মহান আল্লাহ তায়ালা মানুষকে হেদায়াতের জন্য এবং তার দ্বীনের প্রচারের জন্য অসংখ্য নবি রাসুল প্রেরণ করেছেন ।
নবি রাসুল গন আল্লাহর বাণী মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন ।মানুষ যাতে দুনিয়ায় সঠিক ভাবে জীবন যাপন করতে
পারে তার জন্য সঠিক দিক নির্দেশনা দিয়েছেন ।
কেননা মানুষ দুনিয়াতে যে যে রকম কাজ করবে মৃত্যুর পরে সে সে রকম ফল পাবে ।এজন্য বলা হয়েছে , দুনিয়া
আখিরাতের শস্যক্ষেত ।শস্য ক্ষেতে যেমন সঠিক ভাবে পরিচর্যা করলে ভালো ফসল লাভ করা যায় তেমনি দুনিয়ার
জিবনে মানুষ ভালো কাজ করলে তার ফল মৃত্যুর পরে ভোগ করবে ।
মানুষের কল্যানে মহান আল্লাহর কাছে অনেক আবেদন করেছেন ।মানুষের জন্য শুভ কামনা করেছেন ।গোনাহ
থেকে বেচে থাকতে মানুষকে নানা উপদেশ দিয়েছেন ।
সারা দুনিয়ার মানুষ আদম সন্তান হিসেবে একে অন্যের ভাই । তদুপরি এক খোদার বান্দা ,এক নবির উম্মত এবং
ধর্মের অনুসারি হিসেবে সারা পৃথিবীর মানুষদের পারস্পারিক সম্পর্ক অধিকতর ঘনিষ্ঠ ।
হাদিস শরিফে বলা হয়েছে , সত্যিকারের মুসলমান সেই ,যে নিজের জিহ্বা ও হাত দ্বারা অন্যান্য মানুষদের নিরাপদে
রাখে অর্থাৎ যে মুসলমানের কথায় কিংবা আচরণে অন্য কেউ কোন ভাবে কষ্ট না পায় সে ব্যক্তি প্রকৃত মুসলমান ।
হাদিস শরিফে বলা হয়েছে , কোন ব্যক্তি যদি নামাজি , রোজাদার , ধর্মপরায়ন হয়ে থাকে কিন্তু সে অন্যের হক
নষ্ট করে ,কাউকে কোন রকম সাহায্য সহযোগিতা করে না তাহলে সে ব্যক্তি জাহান্নামে যাবে ।
আবার কোন ব্যক্তি
যে নামাজ, রোজা কম করেছে কিন্তু মানুষকে সাহায্য সহযোগিতা করেছে এরুপ ব্যক্তিকে মহান আল্লাহ তায়ালা
দয়া করিয়া জান্নাতে প্রবেশ করাইবেন ।
হজরত আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত , হজরত মুহাম্মাদ (সা) বলেছেন ,তিন শ্রেণীর মানুষকে সাহায্য করা মহান
আল্লাহ তায়ালার কর্তব্য ।(তিরমিজি , মিশকাত)
যে তিন শ্রেণীর মানুষকে মহান আল্লাহ তায়ালা সাহায্য করতে বলেছেন ।
১ । আযাদী চুক্তিবদ্ধ গোলাম ,যে তার রক্তমুল্য আদায় করতে চায় ।
২ । বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ ব্যক্তি
৩ । আল্লাহর পথের মুজাহিদ ব্যক্তি
হজরত মুহাম্মাদ (সা) বলেছেন , মানুষের জন্য তিনটি কল্যাণমূলক কাজ হল ,যে ব্যক্তি রক্তমুল্য আদায় করে মুক্তি
লাভ করতে চায় ,নিজেকে হেফাজত করতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর বিধানগুলোকে
পৃথিবীতে বাস্তবায়ন করতে প্রাণন্তকর চেষ্টায় নিয়োজিত এ রকম ব্যক্তিদের সাহায্য করা মহান আল্লাহ তায়ালার
কর্তব্য ।