যাদের রোজা কবুল হয় না! রোজা কবুল না হওয়ার কারণ রোজার ফযিলত

যাদের রোজা কবুল হয় না

আসসালামু আলাইকুম দশটি কারণে মাহে রমজান শ্রেষ্ঠ তার মধ্যে এক নম্বর হচ্ছে সিয়াম ও কিয়াম রমজান মাসের আগমন ঘটে প্রধানত রোজা ও তারাবির বার্তা নিয়ে এটি রমজান মাসের বিশেষ আমল দুইটি আমলের ব্যাপারে সর্বাধিক যত্নবান হওয়া অত্যাবশ্যকীয় মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে যেমনটা বলেছেন তোমাদের উপর রোজা ফরয করা হয়েছে যেমন করা হয়েছিল তোমাদের

পূর্ববর্তীদের উপর যাতে করে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করতে পারো সূরা বাকারা আয়াত নম্বর 183 আবু হুরায়রা তা’আলা আনহু বলেন রমজান মাসের সর্বাধিক লাভ তো তারাই অর্জন করে যারা সিয়াম ও কিয়াম পালন করে প্রথম পুরষ্কার রমজান শেষে গুনাহ ওই ব্যক্তির মত পবিত্র হয়ে যায় যে সদ্য মায়ের গর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হয়েছিল সুবহানাল্লাহ। 

 

২য় নাম্বার হচ্ছে কুরআন নাযিলের মাস রমজান মাস হলো কোরআন নাজিলের এই মাসে পূর্ণ কুরআন লাওহে মাহফুজ থেকে একসঙ্গে প্রথম আসমানে অবতীর্ণ হয় এবং রাসূল সাল্লাহু এর উপর ওহী অবতরণের সূচনা হয় এই মাসে এরশাদ হয়েছে রমজান মাসে কুরআন নাযিল হয়েছে যা মানুষের জন্য হেদায়েত শান্তি পাওয়ার  পথ নির্দেশ।

 

হক এবং বাতিলের মধ্যে পার্থক্যকারী সূরা বাকারা আয়াত নাম্বার 185 

ইবরাহীম আলাইহিস সালাম এর সহিহ তাওরাত যাবুর ইঞ্জিল সহ সকল আসমানী কিতাব পৃথ্বীরাজ হচ্ছে কুরআন তেলাওয়াত কুরআন নাযিলের মাস তেমনি করে কোরআন তেলাওয়াতের ও মাস কোরআন সেখাও শেখানোর মাস শুদ্ধ করার মাস কোরআন মুখস্থ করা ও ইয়াদ করার মাস। 

 

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেন রোজা ও কোরআন কিয়ামতের দিন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে রোযা বলবে হে আল্লাহ তাকে দিনের বেলায় পানাহার ও যৌন সম্ভোগ থেকে পূর্ণ বিরত রেখেছে তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল করুন বলবে আমি তাকে রাতের নিদ্রা থেকে বিরত রেখেছে কাজেই তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল করুন তাদের সুপারিশ গ্রহণ করা হবে 

 

সালেহীন এর জীবনী আলোচনা করলে দেখা যায় তারা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা রমজানে বহুবার কোরআন খতম করতে আমলের সওয়াব এই মাস ইমানদারের নেক আমলের প্রতিদান বৃদ্ধির মাস আখেরাতের সাদা করার শ্রেষ্ঠ সময় ব্যবসায়ীদের যেমন বিশেষ বিশেষ মৌসুম থাকে যখন খুব জমজমাট ব্যবসা হয় বছরের অন্য সময়ের তুলনায় আয়-উপার্জন বেশি হয় 

 

তেমনি আখেরাতের ব্যবসায়ীদের জন্য ব্যবসার শ্রেষ্ঠ মৌসম। ইসলাম বলেছেন রমজান মাসের যেকোনো নফল ইবাদত অন্য মাসের ফরজ ইবাদতের সমান এবং যেকোন ফরজ ইবাদত ফরজ ইবাদতের সওয়াব হচ্ছে ৭০ গুন বেশি  কল্যাণের ঘোষণা জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয় বন্ধ করে দেওয়া হয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যখন রমজান মাসের

