যে ৪ টি কাজ করলে স্বামী স্ত্রী একসাথে জান্নাতে যাবেন 

আমরা সবাই জান্নাতে যেতে চাই। তবে জান্নাতে যাওয়ার পর কি স্বামী স্ত্রী এক সাথে জান্নাতে থাকবে। এমন  প্রশ্নের উত্তর অনেকের জানা নেই। কোনো স্বামী যদি স্ত্রীর জন্য এই চারটি কাজ করে তাহলে স্বামী স্ত্রী দুই জনেই এক সাথে জান্নাতে যাবে।এই চারটি কাজ হলো : 

১। মোহরানা 

আল্লাহ তায়ালা দুনিয়াতে মানুষের জন্য কিছু কাজ ফরজ করে দিয়েছেন। ফরজ শব্দের অর্থ হলো অবশ্যই করণীয়। এই ফরজ কাজ গুলো না করলে গুনাহের পাল্লা ভারী হয়ে যায়। 

যার ফল স্বরূপ জাহান্নামে যেতে হয়। জাহান্নামের কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হয়। এই ফরজ কাজ গুলোর মধ্যে একটি কাজ হলো বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া । আল্লাহ তায়ালা বিবাহ করা প্রত্যেক নর নারীর ওপর ফরজ করে দিয়েছেন। বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার ফলে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে এমন ভালোবাসার সৃষ্টি হয় যে তারা মৃত্যুর পরেও একসাথে থাকতে চায়। 

কিন্তু আমরা সবাই জানি পরকাল এমন একটি জায়গা, যেখানে গেলে কেউ কাওকে চিনবে না। মা ছেলেকে চিনবে না ,ছেলে মাকে চিনবে না। ভাই তার ভাইকে চিনবে না। পিতা তার সন্তানকে চিনবে না। স্বামী স্ত্রী কেউ কাওকে চিনবে না। আমরা যদি আল্লাহ তায়ালার কিছু আমল করি ,তার আদেশ -নিষেদ ,বিধি -বিধান মেনে চলি তাহলে মৃত্যু পরে আমাদের পছন্দমত মানুষের সাথে থাকতে পারব। 

মৃত্যু পরে স্বামী স্ত্রী যদি একসাথে থাকতে চায় তাহলে তাদের কিছু আমল করতে হবে। দাম্পত্য জীবনের কিছু দায়িত্ব আছে ,অর্থনৈতিক দায়িত্ব যেগুলো আল্লাহ তায়ালা পুরুষের কাঁধে দিয়েছেন। 

দায়িত্বগুলোর মধ্যে প্রথম হলো মোহরানা। বিয়ের সময় একজন নারী পুরুষের ওপর কিছু মোহরানা ধার্য করেন। পুরুষকে নারীর মোহরানার টাকা পরিশোধ করতে হবে।মোহরানার টাকা পরিশোধ না করলে তাদের দাম্পত্য জীবন জায়েজ হবে না। সর্ব প্রথম আগে মোহরানার টাকা পরিশোধ করতে হবে। 

২।  নারীর জন্য খাবারের ব্যবস্থা 

বিয়ের পরে পুরুষের কর্তব্য হচ্ছে তার স্ত্রীর খাবারের ব্যবস্থা করা। পুরুষ কাজ করবে এবং অর্থ উপার্জন করে তার স্ত্রীর খাবারের যোগান দিবে। স্বামী বাইরে থেকে যা খাবে ওই পরিমান খাবার স্ত্রীর জন্য আনতে  হবে। স্ত্রীকে খুশি রাখতে হবে। 

৩। স্ত্রীর পোশাকের ব্যবস্থা 

বিয়ের পরে স্বামীর দায়িত্ব হচ্ছে তার স্ত্রীর পোশাকের ব্যবস্থা করা। স্ত্রী সঠিক পোশাক পরে পর্দা করে এগুলো স্বামীর খেয়াল রাখতে হবে।

 স্ত্রী যদি পর্দা না করে অরে স্বামী যদি তার স্ত্রীকে শাসন না করে তাহলে ওই স্ত্রীর বেপর্দার হিসাব তার স্বামীকে দিতে হবে। স্ত্রীর পোশাকের ব্যবস্থা তার স্বামীকেই করতে হবে এবং পর্দার মধ্যে রাখতে হবে। 

৪। বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে 

বিয়ের পরে তারা স্বামী স্ত্রী কোথায় থাকবে সে ব্যবস্থা স্বামীকে করতে হবে।  কাজে নিয়োজিত থাকবে অরে স্বামীরা তার ব্যবস্থা করবে। প্রত্যেক স্বামীর এটা দায়িত্ব এবং কর্তব্য। এসব দায়িত্ব একজন স্বামী পালন করলে তারা উভয়েই একসাথে জান্নাতে থাকবে পারবে। 

দাম্পত্য জীবনের কোনো গোপন কথা কারো কাছে শেয়ার করা যাবে না। যারা দাম্পত্য জীবনের কোনো গোপন কথা কারো কাছে শেয়ার করে সে কবিরা গুনাহ করে।কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে নিকৃষ্ট দম্পতি হবে ওই ব্যক্তি যারা গোপনে যা করে তা অন্য মানুষকে বলে। 

Sharing Is Caring:

Leave a Comment