আর যদি ঐ রাতে সে মৃত্যুবরণ করে তবে শাহাদাতের মর্যাদা লাভ করবে।(সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং : ৩০৯০,

মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং : ২০৩০৬,সুনানে দারেমী, হাদীস নং : ৩৪২৫,মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদীস নং : ২১৫৭,আত তারগীব ওয়াত তারহীব, হাদীস নং : ৩৭৯)

Sharing Is Caring:

Leave a Comment