প্রথম রাতের আগমন ঘটে তখন দুষ্ট জিন ও শয়তান শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয় দরজা গুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় তার একটি দরজাও খোলা হয় না জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয় তার একটি দরজা ও বন্ধ করা হয় না আর একজন ঘোষণা করতে থাকে এ কল্যাণের প্রত্যাশী অগ্রসর হও আল্লাহ তায়ালা এই মাসের প্রতিরাতে অসংখ্য জাহান্নামীকে মুক্তি দান করে তিরমিজি হাদিস

নম্বর 682 মুক্তির মাস এই মাসে অসংখ্য মানুষের দোয়া কবুল করা হয় আবেদন মঞ্জুর করা হয় জাহান্নামের নাম জাহান্নামের তালিকা থেকে মুছে ফেলা হয় দোযখ থেকে মুক্তির ঘোষণা দেওয়া হয় তাই এই মাসে বেশি বেশি ন্যাকামো করতে হবে হবে এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাইলে হবে যাবতীয় দরখাস্ত দয়াময় আল্লাহর দরবারে পেশ করতে হবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন অবশ্যই 

রোজা-কবুল-না-হওয়ার-কারণ

আল্লাহ তাআলা রমজান মাসের প্রত্যেকদিন ওড়াতে অসংখ্য ব্যক্তিকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করেন এবং প্রত্যেক মুমিন বান্দার একটি করে দোয়া কবুল করেন 7450। 

৩ বাক্তির দোয়া ফারত দেওয়া হয়না তারা হলেন রোজাদারের দোয়া ইফতার পর্যন্ত ন্যায়পরায়ণ শাসক এর দোয়া মুজলুম এর দোয়া  এটি পাপমোচন ও গুনাহ থেকে মুক্তির মাস সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ একজন থেকে আরেকজনে এবং এক রমজান থেকে আরেক রমজানের মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহ গুলো মুছে দেয় যদি সে কবীরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকে সহিঃ মুসলিম হাদিস নম্বর 233 শক্তি ও পাথেয় সংগ্রহ মানুষগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ মাস হলো রমজান মাস বারমাসের সরদার রমজান মাস নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম ইরশাদ করেন আল্লাহর কসম মুসলমানদের জন্য রমজানের চেয়ে উত্তম কোন মাস আসেনি এবং

মুনাফিকদের জন্য রমজান মাসের চেয়েও অধিক গতির মাস আর আসেনি সারা বছরের জন্য এবাদতের শক্তিও সংগ্রহ করে আর মুনাফিকরা তাতে মানুষের উদাসীনতা ও দৃষ্টি অনুসরণ করে এই মাস মুমিনদের জন্য গনিমত আর মুনাফিকের জন্য ক্ষতির কারণ মুসনাদে আহমদ হাদিস নম্বর 8128 দানশীলতা নবীজি সাল্লাল্লাহু ইসলাম এমনিতেই প্রচুর দান-সদকা করতেন তিনি এ মাসে ধানের পরিমাণ আরো বহুগুণে বাড়িয়ে দিতেন হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বলেন সালাম ছিলেন

মানুষের মাঝে সর্বশ্রেষ্ঠ দাতা তার দানশীলতা অধিকতর বৃদ্ধি পেত রমজান মাসে যখন জিবরাঈল আলাইহিস সাল্লাম তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন প্রতিরাতে আগমন করতেন এবং তারা পরস্পর কোরআন শোনাতেন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম তখন কল্যাণ বাহির সহিঃ মুসলিম হাদিস নম্বর 2308 রাসূল সাল্লাল্লাহু ইসলাম বলেন যে ব্যক্তি কোন রোজাদারকে

ইফতার করাবে সে রোজাদারের অনুরূপ প্রতিদান লাভ করবে তবে রোজাদারের প্রতিদান থেকে বিন্দুমাত্র রাস করা হবেনা তিরমিজি হাদিস নম্বর 810 লাইলাতুল কদর রয়েছে হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ যেই রাত্রিতে iবাদত করলে হাজার রাতের চেয়ে বেশি রাতের সব অর্জিত হয় এরশাদ লায়লাতুল কদর এক হাজার মাস অপেক্ষা মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে রমজানের পরে বরকত হাসিল করার তৌফিক দান করুক আমিন 

