সূরা মুযযাম্মিল ফজিলত অর্থসহ বাংলা উচ্চারণ

সূরা মুযযাম্মিল পবিত্র কুরআনের ৭৩ তম সূরা। সূরাটির আয়াত সংখ্যা ২০ এবং রুকু ২ টি। সূরা মুজ্জামিল পবিত্র মক্কা নগরীতে অবতীর্ন হয়েছে। মুযযাম্মিল শব্দের অর্থ বস্ত্রাচ্ছাদিত। এই সূরার প্রথম আয়াতে আল মুযযাম্মিল শব্দ থেকে সূরাটির  মুযযাম্মিল নামকরণ হয়েছে। 

সূরা মুযযাম্মিল কখন নাজিল করা হয়েছে ?

হাদিস শরীফে বর্ণনা করা হয়েছে ,কুরাইশগণ একত্রিত হয়ে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা) কে পাগল ,জাদুকর ইত্যাদি বলে আখ্যায়িত করছিল। এতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা) মনক্ষুন্ন হয়ে তার পবিত্র দেহ আবৃত করে শুয়ে ছিল। 

এমন সময় হজরত জিবরাঈল (আ) তার নিকট এ সূরা নিয়ে হাজির হন। জিবরাঈল (আ) তাকে “ইয়া আইয়্যুহাল মুযযাম্মিলু “ অর্থাৎ হে বস্ত্রাচ্ছাদিত ব্যক্তি বলে সম্মোধন করেন। 

হজরত জিবরাঈল (আ) হজরত মুহাম্মদ (সা) কে সান্ত্বনা দিয়ে বলেন ,আপনি কাফিরদের কোথায় মনক্ষুন্ন হবেন না। আপনি উঠুন এবং মহান আল্লাহ তায়ালার ইবাদাত বন্দেগী করুন। কাফিরদের জন্য কঠিন শাস্তি রয়েছে। তারপর জিবরাঈল (আ) হজরত মুহাম্মদ (সা) কে সূরা মুযযাম্মিল শোনান। 

সূরা মুযযাম্মিল এর রুকু দুটি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে নাজিল হয়েছে। প্রথমে রুকূ’র আয়াতগুলো মক্কায় নাযিল হওয়ার ব্যাপারে সবাই একমত।এর বিষয়বস্তু এবং বিভিন্ন হাদীসের বর্ণনা থেকেও তা বুঝা যায়।তবে প্রশ্ন থেকে যায় যে,মক্কী জীবনের কোন পর্যায়ে তা নাযিল হয়েছিল? হাদীসের বর্ণনাসমূহ থেকে আমরা এর কোন জবাব পাই না। তবে পুরো রুকূ’টির বিষয়বস্তু আভ্যন্তরীণ প্রমাণ দ্বারা এর নাযিল হওয়ার সময়-কাল নির্ণয় করতে যথেষ্ট সাহায্য পাওয়া যায়।

দ্বিতীয় রুকূ’ সম্পর্কে মুফাস্সিরগণ যদিও বলেছেন যে, এটিও মক্কায় নাযিল হয়েছে। কিন্তু কিছু সংখ্যক মুফাস্সির একে মদীনায় অবতীর্ণ বলে মত ব্যক্ত করেছেন। এ রুকূ’টির বিষয়বস্তু থেকে এ মতটিরও সমর্থন পাওয়া যায়। কারণ এর মধ্যে আল্লাহর পথে লড়াই করার উল্লেখ আছে। মক্কায় এর কোন প্রশ্নই ছিল না। এতে ফরযকৃত যাকাত আদায় করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আর এটা প্রমাণিত বিষয় যে, একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের ওপর একটি নির্দিষ্ট হারে যাকাত দেয়া মদীনাতে ফরয হয়েছে।

সূরা মুযযাম্মিল এর কোন আয়াতে কি নির্দেশ দেয়া হয়েছে 

প্রথম সাতটি আয়াতে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে, যে মহান কাজের গুরু দায়িত্ব আপনাকে দেয়া হয়েছে তার দায় -দায়িত্ব ঠিকমত পালনের জন্য আপনি নিজেকে প্রস্তুত করুন। এর বাস্তব পন্থা বলা হয়েছে এই যে, আপনি রাতের বেলা উঠে অর্ধেক রাত কিংবা তার চেয়ে বেশী সময় বা কিছু কম সময় পর্যন্ত নামায পড়ুন।

