নামাজের ওয়াজিব ,সুন্নত ,মুস্তাহাব,মাকরূহ এবং নামাজ ভঙ্গের কারণ

নামাজকে বেহেশতের চাবি বলা হয়। নামাজ ব্যতীত কোনো মুসলিম ব্যক্তি জান্নাতে যেতে পারবে না। পবিত্র কুরআন মজীদে ৮২ বার নামাজের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। 

আমরা অনেকেই মহান আল্লাহ তায়ালা আদেশ মেনে নামাজ কায়েম করি। কিন্তু আমাদের নামাজ সহীহ শুদ্ধ হচ্ছে কিনা তা আমাদের অনেকের জানা নেই। 

নামাজের মধ্যে কিছু ওয়াজিব ,সুন্নত এবং মাকরূহ রয়েছে। সব কিছু  আমাদের জানতে হবে। সে সব কিছু  জানলে আমরা  নামাজ সহীহ করে পড়তে পারব। 

নামাজের ওয়াজিব সমূহ 

 

ওয়াজিব শব্দের অর্থ হলো আবশ্যক। নামাজের মধ্যে কিছু বিষয় আছে যেগুলো অবশ্য করণীয়। কিন্তু তা ফরজ ও নয় আবার সুন্নত ও নয়। যা ভুল ক্রমে ছুতে গেলে সিজদাহ সাহু দিতে হবে এবং ইচ্ছাকৃত ভাবে ছেড়ে দিলে নামাজ ভঙ্গ হয়ে যাবে। 

নামাজের ওয়াজিব মোট ১৪ টি 

নামাজের ওয়াজিব সমূহ বর্ণনা করা হলো : 

১। সূরা ফাতিহা পথ করা। 

ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাতে এবং আর সব নামাজে সূরা ফাতিহা পাঠ করা ওয়াজিব। 

২। সূরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা মিলিয়ে পড়া। 

 ফরয নামাযসমূহের প্রথম দু’রাক’আতে সূরা ফাতিহার সাথে যেকোনো সূরা বা আয়াত মিলিয়ে পড়া কমপক্ষে বড় এক আয়াত বা ছোট তিন আয়াত পাঠ করা আবশ্যক।

৩। তারতীব মতো নামাজ আদায় করা 

নামাজে যে সকল কাজ বার বার আসে ওই কাজগুলোর ধারাবাহিক ঠিক রাখা ওয়াজিব। 

৪। প্রথম বৈঠক 

৪ রাকাত ও ৩ রাকাত বিশিষ্ট নামাজে  দু রাকা’আত শেষ করে আত্তাহিয়্যাতু পাঠ করতে যতটুকু সময় লাগে, সে পরিমাণ সময় পর্যন্ত বসে থাকা ওয়াজিব।

৫। আত্তাহিয়াতু পাঠ করা 

নামাজের উভয় বৈঠকে আত্তাহিয়াতু পাঠ করা ওয়াজিব। 

৬। প্রকাশ্যে কিরাত পাঠ করা 

  যে সকল নামাযে প্রকাশ্য বা উচ্চঃস্বরে কিরা’আত পাঠ করার নির্দেশ রয়েছে সেগুলোতে প্রকাশ্য কিরা’আত পাঠ করা ওয়াজিব। যেমন-ফজর, মাগরিব, ইশা, জুমু‘আ’ দু’ঈদের নামায ও তারাবীর নামায। অবশ্য একাকী আদায় করলে কিরা’আত উচ্চঃস্বরে পাঠ করা আবশ্যক নয়।

৭। চুপিসারে কিরাত পাঠ করা 

৭. চুপিসারে কিরা‘আত পাঠ করাঃ  যেমন নামাযে চুপে চুপে কিরা’আত পাঠ করার নির্দেশ রয়েছে সেসব নামাযে নীরবে বা চুপে চুপে কিরা’আত পাঠ করা ওয়াজিব। যেমন- যোহর ও আসরের নামায।