আসসালামু আলাইকুম ও রহমাতুল্লহা রমজান মাসেও তিন শ্রেণীর নারীদেরকে আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করবেন না। মা বোনদেরকে বলব আপনারা সাবধান থাকবো। যে সমস্ত নারীরা নামাজ পড়ে না এদেরকে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ক্ষমা করবেন ।

কারণ হল আপনি যত ইবাদত-বন্দেগি করেন না কেন যদি আপনি ফরয সালাতগুলোর নিয়মতান্ত্রিক না পড়েন তাহলে আপনি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেন না।  আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম নামাজের হিসাব নেওয়া হবে।

অনেকেই আছে সারা বছর নামাজ পড়ে না অর্থাৎ এক ওয়াক্ত নামাজ পড়ে না কিন্তু রমজান মাসে গিয়ে ঠিকই তারাবির নামাজে ভির জমায়  তারাবির নামাজ অত্যন্ত ফজিলত পূর্ণ  কিন্তু এটির মর্যাদা কখনোই কোন ফরজ নামাজের

ঊর্ধ্বে নয় এমন অনেক নারী রয়েছেন তারা এসে পড়েন তারাবী পড়েন কিন্তু দেখা যায় পরের দিন ফরজ পড়ছেন নামাজ পড়ছেন না বা সেখানে শৈথিল্য প্রদর্শন করছেন শৈথিল্য প্রদর্শন করছেন রাতে নামাজ গুলো ঠিকভাবে পড়ছে কথা হচ্ছে প্রত্যেকটা ফরজ নামাজ কে প্রথম প্রায়রিটি দিতে হবে।

অধিক গুরুত্বের সাথে ফরজ নামাজ গুলো আদায় করতে হবে তারপর অতিরিক্ত ইবাদত হিসেবে তারাবি তাহাজ্জুদ যাবতীয় সুন্নত নামাজের মর্যাদা দিতে হবে। যে সমস্ত নারীরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে না তারা রমজান মাসে রোজা রাখলে

আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে ক্ষমা করবেন না। একটা ফরজ ইবাদত অবশ্যই নামাজ আদায় করতে হবে প্রিয় দর্শক যে তিন শ্রেণীর নারীদেরকে আল্লাহ তাআলার জান্নাতে প্রবেশ করতে দেবেন না তার মধ্যে এক নম্বর হল যে নারী নামাজ পড়ে না।

দুই যে নারী স্বামীকে মুখের দ্বারা কষ্ট দেয়, জিব্বার মাধ্যমে কষ্ট দেয় তালা আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু তালা আনহু বলেন আমি যখন প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম যখন মেরাজে গেলেন তখন তিনি কিছু নারীদের মধ্যে বরশি লাগিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে মর্মে বর্ণনা করেন আল্লাহ রাসুল এই দৃশ্য দেখে

আঁতকে উঠলেন এবং জিব্রাইলকে জিজ্ঞেস করলেন হে জিবরাঈল তারা কেন এই নারীদেরকে বীভৎসভাবে কষ্ট দিচ্ছে জিবরায়িল বললেন হে আল্লাহর রাসূল এরা স্বামীকে জিব্বার মাধ্যমে কষ্ট দিত

অনেক মেয়ে আছে তাদের স্বামীকে ধমকের সুরে কোথা বলে।  আমি মেয়ে হয়েছি তাই তোমার ঘর করছি বা  কোন অবদানকে মূল্যায়ন করেন না অথবা অবদানকে মূল্যায়ন করলেও শুধুমাত্র একটি ভুলের কারণে সকল অবদানকে এক মুহূর্তে অস্বীকার করে বসে থাকেন তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেন

এজন্য সব সময় মনে রাখবেন মাহে রমজান থেকে প্র্যাকটিস শুরু করুন এখানে একটা কথা বলে রাখা উচিত কোন স্বামী যদি চিন্তা করেন যে যেহেতু স্ত্রী তার স্বামীকে কষ্ট দিতে পারবে না নিশ্চয় স্বামীর জন্য স্ত্রীকে কষ্ট দেওয়া তে কোন বাধা নেই সে উদ্দেশ্যে বলে রাখি হাতে যেতে পারবেনা যে পর্যন্ত না তার স্ত্রী তার ব্যাপারে শ্রেষ্ঠ আল্লাহর রাসূল বলেছেন সেই পুরুষ

