ফজরের নামাজের নিয়ম এবং দোয় । ফজিলত 

ইসলাম ৫ টি স্তম্ভের ওপর নির্মিত। প্রথম স্তম্ভ হলো ঈমান। প্রতিটি মুসলিমের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ঈমান। এর পরের স্তম্ভ হলো নামাজ। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ।আমরা সবাই জানি নামাজকে  বেহেশতের চাবি বলা হয় ।

পবিত্র কুরআনে ৮২ বার নামাজের কথা বলা হয়েছে। প্রত্যেক মুসলিম নর নারীর ওপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা আল্লাহ তায়ালা ফরজ করে দিয়েছেন। এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ হলো : ফজর ,জোহর ,আসর  ,মাগরিব ,এশা।  এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে এশা ও ফজর নামাজের জামায়াতের  গুরুত্ব সব থেকে বেশি। 

মহানবি হজরত মুহাম্মাদ (সা) বলেছেন ,যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ আদায় করবে সে আল্লাহর জিম্মায় থাকবে ।(মুসলিম ,হাদিস নং ঃ ৬৫৭ )পবিত্র কুরআনে ‘ফজর ‘নামে একটি সুরাও রয়েছে ।এতেই বোঝা যায় ফজর  নামাজের গুরুত্ব কত বেশি।  ফজর শব্দের অর্থ হলো ভোর হওয়া 

ফজর এবং এশা এই দুই সময় মানুষ জন পরিবারের সাথে এবং বিশ্রাম করে সময় কাটায়। যার ফলে এ নামাজের জামায়াতে অবহেলা ও গাফিলতি করে। অনেকেই বাড়িতে একা একা নামাজ পড়েন। বাড়িতে একা একা নামাজ পড়ার থেকে মসজিদে জামায়াতের সাথে নামাজ পড়লে ২৭ গুন্ বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। 

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেন ,যে ব্যক্তি জামায়াতের সঙ্গে এশার নামাজ আদায় করে ,সে যেন অর্ধেক রাত  পর্যন্ত (নফল) নামাজ আদায় করল। আর যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামায়াতের সঙ্গে আদায় করে ,সে যেন সারা রাত জেগে নামাজ আদায় করল। (মুসলিম ,হাদিস নং : ১৩৭৭) 

ফজর নামাজের গুরুত্ব সব থেকে বেশি কারণ এসময় মানুষ ঘুমিয়ে থাকে। ঘুম থেকে উঠে অনেকেই ফজরের নামাজ আদায় করতে চায় না। অলসতা করে সময় কাটিয়ে দেয়। 

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা) এক হাদিসে বলেছেন ,তোমাদের কেউ ঘুমিয়ে পড়লে ,শয়তান তার ঘাড়ের পেছনে তিনটি গিঁট দেয়। প্রতি গিটে  সে একই কথা বলে ,তোমার সামনে দীর্ঘ রাত  আছে, তুমি ঘুমিয়ে থাকো। 

সে যদি জাগ্রত হয়ে আল্লাহকে স্মরণ করে তাহলে একটি গিঁট খুলে যায়। অজু করলে আরেকটি গিঁট খুলে যায়। সে নামাজ আদায় করলে আরেকটি গিঁট খুলে যায়। তখন তার সকাল হয় প্রফুল্ল মনে। না হয় ,সে সকালে কলুষ কালিমা ও আলস্য নিয়ে ওঠে। (বুখারী শরীফ ,হাদিস নং : ১১৪২)

ফজরের নামাজ কত রাকাত 

ফজরের নামাজ চার রাকাত। দুই রাকাত সুন্নত অরে দুই রাকাত ফরজ। ফজরের নামাজে যে দুই রাকাত সুন্নত নামাজ রয়েছে এ সুন্নত নামাজকে বলে সুন্নতে মুয়াক্কাদা। এ নামাজ ত্যাগ করলে অনেক গুনাহ হবে।

 সকল সুন্নত নামাজ অর্থাৎ জোহর ,আসর ,মাগরিব ও এশা র সুন্নত নামাজের মধ্যে ফজরের দুই রাকাত সুন্নত নামাজ অনেক উত্তম।মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা) বলেছেন ,ফজরের দুই রাকাত সুন্নত পুরো দুনিয়া ও দুনিয়ার মধ্যে যা কিছু আছে তার চেয়ে উত্তম। (মুসলিম ,হাদিস নং : ৭২৫)

ফজর নামাজের নিয়ত 

ফজর সুন্নত নামাজের নিয়ত

 نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى رَكْعَتَىْ صَلَوةِ الْفَجْرِ سُنَّةُ رَسُوْلُ للَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ-

ফজর সুন্নত নামাজের নিয়ত বাংলা উচ্চারণ : 

 নাওয়াইতু আন উসালিয়া-লিল্লাহি তা’আলা রাকা’আতাই সালাতিল ফাজরে সুন্নাতু রাছুলিল্লাহি তা’আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলাজিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

ফজর সুন্নত নামাজের নিয়ত বাংলা অর্থ :  

