জাহান্নাম কয়টি ও কি কি ? জাহান্নামের কোন স্তরে কারা থাকবে ?

জাহান্নাম ১ টি। কিন্তু এর ৭ টি দরজা রয়েছে এবং ৭ টি দরোজার পৃথক পৃথক নাম রয়েছে। জাহান্নাম একটি আরেকটির ওপর স্থাপিত  অর্থাৎ জাহান্নামের ৭ টি স্তর রয়েছে। ৭ টি দরোজার জন্য পৃথক পৃথক দল রয়েছে। জাহান্নাম কয়টি ও কি কি ? যত  নিম্ন স্তরের আগুন হবে তত তাপ বেশি হবে। 

জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তর হলো সর্বনিকৃষ্ট। মুনাফিক ব্যক্তিরা জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে অবস্থান করবে। মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেছেন , মুনাফিক (কপট) ব্যক্তিরা অবশ্যই দোযখের সর্বনিম্ন স্তরে অবস্থান করবে এবং তাদের জন্য তুমি কখনও কোন সাহায্যকারী পাবে না। (সূরা :নিসা,আয়াত নং :  ১৪৫)

জাহান্নামের কোন স্তরে কারা থাকবে ?

জাহান্নাম এর প্রথম স্তরে থাকবে গোনাহগার মুসলিমরা, দ্বিতীয় স্তরে ইয়াহুদীরা, তৃতীয় স্তরে খ্রিষ্টানরা, চতুর্থ স্তরে সাবায়ীরা, পঞ্চম স্তরে অগ্নিপূজাকারীরা , ষষ্ঠ স্তরে পৌত্তলিকরা এবং সর্বনিম্ন সপ্তম স্তরে থাকবে মুনাফিকরা।

জাহান্নামের স্তর কয়টি ও কি কি ?

জাহান্নামের স্তর হলো ৭ টি। সেগুলো হলো : 

১। জাহান্নাম 

২। লাযা 

৩। হুত্বামাহ 

৪। সাঈর 

৫। সাকার 

৬। জাহীম 

৭। হাবিয়াহ 

 

জাহান্নামের স্তরসমূহের অর্থ :

 

১। জাহান্নাম 

জাহান্নাম শব্দটি পবিত্র কুরআনে ৭৭ জায়গায় দেওয়া হয়েছে। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন , সুতরাং তোমরা জাহান্নামের দরজাগুলিতে প্রবেশ কর সেথায় চিরস্থায়ী থাকার জন্য। দেখ অহংকারীদের আবাসস্থল কত নিকৃষ্ট। (সূরা: নাহল,আয়াত নং: ২৯)। জাহান্নাম কয়টি ও কি কি ? 

২। লাযা অর্থ লেলিহান আগুন। 

মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন , না, কখনই নয়! এটা তো লেলিহান অগ্নি। যা দেহ হতে চামড়া খসিয়ে দেবে। জাহান্নাম ঐ ব্যক্তিকে ডাকবে, যে পৃষ্ঠ-প্রদর্শন করেছিল ও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। সে সম্পদ পুঞ্জীভূত এবং সংরক্ষিত করে রেখেছিল। (সূরা :মাআরিজ,আয়াত নং : ১৫-১৮)

৩। হুতামাহ অর্থ প্রজ্বলিত আগুন। 

মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন ,কখনও না, সে অবশ্যই নিক্ষিপ্ত হবে হুত্বামায়। কিসে তোমাকে জানাল, হুত্বামা কি? তা হল আল্লাহর প্রজ্বলিত অগ্নি। যা হৃদয়কে গ্রাস। করবে। নিশ্চয়ই তা তাদেরকে পরিবেষ্টন করে রাখবে। দীর্ঘায়িত স্তম্ভসমূহে। (সূরা :হুমাযাহ,আয়াত নং :৪-৯)

৪। সাঈর অর্থ প্রজ্বলিত আগুন 

মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন , শয়তান তোমাদের শত্রু; সুতরাং তাকে শত্রু হিসাবেই গ্রহণ কর। সে তো তার দলবলকে এ জন্য আহবান করে যে, ওরা যেন (সাঈর) জাহান্নামবাসী হয়। (ফাত্বিরঃ ৬)

৫। সাকার অর্থ ঝলসিয়ে দেওয়া বা গলিয়ে দেওয়া 

মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন ,তারা থাকবে জান্নাতে এবং তারা জিজ্ঞাসাবাদ করবে— অপরাধীদের সম্পর্কে, তোমাদেরকে কিসে সাক্কার (জাহান্নাম)এ নিক্ষেপ করেছে? তারা বলবে, আমরা নামাযীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম না। আমরা অভাবগ্রস্তদেরকে অন্নদান করতাম না এবং আমরা সমালোচনাকারীদের সাথে সমালোচনায় নিমগ্ন থাকতাম। আমরা কর্মফল দিবসকে মিথ্যা মনে করতাম। পরিশেষে আমাদের নিকট মৃত্যু আগমন করল। ফলে সুপারিশকারীদের সুপারিশ তাদের কোন কাজে আসবে না। (সূরা : মুদ্দাস্সির ,আয়াত নং :৪০-৪৮)

৬। জাহীম অর্থ কঠিন অগ্নিদাহ 

মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন ,আর যারা অবিশ্বাস করে এবং আমার আয়াতসমূহকে মিথ্যা মনে করে, তারাই (জাহীম) জাহান্নামের অধিবাসী। (সূরা : মাইদাহ,আয়াত নং : ১০, ৮৬)

৭। হাবিয়াহ অর্থ গভীর গর্ত ,পাতাল। 

মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন ,কিন্তু যার পাল্লা হাল্কা হবে, তার স্থান হবে হাবিয়াহ। কিসে তোমাকে জানাল, তা কি? তা অতি উত্তপ্ত অগ্নি। (সূরা : কারিআহ , আয়াত নং : ৮-১১)

 

কবর জিয়ারতের দোয়া বাংলা উচ্চারণসহ এবং কবর জিয়ারতের নিয়ম

 

Sharing Is Caring:

Leave a Comment