শ্রেষ্ঠ যে তার স্ত্রীর কাছে শ্রেষ্ঠ একইভাবে সালাতের ব্যাপারে কোনো পুরুষ যদি শৈথিল্য প্রদর্শন করে আল্লাহতালা কিয়ামতের ময়দানে তাকে ছাড় দিবেন। তাই রোজার মাসে আপনারা ক্ষমা পাবেন তার

জন্য আপনাকে তিনটা শর্ত পূরণ করতে হবে এক নামাজ ছাড়বেন না স্বামীকে কখনো কষ্ট দিবেন না হারাম খাবার ভক্ষণ করবেন না এগুলো করার পর যদি আপনি এবাদত-বন্দেগি করেন সে সমস্ত এবাদত আল্লাহর দরবারে অবশ্যই কবুল হবে

এরপর আপনি যত বেশি পারেন এবাদত করতে থাকেন তারাবির নামাজ পড়েন তাহাজ্জুদ পড়েন কিয়ামুল লাইল পড়েন যতটুকু আপনার তৌফিককে কুলায় ইবাদত  করতে থাকেন কিন্তু  কোন সুন্নত নামাজ কে ফরজ এর উপরে অগ্রাধিকার দেবেন না আপনার ফার্স্ট প্রায়োরিটি থাকবে ফরজ নামাজ প্রত্যেকটি নামাজকে খুশু-খুযুর সাথে ভাবে আদায় করা

রোজা-কবুল-না-হওয়ার-কারণ

কাদেরকে রোজা না রাখার ব্যাপারে সারিয়া ছাড় দিয়েছে

 আল্লাহ বলছেন যারাই রমাদান মাস পাঁয় তারা জন্য রোজা রাখে আল্লাহ কিন্তু অর্ডার করেছেন এটা অপশনাল না এটা একেবারেই কম্পলসারি তো কিছু লোককে আবার ছাড় দেয়া হয়েছে তোদের পরিস্থিতির কারণে তারা কারা এবং কোন পরিস্থিতিতে পড়লে আপনি রোজা ভাঙতে পারবেন শুরুতে আমরা এটা নিয়ে কথা বলি

 

10 শ্রেণির মানুষ কে মূলত সারিয়া ছাড় দিয়েছে রোজা না রাখার ব্যাপারে, তারা তাদের পরিস্থিতির আলোকে কোন সমস্যায় পড়লে রোজা না রাখলেও চলবে।

 

আগে আমরা এই বিষয়ে জানি 

 

১/ শিশুরা তাদেরকে রোজা না রাখার ব্যাপারে ছাড় দেয়া হয়েছে তবে শিশুদের কে উৎসাহিত করা উচিত একজন শিশু যখন ম্যাচিউরড হবে তখন থেকে সে রোজা রাখবে ছেলেরা ম্যাচিউরড হয় যখন তাদের প্রথম নাইটমেয়ার হয় মানে প্রথম যখন স্বপ্নদোষ হয় তখন থেকে ম্যাচিওরড তার উপর রোজা রাখা ফরজ। মেয়েদের মাসিক যখন শুরু হয় তখন থেকে তাদের উপর রোজা রাখার ফরজ তার আগে যে শিশুরা এখনো নাইটমেয়ার হয়নি বা যে মেয়েদের এখনো মাসিক শুরু হইনি তাদের উপর রোজা ফরয না।  

 

কিছুদিন আগে বৈশাখী টিভিতে সরাসরি লাইভ প্রোগ্রামে এক মা প্রশ্ন করেছিলেন যে তার ছেলের বয়স ৮ বছর মা কি করবেন আসলে এটা তো খুব ভালো কথা আছে তারা ৮ বছরের ছোট্ট ছেলে রোজা রাখতে চাই আপনার ছেলেমেয়েদেরকে উৎসাহিত করবেন ছেলে যদি রোজা রাখতে চায় তাকে না করে উৎসাহিত করবেন কারণ একদিন ৮ ঘণ্টা ১০ ঘন্টা না খেয়ে থাকলে কেউ আসলে মরে যায় না আমরা ছোটবেলা যেটা করতাম আমাদেরকে উৎসাহিত করা হতো বলা হত থেকে দুপুর ১২ পর্যন্ত না খেয়ে থাকলে অর্ধেক রোজা আবার আগামীকালের পরের দিন ১২ পর্যন্ত না খেয়ে থাকলে অর্ধেক রোজার ২  অর্ধেক মিলে এক রোজা হয়।