 ফজরের দুই-রাক’আত সুন্নত নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম,আল্লাহু আকবার।

ফজর ফরজ নামাজের নিয়ত

 نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى رَكْعَتَىْ صَلَوةِ الْفَجْرِ فَرْضُ للَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ-

ফজর সুন্নত নামাজের নিয়ত বাংলা উচ্চারণ : 

 নাওয়াইতু আন উসালিয়া-লিল্লাহি তা’আলা রাকা’আতাই সালাতিল ফাজরে ফারযুল্লাহি তা’আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলাজিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

ফজর সুন্নত নামাজের নিয়ত বাংলা অর্থ :  

 নাওয়াইতু আন উসালিয়া-লিল্লাহি তা’আলা রাকা’আতাই সালাতিল ফাজরে ফারযুল্লাহি তা’আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলাজিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

ফজরের নামাজের নিয়ম 

ফজরের নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয় সুবহে সাদিক থেকে সূর্য ওঠার আগ পর্যন্ত। 

১। ফজর নামাজের পূর্বে ঠিকমতো অজু করে পাক -পবিত্র হয়ে নিতে হবে। 

২। তারপর জায়নামাজে দাঁড়িয়ে জায়নামাজের দোয়া পড়তে হবে। 

জায়নামাজের দোয়া আরবি 

اِنِّىْ وَجَّهْتُ وَجْهِىَ لِلَّذِىْ فَطَرَالسَّمَوَتِ وَاْلاَرْضَ حَنِيْفَاوَّمَااَنَا مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ

বাংলা উচ্চারণ 

ইন্নি ওয়াজ্জাহাতু ওজহিয়া লিল্লাযী ফাতারাচ্ছামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানিফাঁও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন।

অর্থ 

 নিশ্চই আমি তাঁহার দিকে মুখ ফিরাইলাম, যিনি আসমান জমিন সৃষ্টি করিয়াছেন । আমি মুশরিকদিগের দলভুক্ত নহি।

৩। প্রথমে সুন্নত নামাজের নিয়ত পরতে হবে ।নিয়ত আরবিতে পরা মুস্তাহাব ।বাংলায় ও নিয়ত করা যায় ।নিয়ত পরে ‘আল্লাহু আকবার ‘বলে হাত বাধতে হবে ।

৪ ।সানা পরতে হবে ।

সানা আরবি 

سُبْحَانَكَ اَللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالِىْ جَدُّكَ وَلَا اِلَهَ غَيْرُكَ

সানাবাংলা উচ্চারণ 

 সুবহানাকাল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা, ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া তাআ-লা জাদ্দুকা, ওয়ালা ইলাহা গায়রুক।

সানা অর্থ 

 হে আল্লাহ! আমি আপনার সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা করছি, আপনার নাম বরকতপূর্ণ, আপনার মাহাত্ন সুউচ্চ এবং আপনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই)। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৮০৪)

 

৫ ।সুরা ফাতিহা পাঠ করে যে কোন সুরা মিলিয়ে পরতে হবে ।

৬ ।’আল্লাহু আকবার ‘বলে রুকুতে জেতে হবে ।রুকুতে যাওয়ার পর তিন বার রুকুর তাসবিহ পরতে হবে। 

রুকুর তাসবিহ আরবি 

سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيْمِ.

রুকুর তাসবিহ বাংলা উচ্চারণ 

সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম। 

রুকুর তাসবিহ অর্থ 

 আমি আমার মহান প্রভুর পবিত্রতা বর্ণনা করছি। 

৭ ।”সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদাহ “ পরে রুকু থেকে সোজা হয়ে দাড়াতে হবে ।”রব্বানা লাকাল হামদ “ পরে সিজদায় যেতে হবে। 

৮। তিন বার সিজদার তাসবীহ পড়তে হবে। 

সিজদার তাসবীহ আরবি 

سُبحانَ ربِّيَ الأعلَى

বাংলা উচ্চারণ 

সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা

অর্থ 

 আমার প্রতিপালক সুমহান ও পবিত্র। 

৯। সিজদাহ থেকে উঠে সোজা হয়ে বসে পুনরায় সিজদায় যেতে হবে। আগের নিয়মে তাসবীহ পড়তে হবে। 

১০। “আল্লাহু আকবার “ বলে দাঁড়িয়ে যেতে হবে। 

১১। এভাবে দ্বিতীয় রাকাত ও একই নিয়মে পড়তে হবে। 

১২। দ্বিতীয় রাকাতে সিজদাহ থেকে উঠে বসে থাকতে হবে। 

১৩। বসে তাশাহুদ পড়তে হবে। 

তাশাহুদ আরবি 

التَّحِيَّاتُ لِلّٰهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ، اَلسَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ، اَلسَّلَامُ عَلَيْنَا وَ عَلٰى عِبَادِ اللهِ الصَّالِحِيْنَ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَ رَسُوْلُهُ‎.