৮ থেকে ১৪ নং পর্যন্ত আয়াতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে উপদেশ দেয়া হয়েছে যে, আপনি সবকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সমগ্র বিশ্ব-জাহানের অধিপতি আল্লাহ তা’আলার উদ্দেশ্যে নিবেদিত হয়ে যান। নিজের সমস্ত ব্যাপার তাঁর কাছে সোপর্দ করে দিয়ে নিঃশংক ও নিশ্চিন্ত হয়ে যান।

 বিরোধীরা আপনার বিরুদ্ধে যা বলছে সে ব্যাপারে ধৈর্য ধারণ করুন, তাদের কথায় ভ্রুক্ষেপ করবেন না। তাদের ব্যাপারটা আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিন। তিনিই তাদের সাথে বুঝাপড়া করবেন।

এরপর ১৫ থেকে ১৯ নম্বর পর্যন্ত আয়াতে মক্কার যে সমস্ত মানুষ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিরোধিতা করেছিলো তাদের এ বলে হুশিয়ারী দেয়া হয়েছে যে, আমি যেমন ফেরাউনের কাছে রসূল পাঠিয়েছিলাম ঠিক তেমনি তোমাদের কাছে একজন রসূল পাঠিয়েছি।

 কিন্তু দেখো, আল্লাহর রসূলের কথা না শুনে ফেরাউন কিরূপ পরিণামের সম্মুখীন হয়েছিল। মনে করো, এ জন্য দুনিয়াতে তোমাদের কোন শাস্তি দেয়া হলো না। কিন্তু কিয়ামতের দিনের শাস্তি থেকে তোমরা কিভাবে নিষ্কৃতি লাভ করবে?

২০ নং আয়াতে তাহাজ্জুদে এর নামাজ সহজ করে দিয়েছেন। বলা হয়েছে তাহাজ্জুদ নামাজ যতটা সহযে আদায় করা যায় সেভাবেই আদায় করবে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবে ,জাকাত আদায় করবে ,অর্থ সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় খরচ করবে। 

আল্লাহর কাছে পৌছার পর তোমরা তার সবকিছুই পেয়ে যাবে যা দুনিয়া থেকে আগেই পাঠিয়ে দিয়েছিলে। আগেভাগেই পাঠিয়ে দেয়া এমন সরঞ্জাম -সমগ্রী তোমরা দুনিয়াতে যা ছেড়ে যাবে তার চেয়ে যে শুধু ভাল তাই নয়,রবং আল্লাহর কাছে তোমরা তোমাদের আসল সম্পদের চেয়ে অনেক বেশী পুরষ্কারও লাভ করবে। 

সূরা মুযযাম্মিল এর উচ্চারণ আরবি উচ্চারণ:

