নামাজের ভিতরে এবং বাহিরে অনেক গুলো ফরজ কাজ রয়েছে ,যে ফরজ কাজ গুলোর একটি ফরজ কাজ বাদ পরলে নামাজ হবে না ।তাই নামাজ পরার আগে নামাজের ফরজ কাজ গুলো সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে ।
অনেক মহিলারা নামাজ আদায় করে ঠিকই কিন্তু নামাজের সতর ঢাকা সম্পর্কে জানে না ।অনেক মহিলার ফরজ কাজ বাদ পরে যায় ।
নামাজের একটি ফরজ কাজ বাদ দিয়ে সারা জীবন নামাজ আদায় করলেও মহান রব্বুল আলামিন নামাজ কবুল করবে না ।নামাজ পরার আগে শরীর ঢেকে তারপর নামাজ আদায় করতে হবে ।নারি এবং পুরুষ উভয়েরই এ নিয়ম মানতে হবে ।
নারি এবং পুরুষের সতর ঢাকা সম্পর্কে অনেক পার্থক্য রয়েছে ।
মহিলাদের সমস্ত শরীর ঢেকে নামাজ আদায় করতে হবে ।শুধু মুখ মণ্ডল ,হাতের কব্জি এবং পায়ের পাতা ছাড়া ।এই তিনটি স্থান বাদ দিয়ে সমস্ত শরীর ঢেকে নামাজ আদায় করতে হবে ।আর পুরুষেরা নাভির নিচ থেকে টাকনুর ওপর পর্যন্ত পোশাক পরিধান করবে ।
এভাবে পোশাক পরিধান করে নামাজ আদায় করা ফরজ ।
আবার অনেকেই কোন ওজর ছাড়া বসে বসে নামাজ আদায় করে ।কোন ওজর ছাড়া বসে নামাজ আদায় করলে নামাজ হবে না ।সবার জন্য দারিয়ে নামাজ আদায় করাও একটি ফরজ কাজ ।
বিশেষ করে ফরজ এবং ওয়াজিব নামাজ অবশ্যই দারিয়ে পরতে হবে ।যদি দারিয়ে নামাজ পরতে কোন অসুবিধা হয় বা অসুস্থতার জন্য দারিয়ে নামাজ পরতে কষ্ট হয় তাহলে বসে নামাজ আদায় করা যাবে ।
প্রয়জনে শুয়ে এবং ইশারায় ও নামাজ আদায় করা যাবে ।
যে কাপর পরে নামাজ আদায় করলে নামাজ হবে না
অনেক মহিলারা সাধারণত শারী পরে নামাজ আদায় করে ।শারী পরে নামাজ আদায় করলে পর্দা লঙ্ঘন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে ।পর্দাও নামাজের মতই ফরজ ।
তাই নামাজের আগে পর্দা ঠিক করে নামাজ আদায় করতে হবে ।
নারিরা সব ধরনের পোশাকই পরিধান করতে পারবে ।সব ধরনের পোশাক পরে নামাজ পরার আগে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে ।যার ব্যতিক্রম হলে নামাজ পরবে ঠিকই কিন্তু মহান আল্লাহ তায়ালা ওই ব্যক্তির নামাজ কবুল করবে না ।
নারীদের পোশাক পরিধানের ক্ষেত্রে পুরুষদের খেয়াল রাখতে হবে ।
যে পুরুষের দায়িত্বে কোন নাড়ী থাকে ,সে হতে পারে তার মা ,বোন কিংবা স্ত্রী তাদের পোশাকের ব্যাপারে ওই পুরুষের খেয়াল রাখতে হবে ।তারা পর্দা মেনে নামাজ আদায় করছে কিনা তা ওই দায়িত্বরত পুরুষের খেয়াল রাখতে হবে ।সে যদি এগুলোর খেয়াল না রাখে ,তাদের পর্দার ব্যাপারে সতর্ক না করে তাহলে তাকে দাইয়ুস বলা হবে ।আর দাইয়ুস ব্যক্তির স্থান হবে জাহান্নামে