এভাবে আমাদেরকে মুরুব্বিরা বুঝাতো আসলে এটা কোরানের ওখানে শারিয়ার কথা না কিন্তু আপনার ছেলে মেয়েদের কে উৎসাহ দিতে পারেন তারা তাদের আমলনামা এখনো শুরু হয়নি কিন্তু তারা এখনো এবাদত করলে এটা বাবা-মা সেটার অংশীদার হবে ইনশাআল্লাহ প্রথম যাদের রোজা রাখা লাগবে না তারা শিশুরা 

 

২/ দ্বিতীয়ত হচ্ছে মজনুন মাজনুন মানে হচ্ছে বিকারগ্রস্থ ভারসাম্যহীন লোক পাগল এর উপর শরীয়তের কোন হুকুম চাপে না। (৩) ধরনের ব্যক্তি থেকে শরীয়তের হুকুম কে উঠিয়ে নেয়া হয় এক  ছোট বাচ্চার উপর শরীয়াতের কোন কলম চালানো হয় না। তার আমলনামা লেখা হয়না কারন যতক্ষণ না সে ম্যাচিউরড হয় প্রাপ্তবয়স্ক হয় ২।পাগল কোন শরীয়তের বিধান নেই হুকুম নেই যতক্ষণ না সে সুস্থ হয় নাই  ৩ । ঘুমন্ত ব্যক্তির কোন বিচার নেই ব্যক্তির কোন এর উপর কোন হুকুম নেই কারণ ঘুমিয়ে আছে। সে জেগে উঠবে তখন থেকে তার আমলনামা লেখা শুরু এই দলিলের ভিত্তিতে ছোট বাচ্চাদের উপর এবং মানসিক ভারসাম্যহীন রোজা রাখা ফরজ নয় বারে হচ্ছে।

 

৩। অসুস্থ আপনি যদি অসুস্থ হন তাহলে আপনি রোজ চছাড়তে পারবেন কিন্তু এটা আবার পেটে ব্যথা মাথায় ব্যথা এগুলোর জন্য না।

আপনার এমন ডক্টর আপনাকে  সাজেস্ট করছেন আপনি রোজা রাখতে পারবেন না তাহলে আপনার প্রাণহানি ঘটবে। আপনাকে ওষুধ খেতেই হবে শুধু ওই পরিস্থিতিতে আপনি অসুস্থতার কারণে রোজা ভাঙতে পারবেনা সহজ করে দিয়েছে আল্লহ চান নাম্বারে হচ্ছে মুসাফির আপনি যদি ট্রাভেলে থাকেন সফর করে সফরের কষ্ট হয় অনেক কষ্টতে আদমিন আলাদা অনেক কষ্টদায়ক প্রয়োজন নবী কামলিওয়ালা ওয়ালাইকুমুসসালাম চান আল্লাহ আমাদের উপর কঠিন কিছু চাপিয়ে দিতে চান না অসুস্থ এবং যদি সফরের থাকেন তো জন্য রোজা ভাঙ্গা এটা জায়েজ আছে সালমান খান আমিন কুমারী গানা ওয়ালা সাফারিং ফ্রাইডে তুমি নাই আমি রোজা ভাঙতে পারবে তবে ফাইট দশমিনা ইয়ামিন অফার প্রতি সময়ে তোমরা কয়টা রোজা ভাঙলে এটা

গুনে কাযা করতে হবে এ্যালেক্সার আপনি অসুস্থতার কারণে পাঁচটি রোজা ভেঙ্গে গেল পরবর্তীতে আপনার ফ্লেক্সিবল কনভেনিয়েন্ট কোন টাইমে করে ফেলবে আপনি সফরের কারণে হয়ত দুইটি রোজা আপনার ভেঙে গেল পরবর্তীতে আপনার সুযোগ মত অন্য যেকোনো সময়ে বছরের যেকোনো সময়ে সেই দুইটি রোজা রাখলে করলে ঠিক হয়ে যাবে পাঁচ নাম্বারে যাদের উপর রোজা রাখার ব্যাপারে ছাড় দেয়া হয়েছে তারা হচ্ছে আলহারাম আল-হারাম মানি হচ্ছে ভেরি অল্ড ম্যান অল্ড ম্যান যাদের বয়স আসির বেশি নব্বইয়ের বেশি বার্ধক্যে উপনীত হয়েছে বয়সের ভারে ন্যুজ যে তারা বুঝতে পারে না দাঁড়াতে পারে না আত্মীয়স্বজনদের