1) يَا أَيُّهَا الْمُزَّمِّلُ
2) قُمِ اللَّيْلَ إِلَّا قَلِيلًا
3) نِصْفَهُ أَوِ انْقُصْ مِنْهُ قَلِيلًا
4) أَوْ زِدْ عَلَيْهِ وَرَتِّلِ الْقُرْآنَ تَرْتِيلًا
5) إِنَّا سَنُلْقِي عَلَيْكَ قَوْلًا ثَقِيلًا
6) إِنَّ نَاشِئَةَ اللَّيْلِ هِيَ أَشَدُّ وَطْئًا وَأَقْوَمُ قِيلًا
7) إِنَّ لَكَ فِي النَّهَارِ سَبْحًا طَوِيلًا
8) وَاذْكُرِ اسْمَ رَبِّكَ وَتَبَتَّلْ إِلَيْهِ تَبْتِيلًا
9) رَبُّ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ فَاتَّخِذْهُ وَكِيلًا
10) وَاصْبِرْ عَلَىٰ مَا يَقُولُونَ وَاهْجُرْهُمْ هَجْرًا جَمِيلًا
11) وَذَرْنِي وَالْمُكَذِّبِينَ أُولِي النَّعْمَةِ وَمَهِّلْهُمْ قَلِيلًا
12) إِنَّ لَدَيْنَا أَنْكَالًا وَجَحِيمًا
13) وَطَعَامًا ذَا غُصَّةٍ وَعَذَابًا أَلِيمًا
14) يَوْمَ تَرْجُفُ الْأَرْضُ وَالْجِبَالُ وَكَانَتِ الْجِبَالُ كَثِيبًا مَهِيلًا
15) إِنَّا أَرْسَلْنَا إِلَيْكُمْ رَسُولًا شَاهِدًا عَلَيْكُمْ كَمَا أَرْسَلْنَا إِلَىٰ فِرْعَوْنَ رَسُولًا
16) فَعَصَىٰ فِرْعَوْنُ الرَّسُولَ فَأَخَذْنَاهُ أَخْذًا وَبِيلًا
17) فَكَيْفَ تَتَّقُونَ إِنْ كَفَرْتُمْ يَوْمًا يَجْعَلُ الْوِلْدَانَ شِيبًا
18) السَّمَاءُ مُنْفَطِرٌ بِهِ ۚ كَانَ وَعْدُهُ مَفْعُولًا
19) إِنَّ هَٰذِهِ تَذْكِرَةٌ ۖ فَمَنْ شَاءَ اتَّخَذَ إِلَىٰ رَبِّهِ سَبِيلًا
20) إِنَّ رَبَّكَ يَعْلَمُ أَنَّكَ تَقُومُ أَدْنَىٰ مِنْ ثُلُثَيِ اللَّيْلِ وَنِصْفَهُ وَثُلُثَهُ وَطَائِفَةٌ مِنَ الَّذِينَ مَعَكَ ۚ وَاللَّهُ يُقَدِّرُ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ ۚ عَلِمَ أَنْ لَنْ تُحْصُوهُ فَتَابَ عَلَيْكُمْ ۖ فَاقْرَءُوا مَا تَيَسَّرَ مِنَ الْقُرْآنِ ۚ عَلِمَ أَنْ سَيَكُونُ مِنْكُمْ مَرْضَىٰ ۙ وَآخَرُونَ يَضْرِبُونَ فِي الْأَرْضِ يَبْتَغُونَ مِنْ فَضْلِ اللَّهِ ۙ وَآخَرُونَ يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ۖ فَاقْرَءُوا مَا تَيَسَّرَ مِنْهُ ۚ وَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ وَأَقْرِضُوا اللَّهَ قَرْضًا حَسَنًا ۚ وَمَا تُقَدِّمُوا لِأَنْفُسِكُمْ مِنْ خَيْرٍ تَجِدُوهُ عِنْدَ اللَّهِ هُوَ خَيْرًا وَأَعْظَمَ أَجْرًا ۚ وَاسْتَغْفِرُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ

সূরা মুযযাম্মিল বাংলা উচ্চারণ :