৮। ধীরস্থির ভাবে নামাজ আদায় করা

 নামাযের সব কাজ ধীরে-সুস্থে করতে হবে। যেমন রুকু’ ও সিজদা নিশ্চিত ও প্রশান্ত মনে তাড়াহুড়া না করে ভালোভাবে আস্তে আস্তে আদায় করা ওয়াজিব।

৯। রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়ানো 

রুকু শেষে সিজদাহ করার পূর্বে সোজা হয়ে দাঁড়ানো 

১০। সিজদাহ থেকে সোজা হয়ে বসা 

দুই সিজদার মাঝখানে সোজা হয়ে বসা। 

১১। সালাম বলা 

  নামায শেষে “আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ” বলে নামায শেষ করা। ইমাম শাফেয়ী রাহমাতুল্লাহ আলাই এর মতে এটি ফরজ।

১২। তারতীব ঠিক রাখা 

 প্রত্যেক রাকা’আতের তারতীব বা ধারাবাহীকতা ঠিক রাখা অর্থাৎ আগের কাজ পেছনে এবং পেছনের কাজ আগে না করা।

১৩। দুআ কুনুত পাঠ করা 

 বেতরের নামাযে দু’আ কুনুত পাঠ করা ওয়াজিব।

১৪। ঈদের নামাজের তাকবীর 

 দুই ঈদের নামযে অতিরিক্ত ছয়টি তাকবীর বলা ওয়াজিব।

নামাজের সুন্নত সমূহ 

নামাজের সুন্নত ২১ টি। যথা : 

১।  আজান ও ইকামত বলা 

২। তাকবীরে তাহরীমার সময় উভয় হাত উঠানো 

৩। হাত উঠানোর সময় আঙ্গুল গুলি স্বাভাবিক রাখা 

৪। ইমামের জন্য তাকবীর উচ্চ স্বরে বলা 

৫। সানা পড়া 

৬। আউযুবিল্লাহ পড়া 

৭। বিসমিল্লাহ পড়া 

৮। নিম্নস্বরে আমিন বলা 

৯। সানা ,আউযুবিল্লাহ ,বিসমিল্লাহ ,আমিন নিম্ন স্বরে বলা 

১০।  হাত বাধার সময় বাম হাতের উপর ডান হাত রাখা। 

১১।  পুরুষের জন্য নাভির নিচে,আর মহিলার জন্য বুকের উপর হাত বাঁধা। 

১২। এক রোকন থেকে অন্য রোকনের যাবার সময় ‘আল্লাহু আকবার বলা 

১৩। একাকী নামাজ পাঠকারির জন্য রুকু থেকে উঠার সময় “সামিয়াল্লাহুলিমান হামিদা” ও “রব্বানা লাকাল হামদ” বলা। ইমামের জন্য শুধু “সামিয়া’ল্লাহু লিমান হামিদা” বলা আর মুক্তাদির জন্য শুধু “রব্বানা লাকাল হামদ” বলা। 

১৪। রুকুতে “সুবহানা রব্বিয়াল আযীম” বলা। 

১৫। সেজদায় বলা “সুবহানা রব্বিয়াল আ’লা” বলা। 

১৬। রুকুতে উভয় হাটু আকড়ে ধরা। 

১৭। রুকুতে পুরুষের জন্য উভয় হাতের আঙ্গুল ফাঁকা রাখা। আর মহিলার জন্য মিলিয়ে রাখা। 

১৮। পুরুষের জন্য নামজে বসার সময় বাম পা বিছিয়ে তার উপর বসা ও ডান পা খাড়া রাখে আঙ্গুলগুলো কেব্লার দিক করে রাখা। আর মহিলার জন্য উভয় পা ডান দিকে বের করে জমিনের উপর বসা। 