কাব্যের কাউকে চিনে না বলতে পারে না তাদের উপর শরীয়তের কল আসলে তারা তাদের ব্যাপারে আল্লাহ ছাড় দিয়েছেন আল্লাহ যিনি অতিব কনফিদেন্স ওয়ামন স্কিন থেরাপি দিয়ে দিয়ে দিবে এমন দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত লেটস এর ক্যান্সার হয়েছে বা তা থেকে আর সুস্থ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই পরের কাজ আর করবে তারও সুযোগ নেই তবে এত বয়স লেখার বিষয়টা 10:10 যায় না আসলে যখন তারা ফ্রি দিয়ে দিবে একটা রোজার কারণে একজন লোককে খাওয়াবে 30 টা রোজার কারণে

একজন লোককে 30 দিন খাওয়াবে অথবা 30 জনকে একবারে খাইয়ে দিলে হয়ে যাবে এটা হচ্ছে ফিদিয়া অনেকেই প্রশ্ন করেছেন যে আমার আম্মা খুব অসুস্থ এত অসুস্থ বুঝতে পারেন না আমাদেরকে চিনেন না কথা বলতে পারেন না বয়স তার 85 কি করবে তার রোযা রাখা লাগবে না তার পক্ষ থেকে আপনারা ছেলেমেয়েরা যারা আছেন ফিরিয়ে দিয়ে দিবেন 30 জন লোক একসাথে ধরে উদাহরণস্বরূপ আপনি তিরিশটা বিরিয়ানির প্যাকেট মিনারেল ওয়াটারের বোতল মিনিট প্যাকেজ খাবার

আপনি দিয়ে দিলেন পাঁচটি আমরা বলে ফেললাম 6 নাম্বারে হচ্ছে আজ হাবুল আমার সারা খুব হার্ড ওয়র্কিং করে ডিফিকাল্ট ওয়ার্কস এর সাথে যারা জড়িত যাদের কাজের ক্ষেত্র টা এত কঠিন তাদের পক্ষে রোজা রাখা

সম্ভব না কিন্তু তাদের উচিত হবে তাদের সর্বোচ্চ দেশ রাইদের লেভেল বেস্ট রোজা রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে এবং এই কাজ ছেড়ে দিয়ে অন্য কোন কাজের সুযোগ যদি পায় যে কাজের মধ্য দিয়ে সে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে তাহলে ওই কাজ করবে এবং রোজা রাখবেন পরিস্থিতি যদি 100 টা ইমার্জেন্সী হয় এমন হয়ে যায় কোন কাজ নেই জব নেই চাকরির সুযোগ নেই জীবন বাঁচানোর সুযোগ নেই এমন কিছু কাজ তারা করছো

একাজগুলো করা অবস্থায় যদি রোজা রাখতে না পারে সে ক্ষেত্রে আল্লাহ ওদেরকে ছাড় দিয়েছেন তারা কারা যেমন কাজ করে সিলেটে গিয়েছেন দেখবেন প্রচণ্ড রোদে যারা স্টোন ক্রাশার কাজ করে তাদের পক্ষে

আসলে এই কাজ করে রোজা রাখা সম্ভব এরপর রিকশা পুল্লের প্রচণ্ড গরমে চৈত্রমাসে যদি কেউ রিক্সা চালায় এবং এই কাজ ছাড়া যদি তার অন্য কাজের সুযোগ না থাকে রাত্রিবেলা শুধু রিকশা চালিয়ে জীবিকা নাচলে দিনের বেলাও যদি চালাতে হয় রোদ্রের মধ্যে দিয়ে তাহলে সে চাইলে নাই

পারেন তাহলে ভাঙতে পারবেন কিন্তু পরবর্তীতে তিনি কাযা করে নিতে হবে পাশাপাশি আয়রন ফ্যাক্টরিতে যাওয়ার কাজ করে এই ব্যাটার ভিডিও দেখেছি যে কোন ফ্যাক্টরিতে যারা কাজ করে এতটা কষ্ট সাধ্য কাজ