১) ইয়াআইয়ুহাল মুঝঝাম্মিল।
২) কুমিল্লাইলা ইল্লা- কালীলা-।
৩) নিসফাহূআবিনকু স মিনহু কালীলা-।
৪) আও ঝিদ ‘আলাইহি ওয়া রাত্তিলিল কুরআ-না তারতীলা-।
৫) ইন্না- ছানুলকী ‘আলাইকা কাওলান ছাকীলা-
৬) ইন্না না-শিআতাল্লাইলি হিয়া আশাদ্দুওয়াত’আওঁ ওয়া আকওয়ামুকীলা-।
৭) ইন্না লাকা ফিন্নাহা-রি ছাবহান তাবিলা-।
৮) ওয়াযকুরিছমা রাব্বিকা ওয়া তাবাত্তাল ইলাইহি তাবতীলা-।
৯) রাব্বুল মাশরিকিওয়াল মাগরিবি লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া ফাত্তাখিযহু ওয়াকীলা-।
১০) ওয়াসবির ‘আলা-মা-ইয়াকূ লূনা ওয়াহজুরহুম হাজরান জামীলা-।
১১) ওয়া যারনী ওয়াল মুকাযযিবীনা উলিন না’মাতি ওয়া মাহহি হুম কালীলা-।
১২) ইন্না লাদাইনাআনকা-লাওঁ ওয়া জাহীমা-
১৩) ওয়া তা’আ-মান যা-গুসসাতিওঁ ওয়া’আযা-বান আলীমা-।
১৪) ইয়াওমা তারজুফুল আরদুওয়ালজিবা-লুওয়াকা-নাতিল জিবা লুকাছীবাম মাহীলা-।
১৫) ইন্নাআরছালনাইলাইকুম রাছুলান শা-হিদান ‘আলাইকুম কামাআরছালনাইলাফির’আওনা রাছুলা-।
১৬) ফা‘আসা- ফির‘আওনুর রাছুলা ফাআখায়না- হু আখযাওঁ ওয়া বীলা-।
১৭) ফাকাইফা তাত্তাকূনা ইন কাফারতুম ইয়াওমাইঁ ইয়াজ’আলুল বিলদা না শীবা-।
১৮) আছছামাউ মুনফাতিরুম বিহী কা-না ওয়া’দুহূমাফ’ঊলা-।
১৯) ইন্না হা- যিহী তাযকিরাতুন ফামান শাআত্তাখাযা ইলা- রাব্বিহী ছাবীলা-
২০) ইন্না রাব্বাকা ইয়া’লামুআন্নাকা তাকৃমুআদনা- মিন ছু লুছাইল্লাইলি ওয়া নিসফাওয়া ছু লুছাওয়া তাইফাতুম মিনাল্লাযীনা মা’আকা ওয়াল্লা- হু ইউকাদ্দিরুল্লাইলা ওয়ান্নাহা-রা ‘আলিমা আল্লান তুহসূহু ফাতা-বা ‘আলাইকুম ফাকরাঊ মা- তায়াছছারা মিনাল কুরআ-নি ‘আলিমা আন ছাইয়াকূনুমিনকুম মারদা- ওয়া আ-খারনা ইয়াদরিবৃনা ফিল আরদিইয়াবতাগূনা মিন ফাদলিল্লা-হি ওয়া আ- খারূনা ইউকাতিলূনা ফী ছাবীলিল্লা-হি ফাকরাঊ মা-তায়াছছারা মিনহু ওয়া আকীমুসসালা-তা ওয়া আ-তুঝঝাকা-তা ওয়া আকরিদূ ল্লা-হা কারদান হাছানাও ওয়ামা- তুকাদ্দিম্ লিআনফুছিকুম মিন খাইরিন তাজিদূ হু ‘ইনদাল্লা-হি হুওয়া খাইরাওঁ ওয়া আ’জামা আজরাও ওয়াছতাগফিরুল্লা-হা ইন্নাল্লা-হা গাফূরুর রাহীম।

সূরা মুযযাম্মিল অর্থ :