তাশাহুদ বাংলা উচ্চারণ 

আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াস সলাওয়াতু ওয়াত্বত্বয়্যিবাতু‌ । আসসালামু আলাইকা আইয়ুহান নাবিয়্যু ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ।‌ আসসালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিস সালিহীন । আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াআশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু।

তাশাহুদ অর্থ 

সমস্ত মৌখিক ইবাদত, সমস্ত শারীরিক ইবাদত এবং সমস্ত পবিত্র বিষয় আল্লাহ তাআলার জন্য । হে নবী আপনার উপর শান্তি ও তার বরকত সমূহ নাযিল হোক । আমাদের প্রতি ও আল্লাহ তাআলার নেক বান্দাদের প্রতি তার শান্তি বর্ষিত হোক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ তাআলা ব্যাতীত আর কোন মাবুদ নাই । আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল ।

১৪। দরূদ শরীফ পাঠ করতে হবে। 

দরূদ শরীফ আরবি 

اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ. وَّعَلٰى اٰلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلٰى اِبْرَاهِيْمَ وَعَلٰى اٰلِ اِبْرَاهِيْمَ’ اِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ. اَللّٰهُمَّ بَارِكْ عَلٰى مُحَمَّدٍ. وَّعَلٰى اٰلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلٰى اِبْرَاهِيْمَ وَعَلٰى اٰلِ اِبْرَاهِيْمَ. اِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ.

দরূদ শরীফ বাংলা উচ্চারণ 

“আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিউ ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিন, কামা সাল্লাইতা আলা ইবরাহিমা ওয়া আলা আলি ইবরাহীমা ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ। আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মদিউ, ওয়া আলা আলি মুহাম্মদিম, কামা বারাকতা আলা ইবরাহীমা, ওয়া আলা আলি ইবরাহিমা, ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ।”

দরূদ শরীফ অর্থ 

 হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর বংশধরের প্রতি রহমত নাযিল করো যেমন রহমত নাযিল করেছিলে ইবরাহীম আলাইহিস সালাম ও তাঁর বংশধরের প্রতি। নিশ্চয় তুমি প্রশংসনীয় ও মর্যাদাবান। হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর বংশধরের প্রতি বরকত নাযিল করো যেমন বরকত নাযিল করেছিলে ইবরাহীম আলাইহিস সালাম ও তাঁর বংশধরের প্রতি। নিশ্চয় তুমি প্রশংসনীয় ও মর্যাদাবান। (সহীহ বুখারী, হাদীস:২৯৭০)

১৫। দোয়া মাসুরা পড়তে হবে। 

দোয়া মাসুরা  আরবি 

 اللّٰهُمَّ إِنِّيْ ظَلَمْتُ نَفْسِيْ ظُلْمْاً كَثِيْراً، وَلاَ يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلاَّ أَنْتَ، فَاغْفِرْ لِيْ مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِي، إِنَّكَ أَنْتَ الغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ

দোয়া মাসুরা বাংলা উচ্চারণ 

 আল্লাহুম্মা ইন্নি যলামতু নাফসি যুলমান কাসিরা । ওয়ালা ইয়াগ ফিরুয যুনুবা ইল্লা আনতা ফাগফির লি । মাগফিরাতাম মিন ইনদিকা । ওয়ার হামনি । ইন্নাকা আনতাল গাফুরুর রাহিম ।

দোয়া মাসুরা অর্থ 

হে আল্লাহ ! আমি আমার নিজ আত্মার উপর বড়ই অত্যাচার করেছি, গুনাহ মাফকারী একমাত্র আপনিই । অতএব আপনি আপনা হতেই আমাকে সম্পূর্ণ ক্ষমা করুন এবং আমার প্রতি দয়া করুন । নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল দয়ালু ।

১৬। দোয়া মাসূরা পাঠ করে দুদিকে সালাম ফিরতে হবে। প্রথমে ডান  দিকে তারপর বাম দিকে। এভাবে সুন্নত নামাজ শেষ করতে হবে। 

সুন্নত নামাজ আগে পাঠ করে তারপর ফরজ নামাজ  পাঠ করতে হবে। একই নিয়মে ফরজ নামাজ আদায় করতে হবে ,শুধু আলাদা হবে। সুন্নত নামাজ শেষ করে পুনরায় ফরজ নামাজের নিয়ত করে একই নিয়মে ফরজ নামাজ আদায় করতে হবে। 

ফজর নামাজের ফজিলত 

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে ফজর নামাজের ফজিলত অনেক বেশি। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা) বলেন ,মুনাফিকদের জন্য ফজর ও এশার নামাজেহামাগুড়ি দিয়ে হলেও মসজিদে উপস্থিত হতো। (বুখারী ,হাদিস নং : ৬৫৭ )

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা) আরো বলেছেন ,এমন কোনো ব্যক্তি জাহান্নামে যাবে না ,যে সূর্যোদয়ের ও সূর্যাস্তের আগে নামাজ আদায় করে। অর্থাৎ ফজর ও আসরের নামাজ। (মুসলিম ,হাদিস নং : ১৩২২ )

Sharing Is Caring:

Leave a Comment