হার গলিত অংশ আসছে এটাকে আবার আরেকটা লোহা দিয়ে বাঁকা করে দিতে হয় আর সেই লোহার প্রচন্ড গলিত লোহার তাতে তাদের দেহ বেয়ে ঘাম ঝরছে ভিডিওতে পাশের ঠান্ডা পানির বালতিতে ঠান্ডা পানি রাখা পানি নিয়ে তাতে মিনিট পর পরই তাদের দেহের মধ্যে পানি ঢালছে তো তাদের পক্ষে রোজা রাখা সম্ভব না সৌদি আরবে আরববিশ্ব যারা ডিজে কাজ করে মরুভূমিতে এই এই জাতীয় কাজের সাথে যারা জড়িত অন্য কাজ

খুঁজে পাচ্ছেন না যে কাজ করে তার রোযা রাখবে এই কাজই করা লাগতেছে এখন রোজা রাখার শখ তাদের নেই এই পরিস্থিতিতে তারা রোজা রাখতে তারা ডিহাইড্রেশনের মরেই যাবে শূন্যতায় মরেই যাবে তারা

এরকম ইমারজেন্সি পিরিওড যদি হয় তাহলে তার রোযা ভাঙতে পারবেন কিন্তু পরবর্তীতে কাযা করে নিতে হবে অবস্থা যেন এমন না হয় যে প্রতিবছরই

জিনিসটা সিং এর কাজ ফ্যাক্টরিতে কাজ করে আর রোজার দিনে রাখেন এমনটা যেন না হয় ইমারজেন্সি কারো এরকম সমস্যা হয়ে যায় তাদের জন্য রোজা ভাঙ্গে সুযোগ আছে কারণ হচ্ছে মাকাসিদে শরীয়াহ আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে সারিয়া পাঁচটা জিনিসকে খুব বেশি প্রায়োরিটি দেয় পাঁচটা জিনিস কে হেফাজত করার ব্যাপারে তার প্রথমটা হচ্ছে

একজন নাম জীবন বাঁচাতে হবে আগে সবার আগে জীবন বাঁচাবে জীবনে যদি না থাকে তবে কি করে এবাদত করবেন এই সুযোগগুলো নেয়া হয়েছে ওই

আয়াত থেকে জেলা সফর সফরে থাকলে আল্লাহ সিয়ামকে ভাঙ্গা সুযোগ দিলেন কেন কারণ সফরে কষ্ট হয় সফরের যদি কষ্ট হয় ক্রাশিং করে যারা চৌধুরী মাসে রিকশা চালায় যারা আয়রন ফ্যাক্টরিতে কাজ করে যারা সৌদি আরবের মরুভূমির তপ্ত বালুর উপর কাজ করে তাদের কষ্ট তারও বেশি শারিয়ার একটা মূল সৌন্দর্য হচ্ছে সিম্প্লিসিটি অপিনিয়ন দিতে

হবে এটাকে মানুষের উপযোগী করে দিতে হবে তো তাদের পরিস্থিতি যদি এরকম হয় যে অন্য কোনো কাজের সুযোগ নেই তাছাড়া তাদের বাঁচার উপায় নেই তাহলে তারা রোজা ভাঙতে পারবেন কিন্তু পরবর্তীতে রোজাগুলো কাজা করে নিবেন যতটা দোতারা ভেঙেছেন কারণ আল্লাহ শব্দের উপর কিছু চাপিয়ে দেন না যা বহন আসছেন হ্যাঁ তোমাদের স্যারদের উপর আল্লাহ বাইরে কিছু চাপিয়ে দেন না এবং আল্লাহ বলছেন ইন্নাল্লাহা

কেন বিক্রম রাহিম তোমরা নিজেদেরকে জেনেশুনে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিও না হত্যা করুন আল্লাহ তোমাদের উপর রহম মেহেরবান তো এ কারণে তাদের উপরও রোজা না রাখার ব্যাপারে পরিস্থিতির আলোকে ছাড়

দেয়া হয়েছে 6t আমরা শুনেছিলাম সাত নাম্বারে হচ্ছে আল্লাহ মানির গর্ভবতী নারী প্রেগনেন্ট আমার মায়েরা বোনেরা যারা কনসিভ করছেন যদি বলে যে ডক্টর যদি সাজেস্ট কলেজে আপনি যদি রোজা রাখেন আপনার কৃষ্ণের কারণে পেটের বাচ্চার সমস্যা হতো তাহলে আপনি রোজা ভাঙতে