১৯। শেষ বৈঠকে তাশাহ্যুদের পর দুরুদ শরীফ পড়া। 

২০। দুরুদের পর দোয়া পড়া।  

২১। তাশাহ্যুদে “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ” বলার সময় শাহাদাত(তর্জনি) আঙ্গুল দ্বারা কেবলার দিকে ইশারা করা।  

নামাজের মুস্তাহাব সমূহঃ

নামাজের মুস্তাহাব ৭ টি। যথা : 

১। দাঁড়ানো অবস্থায় সেজদার স্থানের দিকে, রুকু অবস্থায় উভয় পায়ের পাতার উপর, সেজদার সময় নাকের দিকে, বৈঠকের সময় কোলের দিকে দৃষ্টি রাখা।

২। তাকবীরে তাহরিমা বলার সময় হাত চাদর থেকে বাহিরে বের করে রাখা।

৩। সালাম ফিরানোর সময় উভয় কাঁধের উপর দৃষ্টি রাখা। 

৪। নামাজে মুস্তাহাব পরিমান ক্বেরাত( ফজর ও যোহরে তিওয়ালে মুফাস্যাল,সূরা হুজরাত থেকে সূরা বুরুজ পর্যন্ত।আছর ও ইশাতে আওসাতে মুফাস্যাল, সূরা তরেক থেকে বায়্যিনা পর্যন্ত। মাগরীবে কিসারে মুফাস্যাল সূরা যিলযাল থেকে শেষ পর্যন্ত।)

৫। জুমআর দিন ফজরের নামাজে প্রথম রাকাতে সূরা আলিফ,লাম,মিম সেজদা ও দ্বিতীয় রাকাতে সূরা দাহর পড়া।  

৬। যথা সম্ভব কাঁশি ও ঢেকুর চেপে রাখা।  

৭। হাই আসলে মুখ বন্ধ রাখার চেষ্টা করা।  

নামাজ মাকরূহ হওয়ার কারণঃ

১. নামাজরত অবস্থায় কাপড় বা শরীর নিয়ে খেলা করা মাকরূহ, যদি তা আমলে কাসীর না হয় আর আমলে কাসীর হলে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে।

২. সেজদার স্থান থেকে কংকর বা পাথরকণা সরানো (মাকরূহ)। অবশ্য সেজদা করা অসম্ভব হলে এক-দুইবার কংকর সরানোর অবকাশ আছে।

৩. আঙ্গুল সমূহকে মলা বা টেনে ফুটানো।

৪. কোমরে হাত রাখাও মাকরূহ।

৫. ডানে-বামে মুখ ফিরানোর দ্বারা যদি সিনা কেবলার দিক থেকে ফিরে যায় তাহলে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে।আর যদি সিনা কেবলা দিক থেকে না ফিরে,  তাহলে নামাজ নষ্ট হবে না; অবশ্য নামাজ মাকরূহ হবে।

৬. উভয় হাটু খাড়া করে হাত মাটিতে রেখে নিতম্ব ও পায়ের উপর কুকুরের ন্যায় বসা।

৭. সেজদায় উভয় বাহুকে মাটিতে বিছিয়ে দেয়া।

৮. হাতের ইশারায় সালামের উত্তর দেয়া।

৯. ফরজ নামাজে বিনা ওজরে আসন করে বসা।

১০. মাটি লেগে যাওয়ার ভয়ে কাপড় হেফাযত করা।

১১. সদলে ছাওব করা অর্থাৎ কাপড় কাঁধে রেখে তার উভয় প্রান্ত একত্র না করে ঝুলিয়ে দেয়া।

১২. হাই তোলা। হাই ও হাচি যথাসম্ভব প্রতিহত করবে। না পারলে সমস্যা নেই।

১৩. শরীরের অলসতা দূর করার জন্য মোচড়ানো।

১৪. চোখ বন্ধ রাখা। অথচ দৃষ্টি সেজদার স্থানে রাখা উচিত।

১৫. চুল মাথার উপর ভাজ করে গিরা দিয়ে নামাজ পড়া। মাথায় চুল থাকলে নামাজের মধ্যে তা ছেড়ে রাখা সুন্নত যাতে চুলও সেজদা করতে পারে।

