সংসার সুখের হয় রমণীর গুনে এই প্রবাদ বাক্যটি অনেকটাই সত্য। একজন পুরুষ একা একা সংসারের সব কিছু ঠিক রাখতে পারে না। এজন্য স্ত্রীকে বলা হয় অর্ধাঙ্গিনী। অর্থাৎ স্বামী স্ত্রী দুইজন মিলেমিশে থাকলেই সংসার পরিপূর্ন হয়।
সংসারে সুখ ও শান্তি ধরে রাখতে দুজনের ভূমিকাই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক অত্যন্ত পবিত্র। স্বামী ও স্ত্রী একে ওপরের পরিপূরক। একজনকে ছাড়া আরেকজন চলতে পারে না।
দাম্পত্য জীবনে সুখী থাকতে হলে একজন স্ত্রীর কিছু গুন্ থাকা আবশ্যক। স্ত্রীর মধ্যে এই গুন্ গুলোর না থাকলে স্বামীর জন্য অনেক ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়। স্বামীকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। স্ত্রীর যদি কিছু বিশেষ গুন্ থাকে তাহলে স্বামী হিসেবে আপনি সৌভাগ্যবান।
ভালো স্ত্রীর গুণ গুলো হলো
১। ঘরের কাজে দক্ষ
দুজন মাইল সংসারে যতই কাজ করুক না কেন ,মেয়েরা যেমন নিখুঁত ভাবে সংসারের সবকিছু গুছিয়ে রাখতে পারে ছেলেরা তা পারে না। যে সংসারে স্ত্রী গৃহকাজে খুব নিপুন হয় সেই সংসারে সুখ , শান্তি বিরাজ করে।
২। মিষ্টভাষী
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা) বলেছেন ,ওই স্ত্রী সবথেকে ভালো এবং নেককার স্ত্রী ,যে স্ত্রীর মুখের দিকে তাকালে স্বামীর মন শীতল হয়ে যায়,স্বামী আনন্দ পায় এবং সন্তুষ্ট থাকে। সবার সাথে ভালো ব্যবহার করেন ,সবার সাথে মিষ্টিভাবে কথা বলেন তিনি বিশেষ গুনের অধিকারী। ওই স্বামী খুবই সৌভাগ্যবান।
৩। স্বামীর বৈধ কাজের ওপর সন্তুষ্ট
যে স্ত্রী স্বামীর বৈধ কাজের ওপর সন্তুষ্ট থাকে ওই স্বামী সৌভাগ্যবান। স্বামীর রোজগার যদি বৈধ ভাবে কম হয়ে থাকে তাহলে ওই কম টাকা নিয়েই স্ত্রীকে খুশি থাকতে হবে।
স্বামীকে অবৈধভাবে বেশি রোজগার করতে বলবে না। সামান্য রোজগারের ওপরে চাহিদা করবে ,বেশি চাহিদা করবে না। তাহলে বুঝতে হবে ওই স্ত্রী স্বামীর জন্য নিয়ামত। ওই স্বামী খুবই ভাগ্যবান।
৪। স্বামীকে শ্রদ্ধা করেন
যে স্ত্রী স্বামীকে শ্রদ্ধা করেন ,তার নির্দেশ মেনে চলার চেষ্টা করেন ,স্বামীর কথার গুরুত্ব দেন তাকে হেয় চোখে দেখেন না ,স্বামীর পরিবারের সবাইকে আপন করে নেয়,সবার সাথে মিলেমিশে থাকে তাহলে ওই স্ত্রী স্বামীর জন্য নিয়ামত।
এই গুন্ গুলো যে স্ত্রীর মধ্যে আছে সেই স্বামী নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করা উচিত। এই চারটি গুন্ থাকলে বুঝতে হবে মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিন আপনার স্ত্রীকে আপনার জন্য নিয়ামত হিসেবে পাঠিয়েছে।