রোজা-কবুল-না-হওয়ার-কারণ

পারবেন পরবর্তীতে যতগুলো ভেঙেছেন কালেক্ট করে নেবে এক নাম্বার হচ্ছেঃ al-noor দেয়া মানে হচ্ছে দুধ খাওয়ানো বাচ্চাকে ব্রেস্ট ফিডিং মাদার দুধ খাওয়াচ্ছেন আমরা জানি যে মা যখন খাবার খায় সে খাবারের মাধ্যমে কিন্তু তার স্তনে দুধ আসে তো সে যদি সারাদিন রোজা রাখে তাহলে স্তনে দুধ আসবে না ফলে বাচ্চা খেতে পারবেনা আর মায়ের বুকের

দুধ টা কিন্তু বাচ্চার হও ইসলাম কতটা স্কুলে বাঁধের দিকে কতটা বেশি খেয়াল রেখেছে বাচ্চা যাতে ওই হক থেকে বঞ্চিত না হয় মায়ের বুকের দুধে কিন্তু অনেক বেশি পরিমাণে ভিটামিন আছে যেটা বাচ্চার ব্রেইন কুয়েত হওয়ার জন্য খুব বেশি দরকার মায়ের বুকের দুধ খেতে না পারলে বাচ্চারা

ইনফেরিয়রিটি কম্প্লেক্স এডভোকেট অন্যতায় ফিল করে তারা তো এই জন্য মূর্দের বাচ্চাকে দুধ খাওয়াচ্ছে মায়েরা তাদের যদি এরকম হয়েছে তাদের ওকে না খাওয়ার কারণে তাহলে তারা চাইলে রোজা ভাঙতে পারবেন পরবর্তীতে কাজা করে নিবেন 2019 ইসলামপুর তিরমিজি হাদিস করেন ইন্নাল্লাহা ওয়াদা নীলকমল মুভি নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা যুবতী নারী এবং দুধ খাওয়াচ্ছে বুকের দুধ মায়ের জন্য রোজাকে আল্লাহ ছাড় দিয়েছেন তবে তারা পরবর্তীতে কাজা গুলো চলবে আটটি বলে ফেললাম নয়

নাম্বারে হচ্ছে যে এই মায়েদের বোনদের পিরিওড চলছে আলহাজ্ব পীরজাদা চলছে মাসিক একটা ব্লিডিং হয় বিল্ডিং অবস্থা আসলে রোজা রাখা যায় না রাখবেন না পরবর্তীতে তারা রোজাগুলো কাজা করবেন সর্বশেষ 10 নাম্বারে হচ্ছে আলিফা আলিফা পানি হচ্ছে পোস্টপার্টাম ফারিয়া ডায়াপ্টার ডেলিভারি বিএফ বাচ্চা ডেলিভারি করার পরও একটা বিল্ডিং

তখনো তারা রোজা রাখতে পারবেন না তারা পরবর্তীতে আদায় করে নেবে স্যার বর্ণনায় তিরমিযিতে একটা হাদিসে এসেছে মা এসে বলছেন যে খুলনার নাহিদ লাত মানাত আমরা রাসুলের যুগে যখন পিরিওড হতো আমাদের মাসিক হত তখন আমাদেরকে আমরা রোজা রাখতাম না নামাজ পড়তাম রাফিসা ইসলাম নামাজ কাজা করতে বলেননি শুধু রোজা কাজা

করতে বলেছেন আমাদের বোনদের পিরিয়ড যখন হয় আপনারা রোজা রাখবেন না নামাজ নামাজ গুলোর কাজ করা লাগবে না কিন্তু সিয়াম রোজা যেগুলো ভাঙ্গা পড়লো কিন্তু কাযা করা লাগবে এই 10 শ্রেণীর লোকদের জন্য গর্দা এক্সেম্পশন ফ্রম ফাস্টিং বেস্ট দাসারি এ প্রস্পেক্টিভ শারিয়ার দৃষ্টি বিশ্বের করি তাহলে এই 10 শ্রেণীর লোক তারা রোজা না রাখার ব্যাপারে ছাড় দিয়েছেন পরিস্থিতির আলোকে আশাকরি এই পয়েন্টে আপনারা বুঝতে পেরেছেন

Sharing Is Caring:

Leave a Comment