১৬. খোলা মাথায় নামাজ পড়া মাকরূহ। তবে বিনয় ও নম্রতা প্রকাশের নিমিত্তে এরূপ করলে মাকরূহ হবে না।

১৭. আয়াত ও তাসবীহসমূহ হাতে গণনা করা। তবে সাহেবাইন (রহ.)- এর মতে এটা মাকরূহ নয়।

১৮. শুধু ইমাম সাহেব মসজিদের মেহরাবে এবং সমস্ত লোক মেহরাবের বাইরে দাঁড়ানো।

১৯. ইমাম সাহেব একা উঁচু স্থানে এবং সমস্ত লোক নিচে দাঁড়ানো।

২০. কাতারে দাঁড়ানোর সুযোগ থাকা সত্ত্বেও পিছনে একা দাঁড়ানো।

তবে যদি সুযোগ না থাকে তাহলে (সামনের কাতার থেকে মাসআলা জানে এমন একজনকে টেনে এনে নিজের সাথে দাড় করাবে। তার পরও চেষ্টা করবেন একা শুধু কাতারে না দাঁড়াতে।

২১. মানুষ অথবা জন্তুর ছবি বিশিষ্ট কাপড় পরিধান করা।

২২. সামনে, বামে অথবা ডানে ছবি থাকাবস্থায় নামাজ মাকরূহ। তবে যদি ছবি পায়ের নিচে কিংবা পিছনে থাকে, তাহলে কোন ক্ষতি নেই।

নামায ভঙ্গের কারণসমূহঃ

নামায বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য যেমন কিছু কারণ  রয়েছে, তেমনিভাবে নষ্ট হওয়ার জন্যও কিছু  কারণ রয়েছে। যে  কারণে নামায নষ্ট হয়ে যায় তা বর্ণনা করা হলো । যথাঃ

১. সালামের জবাব দিলে 

 নামাযরত অবস্থায় কারো সালামের জবাব দিলে নামায ভঙ্গ হয়ে যাবে। কেননা সালাম যিকিরের পর্যায়ভুক্ত নয়।

২. নামাযের মধ্যে সালাম দিলে 

 ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক নামাযের মধ্যে সালাম দিলে নামায ভঙ্গ হয়ে যাবে।

৩. দুঃখসূচক শব্দ উচ্চারণ করা 

 নামাযের মধ্যে কেউ দুঃখসূচক শব্দ যেমন-আহ, উহ, হায় ইত্যাদি উচ্চস্বরে বললে নামায নষ্ট হয়ে যাবে।

৪. নামাযের ফরয ছুটে গেলে

 নামাযের মধ্যে যেসব কাজ করা ফরয তন্মধ্যে কোনো একটি ফরয ছুটে গেলে নামায ভঙ্গ হয়ে যাবে।

৫. কিরা’আতে ভুল করলে 

নামাযের মধ্যে কুরআন তিলাওয়াতে যদি এমন ভুল করে যে ভুলের কারণে আয়াতের মর্মার্থ ওলট পালট হয়ে যায়, তবে নামায ভঙ্গ হয়ে যাবে।

৬. নামাযে কিরা আত দেখে দেখে পড়া 

 নামাযরত ব্যক্তি যদি কুরআন শরীফ দেখে দেখে পাঠ করে, তবে তার নামায ভঙ্গ হয়ে যাবে।

৭. নামাযের মধ্যে কথা বলা

 নামায়ী ব্যক্তি যদি নামাযের মধ্যে কথা বলে, তাহলে তার নামায নষ্ট হয়ে যাবে।

৮. নেশাগ্রস্ত অবস্থায় নামায পড়লে 

মাদকাসক্ত মাতাল অবস্থায় নামায আদায় করলে তা আদায় হবে না। কেননা, মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেছেন ,তোমরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় নামাজের নিকটবর্তী হয়ো না। (সূরা নিসা ,আয়াত নং ৪৩) 