তাই দায়িত্বশীল সব পুরুষের উচিত নারীদের নামাজের পোশাক ঠিক আছে কিনা এবং তারা পর্দা করছে কিনা তার খেয়াল রাখা ।এটি পুরুষের জন্য ফরজ দায়িত্ব ।মহানবি হজরত মুহাম্মাদ (সা) বলেছেন দুনিয়াতে সব মানুষই দায়িত্বশীল ,
এবং প্রত্যেককে তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে ।
সুতরাং নামাজ শুদ্ধ হওয়ার অন্যতম শর্ত হল সতর ঢাকা ।মহিলাদের মুখ মণ্ডল ,হাতের কব্জি এবং পায়ের পাতা ছাড়া সমস্ত শরীর ঢেকে নামাজ আদায় করতে হবে ।কোন পুরুষ যদি বিনা অজরে তার মাথা ,পেট ,হাতের কনুই খলা রেখে নামাজ
আদায় করলে নামাজ হবে কিন্তু তা মাক্রুহ হয়ে যাবে ।
পুরুষেরা নামাজের সময় ছারাও তাদের পোশাক টাখনুর ওপর পর্যন্ত পরিধান করবে ।এভাবে পোশাক পরিধান করা তাদের জন্য ফরজ ।হাদিস শরিফে এ বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা এসেছে ।
নামাজের সময় মেয়েদের যে বিষয় গুলো খেয়াল রাখতে হবে
নামাজের সময় যে বিষয় গুলো খেয়াল রাখা জরুরি ,এগুলো ঠিক না করে নামাজ আদায় করলে নামাজ হবে না ।সেগুলো হল
১ ।কপালের কাছে চুল বেরিয়ে যায়
২ ।কান বেরিয়ে যায় ।
৩ ।কানের পাশে জুলফির চুল বেরিয়ে যায় ।
৪ ।পিছনের চুল বেরিয়ে যায় ।
৫ ।থুতনির নিচে গলার কাছে কোন অংশ বেরিয়ে যায় ।
৬ ।হাতের কাছে কোন অংশ বেরিয়ে যায় ।
৭ ।পেট বা পিঠের কোন অংশ বেরিয়ে যায় ।
এভাবে নামাজ আদায় করলে নামাজ কবুল হবে না ।সে নাড়ী বেনামাজি হিসেবে গন্য হবে ।
নারীদের পোশাক যেমন হবে
নারীদের ফরজ ও সুন্নাহ পোশাক হল গলার নিচে থেকে শুরু করে পায়ের পাতা পর্যন্ত ঝুলবে ।হাতা হবে হাতের কব্জি বা হাতের আংগুল পর্যন্ত লম্বা ।আর মাথায় এমন ওড়না বা হিজাব পরিধান করতে হবে যাতে কোন ভাবে গলা ,
কান জুলফির চুল এবং পেট বা পিঠের কোন অংশ দেখা না যায় ।এগুলো মেনে নারিরা সব ধরনের পোশাক পরিধান করতে পারবে ।
যদি কাপর না থাকে সে নারী কিংবা পুরুষ হোক না কেন সে যদি একাকী কোন ঘরে কিংবা অন্ধকার কোন ঘরে উলঙ্গ হয়ে নামাজ আদায় করে তাহলে তার নামাজ কবুল করা হবে ।
কিন্তু পোশাক থাকা সত্ত্বেও অলসতা করে পরিধান না করে নামাজ আদায় করলে নামাজ কবুল হবে না ।কোন পুরুষ যদি নামাজের সময় এমন পোশাক পরিধান করে যাতে রুকু করার সময় নাভির কাছে কিছু অংশ কিংবা কোমরের কিছু অংশ দেখা যায় তাহলে তার নামাজ মহান আল্লাহ তায়ালা কবুল করবে না ।
তওবা করার সঠিক নিয়ম এবং তওবা নামাজের নিয়ম