আয়াতুল কুরসি এর ফজিলত
আয়াতুল কুরসি এমন একটি আয়াত যার ফজিলত অনেক। এই আয়াতটি পবিত্র কুরআনের সবথেকে দীর্ঘ তম সূরা আল বাকারা এর ২৫৫ নং আয়াত। এই আয়াত নিয়মিত পাঠ করলে মানুষ এবং জ্বীন কোনো কিছুই কোনো রকম ক্ষতি করতে পারে না।
আয়াতুল কুরসি এর একটি আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালার নাম ১৫ বার উচ্চারণ করা হয়েছে ,যা পবিত্র কুরআনের আর কোনো আয়াতে উচ্চারণ করা হয়নি। আয়াতুল কুরসি পাঠ করলে মনের সব আশা পুরুন হবে ,রিজিক বৃদ্ধি পাবে,জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে।
কোনো বিপদের সময় আয়াতুল কুরসি পরে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইলে আল্লাহ তায়ালা তাকে বিপদ থেকে রক্ষা করবেন। যে ঘরে আয়াতুল কুরসি পাঠ করা হয় সে ঘর থেকে শয়তান দূর হয়ে যায়।
হজরত আবু জর জুনদুব ইবনে জানাদাহ( রাঃ ) রাসূলূল্লাহ (সাঃ ) কে বলেছিলেন হে রাসূল (সাঃ ) আপনার প্রতি সব থেকে মর্যাদা সম্পন্ন কোন আয়াত নাজিল হয়েছে ,তখন রাসূলুল্লাহ (সাঃ ) বলেছিলেন আয়াতুল কুরসি।
আয়াতুল কুরসি পড়ার নিয়ম
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ ) বলেছেন যে ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করতে মৃত্যু ব্যাতিত কোনো বাধা দেয়া হবে না। তাই মহানবী (সাঃ ) পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়তে বলেছেন ,এতে দুনিয়ার জীবন কাটবে ইজ্জতের সাথে ,মৃত্যু হবে
আরামের কোনো রকম কষ্ট হবে না এবং কবরের আজাব হতে মুক্তি পাওয়া যাবে।
আবু বকর মাসউদ ইবনে আহমাদ আল কাসানী তার আল বাদাঈ ওয়াস সানাঈ নামক কিতাবে লেখেন এবং ইবনে নুজাইম (রহ ) তার বাহরুর রাইক এ লেখেন : যে সব ফরজ নামাজ পর সুন্নত নামাজ আছে যেমন জোহর ,মাগরিব ও এশা সে সব ফরজ নামাজ পর আয়াতুল কুরসি পরবে না। ফরজ নামাজ পর সুন্নত নামাজের জন্য জায়গা বদলাতে বদলাতে পড়বে কিংবা সুন্নত নামাজ পড়ার পরে পড়বে।
জোহর ,মাগরিব ও এশা নামাজ পড়ার পরে ৩ বার এস্তেগফার পড়বেন
(আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম তাবারাকতা ইয়া জালজালালী ওয়াল ইকরাম )
তারপর সুন্নত নামাজ পড়বেন। তবে বেশি উপকারীতা লাভের নিয়ত থাকলে প্রতি ওয়াক্ত নামাজ পর ৩ বার আয়তুল কুরছী পড়তে পারেন এবং প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় ২৫ বার করে আয়তুল কুরছী পাঠ করলে জ্বীন ও শয়তান কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।
রাতে ঘুমানোর আগে এই আয়াত টি পরে ঘুমালে মহান আল্লাহ তায়ালা তার জন্য সারা রাত ফেরেশতাকে পাহারাদার নিযুক্ত করবেন ,সে সকাল পর্যন্ত পাহারা দিবে আর কোনো শয়তান কে কাছে আসতে দিবে না।
শুক্রবার আসর নামাজ পরে একটি নির্জন স্থানে বসে এই আয়াত টি ৭ বার পাঠ করলে এক আশ্চর্য ভাবের উদয় হয় এবং পাঠকের দুআ কবুল করা হয়।
আয়াতুল কুরসি ৫০ বার পরে বৃষ্টির পানিতে চাপ দিয়ে সে পানি পান করলে জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে।
আয়াতুল কুরসি
اَللهُ لآ إِلهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّوْمُ، لاَ تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَّلاَ نَوْمٌ، لَهُ مَا فِى السَّمَاوَاتِ وَمَا فِى الْأَرْضِ، مَنْ ذَا الَّذِىْ يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلاَّ بِإِذْنِهِ، يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيْهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلاَ يُحِيْطُوْنَ بِشَيْئٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلاَّ بِمَا شَآءَ، وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ، وَلاَ يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا وَ هُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيْمُ-
আয়াতুল কুরসি এর বাংলা উচ্চারণ
বাংলা উচ্চারণ: আল্লা-হু লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুম। লা তা’খুযুহু সিনাতুঁ ওয়ালা নাঊম। লাহূ মা ফিস্ সামা-ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্বি। মান যাল্লাযী ইয়াশফাউ’ ই’ন্দাহূ ইল্লা বিইজনিহি। ইয়া’লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খালফাহুম, ওয়ালা ইউহিতূনা বিশাইয়্যিম্ মিন ‘ইলমিহি ইল্লা বিমা শা-আ’ ওয়াসিআ’ কুরসিইয়্যুহুস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্বি, ওয়ালা ইয়াউ’দুহূ হিফযুহুমা ওয়া হুওয়াল ‘আলিইয়্যুল আ’জিম।
আয়াতুল কুরসি এর অর্থ
অর্থ: আল্লাহ, যিনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব ও বিশ্বচরাচরের ধারক। কোনো তন্দ্রা বা নিদ্রা তাঁকে পাকড়াও করতে পারে না। আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে সবকিছু তারই মালিকানাধীন।
তাঁর হুকুম ব্যতিত এমন কে আছে যে, তাঁর নিকটে সুফারিশ করতে পারে? তাদের সম্মুখে ও পিছনে যা কিছু আছে সবকিছুই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসমুদ্র হতে তারা কিছুই আয়ত্ত করতে পারে না, কেবল যতুটুকু তিনি দিতে ইচ্ছা করেন তা ব্যতিত। তাঁর কুরসি সমগ্র আসমান ও জমিন পরিবেষ্টন করে আছে। আর সেগুলোর তত্ত্বাবধান তাঁকে মোটেই শ্রান্ত করে না। তিনি সর্বোচ্চ ও মহান’