৯. ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়াজিব ছেড়ে দিলে 

নামাযের মধ্যে নির্ধারিত ১৪টি ওয়াজিবের কোন একটি ওয়াজিব যদি নামাযী ইচ্ছাকৃতভাবে ছেড়ে দেয়, তবে নামায ভঙ্গ হয়ে যাবে। আর অনিচ্ছাকৃতভাবে ছুটে গেলে সাহু সিজদা দিলে নামায শুদ্ধ হবে। কিন্তু সাহু সিজদা না দিলে নামায ভঙ্গ হয়ে যাবে। পুনরায় আদায় করতে হবে।

১০. অট্টহাসি দিলে 

 নামাযের মধ্যে অট্টহাসি দিলে শুধু নামাযই নয়, অজুও নষ্ট হয়ে যাবে।

১১. অপ্রাসঙ্গিক কিছু করা 

কোনা দুঃসংবাদ শুনে ইন্নালিল্লাহ সুসংবাদ শুনে আল-হামদুলিল্লাহ’ এবং বিক্রয়ের সংবাদ শুনে “সুবহানাল্লাহ’ বললে নামায বিনষ্ট হয়ে যাবে।

১২. অন্য দিকে ঘুরে গেলে

 নামাযের মধ্যে কিবলার দিক থেকে অন্য দিকে ফিরে গেলে নামায ভঙ্গ হয়ে যাবে।

১৩. বাচ্চাকে দুধ পান করালে 

 নামাযরত স্ত্রীলোকের দুধ যদি তার সন্তান এসে খায়, তবে নামায ভঙ্গ হয়ে যাবে।

১৪. হাঁচির জবাব দেয়া 

 নামাযের মধ্যে যদি কেউ অন্যের হাঁচি শুনে ইয়ারহামুকাল্লাহ’ বলে হাঁচির জবাব দেয়, তবে তার নামায নষ্ট হয়ে যাবে।

১৫. চলাফেরা করলে 

 নামাযের মধ্যে চলাফেরা করলে নামায নষ্ট হয়ে যাবে। হ্যাঁ, প্রয়োজনে সম্মুখে বা পেছনে যাওয়া যাবে।

১৬. অপবিত্র স্থানে সিজদা করলে 

 অপবিত্র স্থানে সিজদা করলে নামায নষ্ট হয়ে

১৭. আমলে কাসীর হলে 

 নামাযের মধ্যে যদি কেউ আমলে কাসীর করে তবে নামায নষ্ট হয়ে যাবে। আমলে কাসীর হলো নামাযের মধ্যে এমন আমল করা যা দূর থেকে দেখলে মনে হয় যে, লোকটি নামায আদায় করছে না।

১৮. নিজের ইমাম ছাড়া অন্যকে লোকমা দেয়া 

 যদি কেউ নামাযের মধ্যে নিজের ইমাম ছাড়া অন্য কাউকে লোকমা দেয়, অথবা ইমাম যদি মুক্তাদি ব্যতীত অন্য কারো লোকমা নেয় অথবা ইমাম যদি জামাত বহির্ভূত অন্য কারো ভুল সংশোধন গ্রহণ করে তবে তার নামায নষ্ট হয়ে যাবে।

১৯. নামাজে দুনিয়াবী কথাবার্তা বলা। 

২০. নামাযে কাতার সোজা না করে নামায পড়া

২১. বিনা অজুতে নামায পড়া

২২.  কোনো পত্র বা লেখার প্রতি দৃষ্টি পড়ায় তা মুখে উচ্চারণ করলে নামায ভঙ্গ হয়ে যাবে।

২৩. তিন তাসবীহ পাঠ পরিমাণ সময় সতর খুলে থাকা ।

২৪. নামাযে খাওয়া বা পান করা ।

Sharing Is Caring:

Leave a Comment