আরবী হরফ সমূহের বৈশিষ্ট্য ও ফযীলত 

বিদ্যা শিক্ষার ব্যাপারে প্রত্যেক জাতিরই অক্ষর  জ্ঞান  লাভ করা একান্ত অপরিহার্য। অক্ষর জ্ঞান ব্যতীত শব্দ জ্ঞান লাভ করা সম্ভব নয়। যারা আরবি পড়া শিখতে চান ,তাদের প্রথমে আরবি হরফ সমূহের মূল ইতিহাস ,ফজিলত এবং শ্রেণী বিন্যাস সম্পর্কে জানতে হবে। 

আরবি হরফগুলোকে প্রাচীন পরিভাষায় হরফে মুয়াজম বলা হয়। 

পবিত্র কুরআনুল কারীম এ হরফ দিয়েই লেখা হয়েছে। মহান আল্লাহর পবিত্র নাম ও হাদিস সমূহ এ হরফ দিয়েই লেখা হয়েছে। সুতরাং এ হরফের সম্মান করা সকল  মানুষের প্রয়োজন। এ হরফ গুলোকে দুই শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে। 

এক শ্রেণীকে নূরানী হরফ বলা হয় ,ওপর শ্রেণীকে জুলমানী হরফ বলা হয়।আরবি হরফ ২৯ টি ,তার মধ্যে নূরানী হরফ ১৫ টি।  নূরানী হরফ গুলো হচ্ছে :

ا ل م صز ك و ى ، ط س ح ق ن

হিরযুল আমান গ্রন্থকার কিতাবুল  মারহায়  লিখেছেন ,কোনো লোককে বিচ্ছু কামড় দিলে চিনা মাটির প্লেটে হরফে নূরানী লিখে ধৌত করে সেই পানি পান করলে বিষ নষ্ট হয় এবং আরোগ্য লাভ করে। নূরানী হরফ গুলো লিখে মালের মধ্যে রাখলে মাল নষ্ট হয় না। জুলমানী হরফ ১৪ টি। সেগুলো হচ্ছে :

ب ت ث ح ج ددرش ض ظ غ ف ه

মহান আল্লাহর নাম সমূহের কোনো নামই নূরানী হরফ ব্যতীত জুলমানী হরফ দ্বারা গঠিত নয়। কোনো ব্যক্তি এ হরফ গুলো লিখে নিজের সঙ্গে রাখলে সে সর্বদা শত্রুর উপর বিজয়ী হবে। 

আরবি হরফ সমূহের ফজিলত 

১।   আলিফ এ বর্ণ টি আরবি ভাষার প্রথম বর্ণ। সমস্ত আরবি বর্ণ সমূহের মধ্যে এ বর্ণটি খুবই মর্যাদাপূর্ণ। এ হরফ টি মহান আল্লাহ তায়ালা সর্ব প্রথম লিখেছেন তিনি কলমকে নির্দেশ দিয়েছেন যে ,কিয়ামত পর্যন্ত যা ঘটবে তাই লাওহে মাহফুযে লিপিবদ্ধ কর। 

তখন কলম লিখতে শুরু করে। কলম থেকে ক্ষুদ্র এক ফোঁটা নূর ঝরে পরে আর তা আলিফের রূপ পরিগ্রহ করে। সূরা ফাতিহার প্রথম হরফ হচ্ছে আলিফ। তাই তিনি আলিফকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন। আরো অনেক সূরার প্রথম বর্ণ  আলিফ। আলিফের গাণিতিক সংখ্যা হচ্ছে এক। 

ওলামায়ে কেরাম বলেছেন ,কোনো ব্যক্তি যদি এক শত  এগারো বার আলিফ হরফটি লিখে সাথে রাখে ,সে সর্ব প্রকার বিপদ -আপদ ও বলা – মছিবত হতে রক্ষা পাবে।

 শত্রুর অনিষ্টতা থেকে রক্ষা পেতে চায় অথবা জ্বর ব্যধি থেকে মুক্তি পেতে চায় ,তা হলে জাফরান কালী দ্বারা আলিফ হরফটি এক শত এগারো বার লিখে সাথে রাখবে। অথবা রবিবার দিন শামস তারকার শুভ লগ্নে এটি কাগজে লিখে সাথে রাখবে। 

২।   বা হরফের প্রকৃতি  হচ্ছে  গরম ও শুষ্কতা। আর এর গাণিতিক সংখ্যা হলো দুই। মহান আল্লাহ তায়ালা বা হরফ সৃষ্টি করার সাথে সাথে একষট্টি জন ফেরেশতা সৃষ্টি করেছেন। যারা কিয়ামত পর্যন্ত মহান আল্লাহর প্রশংসা পথে নিমগ্ন রয়েছেন এবং থাকবেন। এ হরফটি অত্যন্ত বরকতময়। বিসমিল্লাহ এর প্রথম হরফ হচ্ছে বা। 

কোনো ব্যক্তি যদি প্রতি দিন সকাল বেলা ষাট বার এ হরফ পাঠ করে, সে অলৌকিক ক্রিয়াকলাপ দেখার শক্তি লাভ করে। কোনো শিশুর মুখে কথা না ফুটলে এ হরফটি ষাট বার লিখে পানি দিয়ে ধৌত করে করে সে পানি পান করলে তার মুখে কথা ফুটবে। 

৩।তা  এর গাণিতিক সংখ্যা হলো চার্ শত।   কোনো ব্যক্তি তামার পাতে তা  হরফটি  খোদাই করে লিখে গলায় পড়লে সে কখনো পানিতে নিমজ্জিত হবে না। 

৪। ছা হরফটি রুপার পাতে লিখে ধৌত করে সে পানি পান করলে দুরারোগ্য ব্যাধি সেরে যাবে 

Sharing Is Caring:

Leave a Comment