১) হে বস্ত্রাবৃত!
২) রাত্রিতে দন্ডায়মান হোন কিছু অংশ বাদ দিয়ে;
৩) অর্ধরাত্রি অথবা তদপেক্ষা কিছু কম
৪) অথবা তদপেক্ষা বেশী এবং কোরআন আবৃত্তি করুন সুবিন্যস্ত ভাবে ও স্পষ্টভাবে।
৫) আমি আপনার প্রতি অবতীর্ণ করেছি গুরুত্বপূর্ণ বাণী।
৬) নিশ্চয় এবাদতের জন্যে রাত্রিতে উঠা প্রবৃত্তি দলনে সহায়ক এবং স্পষ্ট উচ্চারণের অনুকূল
৭) নিশ্চয় দিবাভাগে রয়েছে আপনার দীর্ঘ কর্মব্যস্ততা।
৮) আপনি আপনার পালনকর্তার নাম স্মরণ করুন এবং একাগ্রচিত্তে
তাতে মগ্ন হোন৷
৯) তিনি পূর্ব ও পশ্চিমের অধিকর্তা। তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই । অতএব, তাঁকেই গ্রহণ করুন কর্মবিধায়করূপে।
০) কাফেররা যা বলে, তজ্জন্যে আপনি সবর করুন এবং সুন্দরভাবে তাদেরকে পরিহার করে চলুন।
১১) বিত্ত-বৈভবের অধিকারী মিথ্যারোপকারীদেরকে আমার হাতে ছেড়ে দিন এবং তাদেরকে কিছু অবকাশ দিন।
১২) নিশ্চয় আমার কাছে আছে শিকল ও অগ্নিকুন্ড।
১৩) গলগ্রহ হয়ে যায় এমন খাদ্য এবং যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
১৪) যেদিন পৃথিবী পর্বতমালা প্রকম্পিত হবে এবং পর্বতসমূহ হয়ে যাবে বহমান বালুকাস্তুপ৷
১৫) আমি তোমাদের কাছে একজন রসূলকে তোমাদের জন্যে সাক্ষী করে প্রেরণ করেছি, যেমন প্রেরণ করেছিলাম ফেরাউনের কাছে একজন রসূল।
১৬) অতঃপর ফেরাউন সেই রসূলকে অমান্য করল, ফলে আমি তাকে কঠিন শাস্তি দিয়েছি।
১৭) অতএব, তোমরা কিরূপে আত্নরক্ষা করবে যদি তোমরা সেদিনকে অস্বীকার কর, যেদিন বালককে করে দিব বৃদ্ধ?
১৮) সেদিন আকাশ বিদীর্ণ হবে। তার প্রতিশ্রুতি অবশ্যই বাস্তবায়িত
হবে।
১৯) এটা উপদেশ। অতএব, যার ইচ্ছা, সে তার পালনকর্তার দিকে পথ
অবলম্বন করুক।
২০) আপনার পালনকর্তা জানেন, আপনি এবাদতের জন্যে দন্ডায়মান হন রাত্রির প্রায় দু’তৃতীয়াংশ, অর্ধাংশ ও তৃতীয়াংশ এবং আপনার সঙ্গীদের একটি দলও দন্ডায়মান হয়। আল্লাহ দিবা ও রাত্রি পরিমাপ করেন। তিনি জানেন, তোমরা এর পূর্ণ হিসাব রাখতে পার না। অতএব তিনি তোমাদের প্রতি ক্ষমা পরায়ন হয়েছেন। কাজেই কোরআনের যতটুকু তোমাদের জন্যে সহজ, ততটুকু আবৃত্তি কর। তিনি জানেন তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ অসুস্থ হবে, কেউ কেউ আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধানে দেশে-বিদেশে যাবে এবং কেউ কেউ আল্লাহর পথে জেহাদে লিপ্ত হবে। কাজেই কোরআনের যতটুকু তোমাদের জন্যে সহজ ততটুকু আবৃত্তি কর। তোমরা নামায কায়েম কর, যাকাত দাও এবং আল্লাহকে উত্তম ঋণ দাও। তোমরা নিজেদের জন্যে যা কিছু অগ্রে পাঠাবে, তা আল্লাহর কাছে উত্তম আকারে এবং পুরস্কার হিসেবে বর্ধিতরূপে পাবে। তোমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা কর। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।

সূরা মুযযাম্মিল এর ফজিলত 

হজরত মুহাম্মদ (সা) বলেছেন ,যে ব্যক্তি কোনো বিপদের সময় সুয়া মুযযাম্মিল পাঠ করলে মহান আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছায় বিপদ হতে উদ্ধার লাভ করবে। যে ব্যক্তি সর্বদা এ সূরা তেলাওয়াত করবে আল্লাহ তায়ালা তাকে সুখ শান্তি ও নিরাপদে রাখবেন এবং তার জন্য  দোজখের আগুন হারাম হয়ে যাবে। 

যদি কোনো ব্যক্তি ৪০ দিন পর্যন্ত প্রতিদিন ১১ বার দরূদ শরীফ পাঠ করে ১১১১ বার “ইয়া মুগনী “পাঠ করে ১১ বার সূরা মুযযাম্মিল পাঠ করে পুনরায় ১১ বার দরূদ শরীফ পাঠ করে তাহলে আল্লাহ তায়ালা তার রুজি রোজগার ও ধন সম্পদ বাড়িয়ে দিবেন এবং সব কিছুতে তার উন্নতি হবে। আমল করার সময় কিবলার দিকে ময়খ মোর বসতে হবে এবং কারো সাথে কথা বলা যাবে না।

সূরা মুযযাম্মিল PDF Download

 

Sharing Is Caring:

Leave a Comment